শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

সৎ সরকারপ্রধান তিনি। তার সততা, সাহস, নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতা বিশ্ব সম্মানের সঙ্গে স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশটি এখন বিশ্ব সভায় সমাদৃত। করোনাকালেও তিনি দমে কিংবা থেমে যাননি, জনগণের পাশে রয়েছেন।

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

মাহবুব-উল-আলম খান
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশের রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। ইতিহাসের দুই মীরজাফর মোশতাক ও জিয়া ৩০ লাখ শহীদ ও চার লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত সুমহান স্বাধীনতার মূল চেতনাকে ছিন্নভিন্ন করেছে। যে চিন্তা-চেতনা মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা, এই দুই শয়তান সেই মূল স্তম্ভকে স্বাধীনতার শৈশবেই দারুণভাবে ব্যাহত করেছে। মোশতাক ও জিয়া এই দুই পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফরদ্বয়কে বাঙালি জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না। জাতির পিতার পবিত্র লাশ ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে আছে, আর বেতারে এসে হত্যাকারী কুলঙ্গার ডালিম শয়তানরা তা সদর্পে উচ্চারণ করেছে। তারা উর্দু ভাষায় তাদের উলস্নাশ প্রকাশ করেছে। দুর্ভাগ্য আমাদের বাঙালি জাতির। এই বাস্টার্ডদের মুখে 'বাংলাদেশ বেতার' হয়ে গেল 'রেডিও বাংলাদেশ' এবং 'জয়বাংলা' হয়ে গেল 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ'। ৩০ লাখ শহীদ ও চার লক্ষাধিক নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও ধর্ষিতা মা-বোনের এরা অপমানিত করল। বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানি চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ঢুকে পড়ে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েই। ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক মোশতাক-জিয়া ও তাদের মুষ্টিমেয় সমমনারা। হত্যা বাস্তবায়নের ছদ্মবেশী আসল নায়ক জিয়া সবই জানতেন। কর্নেল ফারুখ রশীদের সাক্ষাৎকারের বক্তব্য শুনলে তাই যথেষ্ট প্রমাণ। তাই তো জিয়াকে জাতির পিতার হত্যার খবর শুনানোর পরপরই বললেন 'ঝড় যিধঃ :যবৎব রং ারপব ঢ়ৎবংরফবহঃ.' তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধীরস্থির মস্তিষ্কের মূল হত্যাকারী। মোক্ষম সময় ও সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। সেদিন ইতিহাসের মীরমদন ও মোহনলালের মতো জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন কর্নেল জামিল। কিন্তু ঘাতকের হাতে তাকে প্রাণ দিতে হলো। সেনাপ্রধান, উপ-সেনাপ্রধান বা অন্য কোনো সেনা কর্মকর্তারা সেদিন ছুটে আসেননি। জাতির পিতার নীরব নিস্তব্ধ দেহ ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটির সিঁড়িতে পড়ে রইল। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা সিঁড়ি বেয়ে ধানমন্ডি লেকের দিকে ধাবিত হলো। প্রকৃতি কাঁদল, আমরা অসহায়ের মতো কাঁদলাম। ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা জিয়া-মোশতাক, তাহের, ওবায়েদ, মোয়াজ্জেম, মঞ্জুর, ফারুখ রশিদ, নূর, পাশা, মাজেদ, মোসলেহ উদ্দিনসহ সব কুলাঙ্গাররা অট্টহাসি হাসল এবং ইতিহাসের গতিকে স্তব্ধ করে দেওয়া হলো। সেই থেকে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণার আর এক বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ ও অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবিনাশী চেতনাকে ও কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্নের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশকে ঠেলে দেওয়া হলো সম্পূর্ণ বিপরীত ধারায়। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আর এক পাকিস্তানি বাংলাদেশের। হঠাৎ করেই সব যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পাকিস্তানি দালালরা ছাড়া পেয়ে গেল। পূর্বপাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক পাকিস্তানি দালাল যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম স্বশরীরে বাংলাদেশে হাজির হলো। তাকে বাতিলকৃত নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হলো। এমনি অনেক দালালই পুনর্বাসিত হলো। সবই হলো জিয়ার বদৌলতে। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হলো। একই ধারায় জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশে শাসন, শোষণ, লুণ্ঠন ও দুঃশাসন চালাল। ৭১-এর চেতনার বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দেওয়া হলো। তাদের সামরিক শাসন, স্বৈরচারী শাসন ও রাজাকার শাসনের জাঁতাকলে এ দেশের মানুষ পিষ্ট হলো। ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর খন্দকার মোশতাক মাত্র তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল। তারপরই ক্ষমতা দখল করল আসল নায়ক মীরজাফর জিয়াউর রহমান। ক্ষমতা গ্রহণ করে জিয়া সদম্ভে উচ্চারণ করল 'ও রিষষ সধশব ঢ়ড়ষরঃরপং ফরভভরপঁষঃ ভড়ৎ :যব ঢ়ড়ষরঃরপরধহং. গড়হবু রং হড় ঢ়ৎড়নষবস.' সেই যে রাজনীতি কলুষিত হলো তার খেসারত এ দেশের জনগণ আজও দিচ্ছে। দীর্ঘ ২১ বছর জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারায় ধাবিত করল। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, সংগ্রাম পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো। আওয়ামী লীগের হাল ধরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকের প্রধানমন্ত্রী। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতার মূল ধারাকে তিনি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলেন। জাতির পিতার হত্যার পর ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামগ্রিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাকে বিকশিত করল। পার্বত্য শান্তিচুক্তি, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা, বিদু্যৎ ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ সামগ্রিক সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হলো। ২০০১-এর সালসা নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়া হলো। বিএনপি জামায়াতের ২০০১-২০০৬-এর শাসনকাল একটি হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অরাজকতা, সম্পদ লুণ্ঠন ও দুঃশাসনের করুণ ইতিহাস। হাওয়া ভবনের কর্ণধার খালেদাপুত্র তারেক জিয়া পরিকল্পিতভাবে এ দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। ২০০১-২০০৬ সাল ছিল বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালের এক বর্বরতার কাল। সংখ্যালঘুদের জন্য, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সবচেয়ে দুর্দিন কাল। রাজাকারদের উন্নতি হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধারা চাকরিচু্যত হয়েছে। এদের কু-কর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এ সময় অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা, আহসানউলস্নাহ মাস্টার হত্যা, মঞ্জুরুল ইমাম হত্যা, মমতাজউদ্দিন হত্যা, কিবরিয়া হত্যা, উদীচী হত্যাসহ অসংখ্য হত্যার ইতিহাস সংঘটিত হয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, দখল, দেশছাড়া ইত্যাদি ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। শত ফাহিমা, মহিমা ও পূর্ণিমার চোখের জলে বাংলার আকাশ গুমরে কেঁদেছে। সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা ছিল ২১ আগস্ট ২০০৪-এর আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড বোমা হামলা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তির সমাবেশে গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে, আওয়ামী লীগের সব নেতাসহ হত্যা করার নীল-নকশা ছিল কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়ার। বিধাতার অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গেছেন। নেতারা মানব বলয় সৃষ্টি করে তাকে রক্ষা করেন। আইভি রহমানসহ ২৪ জন মানুষ সেদিন অকাতরে প্রাণ দেন। তখন সংসদ চলছিল। এ নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা করতে দেয়নি স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার। খালেদা জিয়া মশকরা করে বলেন, 'শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে সভায় গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। তাকে আবার কে মারতে যাবে।' আজ যখন সব সত্য উদ্‌ঘাটিত হলো এখন কি জবাব দেবেন? আদালতের রায়ে প্রমাণিত হলো এর মূল নায়ক তার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়া। আদালতের রায়ে এই হত্যার নায়ক ও কুশীলবদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। সব ঘটনাপ্রবাহের তথ্য, গতি ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে তা স্পষ্ট এই হত্যা খালেদার জ্ঞাতসারেই হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া। অতএব, এই হত্যার নেপথ্য নায়ক তিনি নিজে। সংসদে তার উক্তি তাই প্রমাণ করে তিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার আসল কুশীলব। পরে জজ মিয়া নাটক সৃষ্টি করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন। বিচারপতি জয়নাল আবেদিন দ্বারা প্রণীত তদন্ত রিপোর্ট আর একটি অসভ্য পরিহাস। কিন্তু পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আজ সেই হত্যার বিচার হয়েছে। বিচারে রায়ের তথ্যাবলি ও সাক্ষীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এই ঘটনায় খালেদার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এখন খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনার জন্য মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এই হত্যার রায়ে ১৯ জন মৃতু্যদন্ড পেয়েছেন এবং তার ছেলে তারেকসহ ১৯ জন যাবজ্জীবন করাদন্ড পেয়েছেন। আইনের চোখে সবাই সমান। সরকারপ্রধানের পদে থেকে এই অপরাধ অমার্জনীয় অপরাধ। