বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা পরীক্ষার নামে দুর্নীতি প্রতারণা

সাহেদ, আরিফ, সাবরিনা, সংসদ সদস্য পাপুল সবাই মিলে দেশের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি করে চলেছে তা সহসা পূরণ হওয়ার নয়। আরও যে এমন বা ততোধিক ভয়ঙ্কর কত প্রতিষ্ঠান বৈধ/অবৈধভাবে কত দুর্নীতি করে চলেছে তা ভাবতেও শিউরে উঠবে। এর ফলে মানুষের জীবনও যাচ্ছে অসংখ্য। বিনিময়ে অনেকেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেন, যথেষ্ট নিরাপদে। এভাবেই কি চলবে দেশ?
রণেশ মৈত্র
  ১৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

শর্ত একটাই। গণ্যমান্য সরকারি দলীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন। যত ধাপই কোটিপতি হওয়ার জন্য থাকুক না কেন এই প্রথম ধাপটি পার হওয়াই সর্বাপেক্ষা কঠিন। কিন্তু অসাধারণ যোগ্যতার বলে অনেকেই এই ধাপটি পার হয়েছেন। ফলে অচিরেই হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি। কোন পথে? অবশ্যই অসৎ এবং বেআইনি পথে। ফলে আজ বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা গোটা পৃথিবীর মধ্যে প্রায় সর্বাধিক।

দেশের সংবাদপত্রগুলো করোনাসংক্রান্ত খবর ছাড়া আর যত খবরই দিক তাদের ১৬ অথবা ২০ পৃষ্ঠাজুড়ে প্রায়ই তার সিংহ ভাগজুড়ে থাকে নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অসংখ্য দুর্নীতির খবর। আবার বিষয়টি গোপন রাখার অসীম যোগ্যতা যারা ধারণ করেন, সংখ্যায় তারাই সর্বাধিক, তারা নির্বিঘ্নে থেকে যান লোকচক্ষুর নিরাপদ অন্তরালে।

ইদানীং অবাক বিস্ময়ে দেশবাসী লক্ষ্য করছেন, লাখে লাখে মানুষের জীবনহরণকারী করোনা নামক অজানা রোগের ব্যাপারেই ভুয়া 'নেগেটিভ' 'পজিটিভ' রিপোর্ট তৈরি করে প্রতিটি রিপোর্ট হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে জনৈক সাহেদ আজ বহু কোটি টাকার মালিক। সেই সাহেদ, এখন জানতে পারছি, রিজেস্ট হাসপাতাল নামক লাইসেন্সবিহীন এক তথাকথিত হাসপাতালের মালিক।

বিস্ময়ের অন্ত থাকে না যখন আরও জানা যায় যে ওই রিজেস্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকার চুক্তি করেছে-করোনা চিকিৎসা সেখানে বিনামূল্যে হবে, করোনা টেস্টের বাবদেও কোনো প্রকার ফি কোনো রোগীর কাছ থেকে আদায় করতে পারবে না। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর সরকার রিজেস্ট হাসপাতালকে দুই কোটি টাকাও দেয়। এত কিছু হলো কিন্তু হাসপাতালটির যে কোনো লাইসেন্স নেই। এ এক আজব কারখানা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা যায়, স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব প্রমুখ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত।

আজও জানা গেল, সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির একজন সদস্য। সে কারণেই কি সাহেদের সম্মানে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও সরকার চুক্তি করল তার হাসপাতালের সঙ্গে?

রিজেস্ট হাসপাতাল ও তার মীরপুর শাখার্ যাব সিলগালা করেছে। যখন এই ঘটনা ঘটে তখনই সাহেদ খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোন করার মতো ধৃষ্টতা দেখাতে পারল ওই একই কারণে কী? ওই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে অর্থাৎ বিজেস্ট হাসপাতালের বেশকিছু কর্মকর্তা ও মালিক সাহেদের (তিনিই ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে মামলা করলেও সাহেদ সহ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হলেও এর সমাধান কী?

