থানায় বোমা বিস্ফোরণ

কার্যকর পদক্ষেপ নিন

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকাসহ সারাদেশে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে মাঠে নামার চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দুর্র্ধর্ষ জঙ্গিরা- সম্প্রতি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পরর্ যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। এরপর সপ্তাহ না ঘুরতেই ইমপ্রোভাইজড এক্সপেস্নাসিভ ডিভাইস (আইইডি) বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা মহানগরীর পলস্নবী থানা। তথ্য মতে জানা যায়, বুধবার সকালে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও একই কথা জানিয়েছেন। তবে উলেস্নখ্য যে, এতে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা না থাকলেও এ ধরনের হামলার আশঙ্কা দেশব্যাপী সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করার পরও পলস্নবী থানা পুলিশ কীভাবে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশেষ ডিভাইস এতটা অসতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে এটির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে- এমনটি প্রকাশিত খবরে উঠে এসেছে। আমলে নেওয়া দরকার, এ বোমাটি আরও শক্তিশালী হলে ব্যাপক প্রাণহানি হতো- এমন উদ্বেগের বিষয়টিও জানা যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এই ঘটনাটি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বলা দরকার, পলস্নবী থানা পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, বুধবার সকাল ৭টায় থানার ভেতর বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের পর গোটা থানা ভবন কেঁপে ওঠে। এ সময় থানার বেশ কয়েকটি জানালার কাঁচ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে থানার বিশেষ টিম পলস্নবী-কালশী কবরস্থানে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি ও একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সেগুলো থানার ডিউটি অফিসারের রুমে রাখা হয়। বুধবার সকালে ডিজিটাল ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়। বোমা বিস্ফোরণে থানার দ্বিতীয় তলার একটি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। ডিজিটাল ডিভাইসটির মধ্যে দুটি তাজা বোমা ছিল। থানা পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃত তিন সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর সহযোগী। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, স্থানীয় এক রাজনীতিককে হত্যার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তাদের সঙ্গে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা নেই বলে থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। যদিও বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমনটিও জানা গেছে। আমরা বলতে চাই, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কিংবা জঙ্গিবাদ যেটাই হোক না কেন, বিভিন্ন সময়েই ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে আমলে নিতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এটা ভুলে যাওয়া যাবে না, বিভিন্ন সময়েই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটে, যার মধ্য দিয়েও তাদের সক্রিয়তা প্রকাশ পায়। ফলে যে কোনো ধরনের উগ্রপন্থি বা সন্ত্রাসীগোষ্ঠীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্র্মূলে যেমন কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। তেমনিভাবে কোনো ধরনের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যেন মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেটাও আমলে নিতে হবে। সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে মাঠে নামার চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দুর্র্ধর্ষ জঙ্গিরা- এমন শঙ্কার বিষয়টি আমলে নেওয়াসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কার্যকর উদোগ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় সব ধরনে পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে এমনটি কাম্য।