করোনায় মৃতু্য দেড় হাজার ছাড়াল

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২০, ০০:০০

যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখে না, পুরো বিশ্বই যেমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি, তেমনি দেশেও করোনার সংক্রমণে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৫০০-র বেশি মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই এ পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুলে যাওয়া যাবে না, গোটা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের ছোবলে বিপর্যস্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার প্রায়। আমরা বলতে চাই, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। এরপর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একদিকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। কার্যত বিশ্ব থমকে গেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। অন্যদিকে দেশেও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ ক্ষেত্রে উলেস্নখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে যেমন বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হচ্ছে, তেমনি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা ধরনের জরিপও উঠে আসছে। আমরা মনে করি, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যাগ অব্যাহত রাখা অপরিহার্য। এ কথাও সংশ্লিষ্টদের মনে রাখা জরুরি, যেখানে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও সামগ্রিক প্রস্তুতি কতটা তা খতিয়ে দেখে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ সমীচীন। একদিকে বাড়ছে আতঙ্ক, অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে দিশাহারা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে যখন আক্রান্ত লাখের বেশি এবং মৃতু্য দেড় হাজার ছাড়িয়েছে তখন বিষয়টিকে সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি জারি রাখতে হবে। এর পাশাপাশি করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে সচেতন করা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কেননা, এর আগে এমন বিষয়ও সামনে এসেছে, কাঁধে হাত রেখে গল্প করা, কেউ কেউ মুখে মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখাসহ নিত্যপণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দূরত্ব মানছেন না অনেকেই। ফলে এ ধরনের ঘটনার মধ্যদিয়ে এক ধরনের অসচেতনতা ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ কথা বলা দরকার, করোনার সংক্রমণ রোধে যে কোনো প্রকার গড়িমসি হলে তার ফল অত্যন্ত ভয়ানক হবে এমন আশঙ্কা থেকেই যায়। একদিকে করোনা রোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে। মনে রাখা দরকার, করোনা পরিস্থিতিতে দেশে জটিল ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা এমনও খবরও উঠে এসেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে অভাবী মানুষ বাড়ছে, সঙ্গে পারিবারিক সংহিসতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঝুঁকির বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি বলতে চাই. দেশে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে ফলে এখনই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে। একই সঙ্গে জোনভিত্তিক লকডাউনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখা দরকার, এই মহামারি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি ভিন্ন কোনো পথ নেই। ফলে যে সংকটগুলো সামনে আসছে তা আমলে নিতে হবে এবং প্রত্যেকেই যেন সচেতন হয় সেই বিষয়কে সামনে রেখে উদ্যোগী হতে হবে। করোনাভাইরাস রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি থাকুক এমনটি কাম্য।