ঈদে দুষ্কৃতকারীদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দেশের সর্বত্র হাজারো দুষ্কৃতকারীর অবস্থান। দেশের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে নিজের স্বার্থ হাসিল করা তাদের প্রথম অভিপ্রায়। এসব দুষ্কৃতকারীর মধ্যে জাল নোট এবং মলম পার্টি অন্যতম। ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে এদের দৌরাত্ম্য স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেগবান হয়। জাল নোট সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতি ঈদের বাজারে লাখ লাখ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে পড়ার হিড়িক উঠে থাকে। সামনেই আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশুর হাট থেকে সাধারণ বাজার, শপিং মল থেকে ফুটপাত, সুপার শপ থেকে কাঁচা বাজার নানা জায়গায় এই সময় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হবে। ঈদ উপলক্ষে এই সময় প্রচুর বেচাকেনা এবং অতিরিক্ত ভিড় থাকায় নানা ধরনের প্রতারকচক্র সক্রিয় হয়ে উঠতে চেষ্টা করে। বিশেষ করে কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকার ব্যবহার এবং পশু বিক্রি বা ক্রয়ের পর বাড়ি ফেরার পথে মলম পার্টির দৌরাত্ম্য যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রাজধানীসহ সারাদেশেই তারা সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব এবং সরলতার সুযোগে বিক্ষিপ্তভাবে একত্রিত হয়ে এই ঘৃণ্য কাজগুলো সম্পাদান করে থাকে। সারা বছর কষ্ট করে বড় করে তোলা পশু বিক্রির টাকাটা যখন জাল হয় বা বাড়ি ফেরার পথে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে তখন হাজারো স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। অনেক সময় স্বপ্নের সঙ্গে প্রাণটাও চলে যায়। প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের এই সময়টাতে প্রায় প্রতিদিনই এসব ঘটনা পত্রিকার পাতায় স্থান করে নিচ্ছে। এমন অবস্থায় সাধারণ জনগণের দাবি করোনাকালের এই মহাদুর্যোগের সময় এই বছর যেন এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তাই প্রশাসনের কাছে জাল টাকা এবং মলম পার্টির দৌরাত্ম্য রোধকল্পে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ কঠোর নজরদারির জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। আফসারুল আলম মামুন পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপিস্নন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়