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর এই হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার জন্য সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কি বিচার হবে না? আশা করি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে না। শত ঘাত-প্রতিঘাত ষড়যন্ত্র ইত্যাদি পেরিয়ে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়। পরে ২০১৪-এর নির্বাচনেও মহাজোট বিপুল বিজয় লাভ করে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ সালে শত ষড়যন্ত্র, হত্যা, সন্ত্রাস, অরাজকতা তান্ডব চালিয়েও ২০১৪-এর নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। এই নির্বাচনেও বিপুল বিজয় পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। ২০১৫-তে আবার ৯০ দিনের অবরোধ ও অরাজকতা অগ্নিসন্ত্রাস, পেট্রোলবোমা চালিয়ে সরকার উৎখাত করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত একটি অশুভ শক্তি। সরকার উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সৎ সরকারপ্রধান তিনি। তার সততা, সাহস, নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতা বিশ্ব সম্মানের সঙ্গে স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশটি এখন বিশ্ব সভায় সমাদৃত। করোনাকালেও তিনি দমে কিংবা থেমে যাননি, জনগণের পাশে রয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ দেশকে উপহার দিয়েছেন দুর্নীতি, দুঃশাসন, হত্যা, সন্ত্রাস, লুট-পাট, সম্পদ পাচার, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন। তার ছেলে ২০০১-২০০৬ সালের ক্ষমতাকালে সৃষ্টি করেছেন 'হাওয়া ভবন' অর্থাৎ দুর্নীতি ভবন এবং 'খোয়াব ভবন' নামক প্রমোদ ভবন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের উচ্চতর শিখরে আরোহণ করেছে। বিশ্ব তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। বিশ্বে তিনি আজ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। উন্নয়নের রোল মডেল। ১৭ কোটি মানুষ তার দিকেই তাকিয়ে আছে আগামী এক সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা। আগামী ২০৪১-এ এ দেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এক উন্নত দেশ হিসেবে। বর্তমান প্রজন্ম খুঁজে পেয়েছে নতুন সূর্যের হাতছানি। রত্নগর্ভা মা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে ও অটিজমে দুটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ জন্য আমরা গর্বিত। আজ একথা বলতেই হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার বিকল্প আর কেউ নেই। সারা বিশ্বে তার নেতৃত্ব জ্বল জ্বল করে জ্বলছে সব মানুষের কল্যাণের জন্য। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সীমান্ত বিজয়, সমুদ্র বিজয়, আকাশ বিজয়, স্থলে মেট্রোরেল, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, জলে সাবমেরিন সবই শেখ হাসিনার অবদান। পদ্মায় সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে অনন্য উচ্চতায়। চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ, মাদার অব হিউম্যানিটি, স্টার অব দি ইস্টসহ বিশ্বের অনেক উপাধিতে তিনি ভূষিত। ছাত্রদের 'মাদার অব এডুকেশন' ও কওমি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে 'কওমি জননী' খেতাবপ্রাপ্ত দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীকে সব দেশবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জানাই লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র ও অপকর্ম ধ্বংস হোক। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, দেখান ও বাস্তবায়ন করেন। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতায় তিনি বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই করোনাকালেও তিনি যেভাবে জনগণের পাশে আছেন তা সত্যিই বিরল। \হ মাহবুব-উল-আলম খান : মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সচিব