সংবাদপত্র তো মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে একই ঘটনা নিয়ে (নতুন কিছু না ঘটলে) প্রতিদিনই নতুনের নামে পুরাতন রিপোর্ট ছাপতে পারে না। একদিন রিপোর্ট ছাপা বন্ধ করতেই হয়। সেই সময় পার করার অপেক্ষায়ই কি জনগণ? নাকি এর সুরাহা হবে।

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি 'অপরাধীদের কোনো দল নেই।' কথাটা কি আদৌ ঠিক? সাদা চোখেই দেখা যায়, দলীয় সংযোগ ছাড়া দেশে কোনো অপরাধী নেই। যার ফলে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল আজ আর জনসমর্থিত নয়। জননন্দিত নয়ই, বরং জননিন্দিত বললেও অতু্যক্তি হবে না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এরা যে দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের লোকজনকে নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।

বিএনপির 'হাওয়া ভবন' তো হয়ে উঠেছিল কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির কেন্দ্রস্থল বা উৎসস্থল। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোটা পৃথিবীর মধ্যে কয়েক দফায় যা তৎকালীন নানা আন্তর্জাতিক মাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হতে দেখা গেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও বহু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং কালপরিক্রমায় পারও পেয়ে গেছে।

আলহাজ এইচএম এরশাদের কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। দুর্নীতির দায়ে দায়েরকৃত অসংখ্য মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলায় তাকে পুরো মেয়াদে সাজাও খাটতে হয়েছিল। বাদবাকি মামলা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দিব্যি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যেন এরশাদও গণতন্ত্রের মানসপুত্র। যদিও তার আমলে চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাসহ নানা বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের। এছাড়া গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনরত হাজার হাজার কর্মী-নেতাকে বেমালুম জেল খাটাতে ভালোমতো ওস্তাদিও দেখিয়েছেন।

আর্থিক দুর্নীতি ছাড়া বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচারী এরশাদ অসংখ্য নারী কেলেংকারি নায়ক হিসেবেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সমূহে ব্যাপক খ্যাতি(?) অর্জন করতেও সমর্থ হয়েছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত থাকাকালে। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয়তা পার্টির অনেক নেতাই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে নিরাপদে জড়িত ছিলেন।

এবারে জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নারী ধর্ষণ- এমন কোনো হীন অপরাধ নাই যার সঙ্গে তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিলেন না। ব্যাপকভাবে গণহত্যার দায়ে এই দলটির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন। আরও বহু নাম তালিকায় থাকার কথা।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ এমন পর্যায়ে চলে যাবে তা কেউই ভাবতে পারেনি।

শুধু তো সাহেদ নয়- গত বছর বিস্ময়ের হতবাক হয়ে জাতি দেখেছে যুবলীগ নেতা সম্রাট, যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া, কৃষক লীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে মারাত্মক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কেচ্ছা-কাহিনী। তারা আজ কারাগারে বিচারধীন। কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে পত্রপত্রিকার পৃষ্ঠায় অনেক দিন ধরে ওই সময়ে দেখা গেলেও বহুদিন আর দেখা যাচ্ছে না।

জিকে শামীম? তিনিও দুর্নীতির দায়ে সংবাদপত্রগুলোর শিরোনাম হয়ে দেশের মানুষের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরে তার সম্পর্কেও নানা তথ্য পত্রিকাগুলোর পৃষ্ঠায় স্থান পাচ্ছিল। কিন্তু তা গতিবেগ হারিয়েছে যথারীতি-যেমন হারিয়েছে সম্রাট, পাপিয়া এবং অন্যরা। সবারই কিন্তু দলীয় পরিচয় আছে বা ছিল-যদিও ঘটনাগুলো জানাজানি হওয়ার পর প্রথমত তারা দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। কিন্তু গোপনে নেতাদের সঙ্গে আজও সম্পর্ক রেখে চলছেন কিনা-বাইরে থাকা তাদের ঘনিষ্ঠরা এখনো ওই সব কাজে লিপ্ত আছেন কিনা তা জানার কোনো উপায় নেই।

সপ্তাহ দুই আগে আবার এক এমপির নাম সব সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে এই করিতকর্মা সংসদ সদস্যর কুয়েতে অবস্থান, সেখানে বিপুলসংখ্যক মানব পাচার ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে দুবাইয়ের কারাগারে আটক আছে। তিনি এতটাই করিতকর্মা যে কুয়েত সরকারের বহু দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দিয়ে নিজেরও ওই অবৈধ ব্যবসায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

