পাঠক মত

গ্রামপর্যায়ে ধর্ষণের বিস্তার মারাত্মক রূপ নিতে পারে

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইউপির মান্দ্রা গ্রামে রাবেয়া আক্তার (২০) নামে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আসলে এমন খবরা- খবরে আমরা এখন বিব্রত হই না, কেমন যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছি, মেনে নিয়েছি সবকিছু। কিন্তু আজকাল ধর্ষণ শুধু শহর-বন্দরেই হয় না, গ্রামের অসহায়-অবলা নারীগুলো আজ ধর্ষণের সহজ শিকার হচ্ছে। কখনও বংশগত কলহের জেরে কখনও সরকারি ভাতার আড়ালে কতশত নারী নিজের সতীত্ব হারাচ্ছে সঠিক তথ্য-উপাত্ত বের করা মুশকিল। তবে এর সংখ্যা যে নেহাত কম নয় তা সবাই জানে। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, আমার গ্রামে হয়তো ঘটছে এমন অহরহ ঘটনা, শুধু সামাজিক সম্মান আর মাতব্বরদের হুমকি-ধমকিতে এসব সবার সামনে কখনও আসছে না। তবে নির্যাতিত নারী আজীবন বয়ে বেড়াচ্ছে মানসিক সমস্যা, নতুবা চাপা অপমান সহ্য করতে না পেরে করছে আত্মহত্যা। ইরানে ধর্ষণের শাস্তি হয় ফাঁসি, আফগানিস্তানে সোজা মাথায় গুলি করে মারা হয়। ফ্রান্স শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ধর্ষকের কারাদন্ড ৩০ বছরও হয়। উত্তর কোরিয়ায় ধর্ষণের সাজা শুধুই মৃতু্যদন্ড। সৌদি আরব ধর্ষককে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে মারা হয়। আর এ শাস্তিগুলো বর্তমানে থাকা সত্ত্বেও এসব দেশে ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। বিপরীতে যে দেশে ধর্ষণের নামে মাত্র শাস্তি হয়, ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়িয়ে যায় এক ডজন উকিল সে দেশের অবস্থা কেমন হবে সহজেই অনুমান করা যায়। বাংলাদেশে ধর্ষণের হার বাড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো বিচারহীনতার। বাংলাদেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার অল্প পরিমাণকেও যদি দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হতো তাহলে এ পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন হতো। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ধর্ষকের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাজনৈতিক ব্যক্তি বা এলাকার মাতব্বররা। প্রশাসন যদি এই সময়েই এটার লাগাম টেনে না ধরে, শক্ত কোনো আইন জারি না করে। সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নগুলোকে সার্থক করা দূরে থাক, শত-শতাব্দী পিছনে চলে যাবে প্রিয় স্বদেশ। আবু জাফর, ঢাকা