অর্থনীতির প্রাণ রেমিট্যান্স

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

মো. ফুয়াদ হাসান শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট দেশ হলেও, বর্তমান বছরগুলোতে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আমাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা নতুন করে ভাবার খরাক জুগিয়েছে বিশ্বকে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। দেশের এই অর্থনীতির আগ্রযাত্রা যে কয়টি খাতের ওপর নির্ভরশীল তার মধ্যে অন্যতম রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনসমষ্টি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তারা তাদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠায়। তাদের পাঠানো এই অর্থকে বলে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশে অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব কম নয়। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় অক্সিজেনের মতো কাজ করে। দেশের মোট জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মত। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে বর্তমানে ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বর্তমানে ১৭৪টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। মধ্যপ্রাচ্য সৌদিআরবে রয়েছে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি, তাদের সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ওমান, বাহরাইন, জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কোরিয়া এবং ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের বসবাস। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বল্পসংখ্যক প্রবাসী রপ্তানির মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়, যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সীমিত আকারে যাওয়া প্রবাসীদের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭ জন। ১৯৯৩ সালে এই সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। ২০১৭ সালে রেকর্ডসংখ্যক প্রবাসী বিদেশে পাড়ি জমায়, যার সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৬-৭ লাখ মানুষ বিভিন্ন দেশে যায়। প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ বিদেশে যায়। এসব প্রবাসী বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। স্থানীয় মুদ্রায় যা ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের অর্ধেকের বেশি। এই বিপুলসংখ্যক লোক দিনরাত পরিশ্রম করে শুধু পরিবারে অন্নের সুব্যবস্থা করেনি সচল রেখেছে দেশের অর্থনীতির চাকাকেও। ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা পাঠায় বাংলাদেশে। এটি ধাবমান গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারে। করোনার এই দুঃসময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠায়, যার পরিমাণ ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০.৮৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সচল রেখেছে দেশের অর্থনীতিকে। জীবনযাত্রার মান, কাঠামোগত, নির্মাণ, আবাসন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংক সহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে রেমিট্যন্স। আমাদের দেশের বিপুলসংখ্যক প্রবাসীরা তাদের পরিবারের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টাকা পাঠায়। ফলে সরকারের এই বিপুল পরিবারের জন্য দায়ভার নিতে হয় না। তা ছাড়া প্রবাসীরা যদি নিজের সন্তান বা নিকট আত্মীয় একজন করে আত্মকর্মসংস্থান বা কুটিরশিল্প স্থাপনের জন্য অর্থ সহায়তা করে তাহলে একসঙ্গে যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ও দেশের বেকার সমস্যা লাঘব হবে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হয়। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে কেমন অবদান রাখে তা প্রবাসী অধু্যষিত এলাকা ও অন্য এলাকার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান তুলনা করে দেখলেই বোঝা যায়। প্রবাসী অধু্যষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রম্নত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মতে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসে গিয়েছে কুমিলস্না থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসে গিয়েছে তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। প্রবাসী অধু্যষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। প্রবাসী অধু্যষিত জেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা অন্য জেলার মানুষের তুলনায় অনেক বেশি। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। থমকে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের অর্থনীতি নেতিয়ে পড়েছে করোনার তান্ডবে। যার প্রভাব থেকে মুক্ত নয় দক্ষিণ এশিয়ার ধাবমান অর্থনীতির এই ছোট দেশ বাংলাদেশ। আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতি নিশ্চল ছিল মাত্র কয়েক দিন আগেও। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাসে রীতিমতো গলা শুকিয়ে গিয়েছিল দেশের সুধীজনদের। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে বেকার সমস্যা এমনিতেই প্রকট, করোনা তার ওপর নতুন করে ভয়ের সৃষ্টি করেছে। আমাদের অর্থনীতির আরেক বড় খাত পোশাকশিল্পেও লেগেছে করোনার ছাপ। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি একেবারে তালমাতাল অবস্থা। ভরসা ছিল রেমিট্যান্সের ওপর। কিন্তু সেটাও করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল না। করোনার ফলে রেমিট্যান্সে পরিমাণ কমে যাবে বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেছিল। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির ১৫ দিনেই প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলট-পালট হয়ে যাওয়া ওই হতাশার দিকেই ইঙ্গিত করছিল। ২০২০ সালের মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ২০১৯ সালের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, তাও গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। ১৯ মে তা ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়, ৩১ মে মাস শেষে সেই রেমিট্যান্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। করোনার এই দুঃসময় রেমিট্যান্স যোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। সব কল্পনা মুছে দিয়ে এই কঠিন সময়েও রেমিট্যান্সের সূচক ঊর্ধ্বমুখী রেখেছে বাংলাদেশের প্রবাসীরা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্সে পাঠায় তারা যার পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। করোনার মধ্যে রেমিট্যান্সের এই ঊর্ধ্বগতি সত্যই আশা জাগায়। এই মহাবিপদের মধ্যে তারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, দেশের অর্থনীতিতে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। অথচ আমরা তাদের এই অবদানের কতটা মূল্যায়ন করতে পেরেছি? কতটা নিরাপদ করতে পেরেছি তাদের প্রবাসজীবন? নাকি প্রতিদান দিয়েছি কামলা ডেকে আর প্রবাসজীবনে এক ব্যাগভর্তি দুর্দশা দিয়ে। যদি সত্যই আমরা নিরাপত্তা দিতে পারতাম তাহলে কি 'প্রবাসে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশের নারীশ্রমিক বা বিদেশে অরক্ষিত প্রবাসীরা' এমন খরব পত্রিকার পাতায় দেখতে হতো? করোনার কারণে প্রবাসীদের অনেক কাজ হারিয়েছে, বিশেষ করে যাদের বৈধতা নেই তারা কাজের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে ইতিমধ্য দেশে ফিরেছে। করোনার প্রভাবে ইতিমধ্য ৭ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে- করোনার প্রভাবে বিভিন্ন দেশে থেকে প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফেরত আসতে পারে। জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির জরিপ বলছে, চলতি বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক ফেরত পাঠাবে সৌদি আরব, যা বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ। আর চলতি বছরের মে পর্যন্ত বিশ্বের ১৭টি দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। অনেকে অকালে প্রাণ দিয়ে দিয়েছে। প্রবাসীদের এই অকাল মৃতু্য দেশের অর্থনীতির জন্য সত্যই দুঃসংবাদ। অন্যদিকে বাংলাদেশের শ্রমিক অদক্ষ বা অশিক্ষিত ফলে তাদের নিম্নমানের কাজ দেওয়া হয়। সেসব কাজের ঝুঁকি বেশি কিন্তু বেতন অপর্যাপ্ত। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণে আমরা এখনো পিছিয়ে। প্রবাসীদের সব সমস্যার কথা লিখে শেষ করা যাবে না। তাদের ভোগান্তির শুরু হয় ঘর থেকে। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বেশির ভাগ গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মানুষ। দালালরা প্রবাসজীবনের কষ্টের কথা গোপন করে, উচ্চ বেতন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাজের জায়গা, রাজকীয় জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে বিদেশ পাঠানোর ফাঁদে ফেলে। তারপর পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্ট কার্ড এবং বিমান ভাড়ার ইত্যাদির কথা বলে সূক্ষ্ণভাবে হাতিয়ে নেয় প্রয়োজনের দ্বিগুণ টাকা।। সহজ-সরল এই মানুষগুলো প্রবাসে গিয়ে দুর্দিন পার করে। বাংলাদেশে মাত্র দুটি ব্যাংক প্রবাসীদের বিদেশ যেতে ঋণ দেয়-রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক অগ্রণী ও বেসরকারি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। তাদের প্রদানকৃত ঋণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর খরচও তুলনামূলক অন্যদেশের থেকে বেশি। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৭ লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডেটা পোর্টাল (গরমৎধঃরড়হ উধঃধ চড়ৎঃধষ) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আয় করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপিনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। প্রবাসীদের ভোগান্তি দূর করতে গড়া থেকে কাজ করতে হবে, প্রবাস সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ দালালের ফাঁদে না পড়ে। মানবপাচারকারিদের দমন করতে হবে। দালাল বা মধ্যস্বত্ব ভোগীদের নির্মূলে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের শ্রমশক্তি দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্য কর্মসূচি নিতে হবে। তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ ঠিক রাখতে দক্ষদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিমানবন্দরের ভোগান্তি দূর করতে হবে। তারা আমাদের রেমিট্যান্সে যোদ্ধা, তাদের সেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। অভিবাসন ব্যয় কমাতে হবে, দ্বিপক্ষীয় যুক্তির ক্ষেত্রে ব্যয়ের বিষয়টা সুনির্ধারিত করতে হবে। প্রবাসে তাদের ভোগান্তি দূর করার লক্ষ্য সরকারের সজাগ থাকতে হবে। দূতাবাসগুলোকে স্বদেশী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারকে শ্রমবাজার বৃদ্ধিতে এখনই কাজ করতে হবে। আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের স্বদেশী পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। মহামারির এই দুঃসময় যখন আমাদের অর্থনীতির সব খাত নড়বড়ে তখন এই একটি খাত অর্থনীতির কুপিকে জ্বালিয়ে রেখেছে। সুতরাং দেশের অর্থনীতির প্রাণস্বরূপ এই খাতের উন্ন্‌য়নের জন্য এখনই আশু ব্যবস্থা নিতে হবে।