জীবন ও জীবিকা ফর্মুলা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রিয় আপা, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আমরা একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছি। আজ করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় মানবজীবন কঠিন সংগ্রাম মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কোথাও আজ স্বস্তি নেই। সুস্থভাবে পরিবার, প্রিয়জন নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টায় সবাই যারপরনাই যুদ্ধ করছে। তবুও আপা, এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকি আপনার সুরক্ষা নিয়ে, আপনার সুস্থতা নিয়ে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে এই বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে আপনি কেমন আছেন? আপা, আপনার কাছে গেলে আবেগে উদ্ভাসিত হয়ে পড়ি। তাই নিজের প্রয়োজনের কথা, অভাব, অনুযোগের কথা বলতে গিয়ে কখনো বলতে পারিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসি। পত্রিকায় পাতা খুললেই চোখে পড়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একাই লড়ছেন আপনি (শেখ হাসিনা) আপা, সারাদেশ সারাক্ষণ মনিটরিং করছেন একাই। আপনার চারিপাশে এত মানুষ, তবুও সংকটকালে সতীর্থের বড়ো অভাব! এমন পরিস্থিতি জাতির পিতার সময়েও ছিল। এই খবরটা পড়লেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে! চোখের কোণে জল ছলছল করে। কখনো কখনো কেঁদে উঠি। যে কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি অনেক দৃঢ়চেতা, অটল, অনল, অবিনাশী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে পারেন তাই হয়তো আপনি ভেঙে পড়েন না। সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের অত্যন্ত সাহসিকতা আর সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। এই বিশ্বগ্রাসী করোনাভাইরাসের মধ্যে আবার সুপার সাইক্লোন 'আম্ফান-এর জন্য ত্বরিত ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে খাবার দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি একেবারেই নূ্যনতম পর্যায়ে রেখেছেন তা 'দ্যা গার্ডিয়ান'সহ বিশ্ব মিডিয়ায় আপনার নেতৃত্বের প্রশংসায় স্থান পেয়েছে। করোনাভাইরাস ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন আপনার প্রিয় জনগণকে। গত কয়েকদিনে দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী বিশেষ করে আপনাকে কাছে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রাণহানিতে আপনাকে খুবই মর্মাহতো হতে দেখেছি। আপা এই পরিস্থিতিতে আপনাকে আরো শক্ত হতে হবে, বাংলার জনগণের জন্য। বাংলার ১৭ কোটি জনগণ উপরে আলস্নাহ নিচে (শেখ হাসিনা) আপনার সাহায্যের অপেক্ষায় দিনাতিপাত করছে। বাংলার জনগণের জন্য আপনিই নির্ভরতার প্রতীক। আপনি আশার বাতিঘর। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীনও আপনাকে ঘিরেই আমরা আজো আশায় আলো দেখতে পাই। \হবৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পৃথিবীর সব দেশকেই আক্রান্ত করেছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে, বিশ্বের বাঘা বাঘা নেতারা যখন করোনার ভয়াল থাবায় দিশেহারা, তখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব চলছে আপনার নির্দেশিত 'জীবন ও জীবিকা' ফর্মুলায়। সংকটকালীন সময়ে এরকম দুঃসাহসিক দৃঢ়তা দেখানো তো শুধু আপনার পক্ষেই দেখানো সম্ভব, আপা। \হযেমনটা আপনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েও দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আলো হাতের আঁধারের কান্ডারি হয়ে আপনি এসেছিলেন বাংলার মানুষের আলোর দিশারি হয়ে। আর আজ আপনি বাংলার মানুষের নির্ভরতা দিয়ে আশার আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বব্রহ্মান্ডে... তাই আজ শুধু বাংলার মানুষ নয়, বিশ্ব মিডিয়া, বিশ্বের সচেতনগোষ্ঠী, বিশ্ব নেতারা মনে করেন খুবই প্রয়োজন আপনার বেঁচে থাকা। খুবই প্রয়োজন আপনার স্বাস্থ্যসুরক্ষা। খুবই প্রয়োজন আপনার সুস্থ থাকা। আপা, আপনি সুস্থ থাকলেই, পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে। কথাটা শুধু কথা নয়, আমার বিশ্বাস। ইতি আপনার নির্ভীক কর্মী তানিয়া সুলতানা হ্যাপি সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