করোনাভাইরাস রোধে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিন

আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়াল

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বই ভয়ানক অবস্থার মুখোমুখি। দেশেও ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ ক্ষেত্রে উলেস্নখ করা দরকার, গত ১৮ জুন ১৭তম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ পার করেছিল বাংলাদেশ। এক মাস পর শনিবার ১৭তম দেশ হিসেবেই ২ লাখ পার করল। আমরা বলতে চাই, যখন করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেল, স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সঙ্গত কারণেই সার্বিক চিত্র আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করা। বলা দরকার, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা এসেছিল। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। আমরা বলতে চাই, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। কার্যত বিশ্ব থমকে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন করা হয়েছে এবং তা আবার শিথিলও করা হচ্ছে। দেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে ক্রমাগত। সঙ্গত কারণেই এটা ভুলে যাওয়া যাবে না, করোনা রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ জারি রাখার বিকল্প নেই। এটাও আমলে নেওয়া সমীচীন, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ফলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও সামগ্রিক প্রস্তুতির বিষয় খতিয়ে দেখে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কেননা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা যে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এটাও মনে রাখতে হবে যে, সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আতঙ্কও বাড়ছে ক্রমাগত। দেশে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কার্যত পুরো বিশ্বই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দিশাহারা। ফলে দেশেও যখন দ্রম্নত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা যখন দুই লাখ ছাড়াল তখন বিষয়টিকে সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি জারি রাখতে হবে। একই সঙ্গে আমলে নেওয়া দরকার, করোনা পরীক্ষার নমুনাসহ নানারকম প্রতারণার বিষয় সামনে এসেছে- যা আমলে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেখানে করোনার কারণে সবকিছুই থমকে গেছে, সেই পরিস্থিতিতেও যদি করোনা নিয়ে কোনো প্রকার বাণিজ্য হয় তবে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফলে এই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলেই প্রতীয়মান হয়। উলেস্নখ্য, গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহানে নতুন ধরনের একটি ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসটির সংক্রমণকে বিশ্ব মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশের সরকার বিধিনিষেধ জারি করে এবং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়। বাংলাদেশেও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি বারবার বলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াল, এর পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও দুই হাজার পেরিয়ে গেছে। ফলে এখনই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ভুলে যাওয়া যাবে না, সারা বিশ্বই কার্যত করোনার কারণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি। আর এই মহামারি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি ভিন্ন কোনো পথ নেই। ফলে যে সংকটগুলো সামনে আসছে তা আমলে নিতে হবে এবং প্রত্যেকেই যেন সচেতন হয় সেই বিষয়কে সামনে রেখে উদ্যোগী হতে হবে। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটি ৪২ লাখের বেশি। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। আর দেশেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াল। সঙ্গত কারণেই সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক এমনটি কাম্য।