পাঠক মত

বখাটেপনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে বখাটেপনা। শহরের অলি-গলি থেকে গ্রামগঞ্জে বখাটেদের উৎপাত যেন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কন্যাশিশু থেকে গৃহবধূরাও রক্ষা পাচ্ছে না বখাটেদের হাত থেকে। বখাটেদের জন্য আজ অস্বস্তিতে আছে পুরো সমাজ। এমনকি মানুষরূপী এসব হায়ানার উৎপাত এতটাই তীব্র যে, বাবা-মা কন্যাসন্তানকে স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না। অনেকে প্রতিবাদও করছেন না প্রতিবাদ করলেই বিপদে পড়তে হয় তার পুরো পরিবারকে। তাই কেউ প্রতিবাদও করেছে না, অনেকটা অসহায় যেন কন্যাশিশু ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। পশুতুল্য বখাটেদের উৎপাত ক্রমেই মহামারী রূপ নিচ্ছে। বখাটেদের বখাটেপনায় ইতোমধ্যে অনেক কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, অপহরণ হয়েছে। ভিকটিম পরিবারগুলো মামলাও করতে চায় না, বখাটেদের ভয়ে ও প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতায়। আবার বখাটেপনায় বখে যাওয়া ছেলেদের পরিবার যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। কিছু বলতে গেলেই বখাটেদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় নিজ বাবা-মা। বখাটেদের এ ধরনের পাশবিক উৎপাত বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে কন্যাশিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। এখনি বন্ধ করতে হবে এসব বখাটেপনা। প্রতিটি থানায় পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে। কেননা যে কোনো ধরনের অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে তারা আরো বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া যাবে না। আর বখাটেপনার মতো এমন ঘৃণ্য কাজ রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মূল্যবোধ জাগ্রত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সোচ্চার হাতে হবে এমন অপরাধ ও ঘৃণ্য মানসিকতার বিরুদ্ধে। আর এগিয়ে আসতে হবে বর্তমান প্রজন্মকেই। সর্বশেষ আমাদের সমাজ থেকে হত্যা, ধর্ষণ, যৌনহয়রানি নির্যাতনসহ সব বখাটেপনা বন্ধে রাজনৈতিক নেতা/নেত্রী শিক্ষক/শিক্ষিকা প্রশাসন, সমাজের পাশাপাশি অভিভাবকদের বখাটেপনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শামীম মিয়া শিক্ষার্থী জুমারবাড়ী আদর্শ কলেজ, গাইবান্ধা