এই এমপির নাম পাপুল। কয়েকদিন হলো জানা গেল, তিনি কুয়েতের নাগরিক নন। তবে সে দেশের 'ফরেনার্স রেসিডেন্টশিপ' আইনে দীর্ঘকাল ধরে সেখানে থেকে তার ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চিত করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে 'পাপুল কুয়েতের নাগরিক হলে তার সংসদ সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হবে' বলে ঘোষণা দেওয়ার পর। কিন্তু একজন সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে বিদেশের মাটিতে বসে মানব পাচার, টাকা পাচারসহ মারাত্মক সব অপরাধ করেও, অর্থাৎ গুরুতর ধরনের অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে তার সদস্যপদ অক্ষুণ্ন থাকবে কেন? এমন আইন থাকলে তা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।

পাপুল অবশ্য যেমন-তেমন কেউ নন। তিনি কোনো দলের সদস্য নন-করত জাতীয় পার্টি। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর জানা গেল তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। অতঃপর মস্ত চমক। আওয়ামী লীগ মনোনীত ওই প্রার্থী কোনো দ্বিধা না করেই তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী পাপুলের পক্ষে মাঠে নেমে জিতিয়ে আনেন পাপুলকে। মোটা দাগে অর্থের বিনিময়েই নাকি এমনটি সম্ভব হয়েছিল। আজ তিনি বিদেশের জেলে তাও মানব পাচার, অর্থ পাচার প্রভৃতি গুরুতর অভিযোগে। বিদেশমন্ত্রী তার সম্পর্কে অতিশয় নরম। কারণ অবশ্য জানা নেই।

কথা বলছিলাম সাহেদের দুর্নীতি প্রসঙ্গ নিয়ে। আবার খবর এলো, একই ধরনের অপরাধে, অর্থাৎ পরীক্ষা না করেই করোনার রেজাল্ট নিয়ে প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকান্ডের দায়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বা জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে যাচ্ছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় বুথ বসিয়ে পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবরিনাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক শ্রেণির কর্মকর্তার যোগসাজশে করোনা পরীক্ষার অনুমতি পায় জেকেজি। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের পৃথক ছয় স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু নমুনার কোনো পরীক্ষা ছাড়াই একদিন পরেই মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে দিন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে। করোনা উপসর্গে ভোগা মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আরিফ-সাবরিনা। শর্ত ছিল সরকার নির্ধারিত লেবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। কিন্তু তা করেনি প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব কর্মীবাহিনী ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিল দালাল বাহিনী। এই প্রতিষ্ঠানটি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে রয়েছে আরও বহু কাহিনী।

জানা গেল, পাবনা জেলার পাকশী রূপপুরে অনুরূপ একটি জাল করোনা রিপোর্টে দিচ্ছিল একটি প্রতিষ্ঠান বিগত কয়েকটি মাস ধরে। অর্থাৎ এখন বোঝাই দুরূহ কোথায় প্রকৃতই করোনা স্যাম্পল নেয় এবং সঠিক রিপোর্ট সরবরাহ করে।

এত কিছুর পরিণতি?

মাত্র কয়েকদিন আগে প্রায় দেড় শত বাংলাদেশি 'করোনা নেগেটিভ' রিপোর্ট নিয়ে ইতালি গেলে রোম বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক তাদের করোনা টেস্ট করলে জানা গেল, মাত্র কয়েকটি ছাড়া বাদ-বাকি সবারই রিপোর্ট পজিটিভ। তাই তারা তৎক্ষণাৎ ওই বিমানেই সবাইকে ঢাকা ফেরত পাঠিয়ে দেন। এখানে আসার পর তাদের স্থান হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ২১ দিনের জন্য।

সাহেদ, আরিফ, সাবরিনা, সংসদ সদস্য পাপুল সবাই মিলে দেশের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি করে চলেছে তা সহসা পূরণ হওয়ার নয়। আরও যে এমন বা ততোধিক ভয়ঙ্কর কত প্রতিষ্ঠান বৈধ/অবৈধভাবে কত দুর্নীতি করে চলেছে তা ভাবতেও শিউরে উঠবে। এর ফলে মানুষের জীবনও যাচ্ছে অসংখ্য। বিনিময়ে অনেকেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেন, যথেষ্ট নিরাপদে। এভাবেই কি চলবে দেশ?

রণেশ মৈত্র : সাংবাদিক, রাজনীতিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<106174 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1