করোনাকালে মধ্যবিত্তরা কি টিকে থাকতে পারবে?

যারা দরিদ্র তারা বিত্তবানদের পেছন থেকে টানে না, টানে মধ্যবিত্তকে। কারণ মধ্যবিত্তরা অনেক মানবিক ও সংবেদনশীল। মধ্যবিত্ত তার অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য নিয়ে সমাজে টিকে থাকতে পারবে কি না, সে এক বিরাট প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সঠিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে সরকারসহ দেশের সচেতন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেই।

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
করোনাকালে মধ্যবিত্তের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাদের ইচ্ছে পূরণের জায়গাগুলো ধীরে ধীরে সংকোচিত হয়ে পড়ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা ও স্বপ্ন প্রতিনিয়ত মাঠে মারা যাচ্ছে। তারা হয়ে পড়ছে হতাশাগ্রস্ত ও দিশাহারা। ছোট হয়ে যাচ্ছে তাদের মনও। কেবল অর্থনৈতিক কারণেই অনেক পরিবারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শারীরিক নির্যাতন, হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। যার সরল কথা হচ্ছে মহামারিকালে গরিবের নুন আনতে পান্‌তা ফুরোয় অবস্থা এখন ভর করেছে মধ্যবিত্তের ওপর। করোনার কয়েক মাসে জীবনযাত্রার মান নেমে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত এখন নিজের পতন নিজেই দেখছে আর হতাশ হচ্ছে। মূলত মধ্যবিত্তের জীবন এখন হতাশার কাফনে মোড়া। কেউ চাকরি হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন ব্যবসা। কেউ আবার সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাচ্ছেন। মধ্যবিত্তের সংকট সমস্যা টানাপড়েন যেভাবেই বলি বা ব্যাখ্যা দিই না কেন, এটা আর্থ-সামাজিক ও পারিবারিক। তবে মূল সংকট হচ্ছে অর্থনৈতিক। প্রশ্ন ওঠতে পারে- মধ্যবিত্তের এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? কেবল কি করোনা মহামারি? নিজেদের ভুল ও উচ্চাভিলাস তো আছেই। পাশাপাশি সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার এ দায় এড়াতে পারে না। সমাজে মধ্যবিত্ত এমন একটি শ্রেণি- যারা সীমিত আয়ের মানুষ। অথচ জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে বাসাভাড়া, বাসভাড়া, গ্যাস, বিদু্যৎ ও পানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্তের অবস্থা বড়ই করুণ। করোনাকালে বাসাভাড়া দিতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত গ্রামে চলে গেছেন। গ্রামে গিয়েও তাদের শান্তি নেই, স্বস্তি নেই। গ্রামের মানুষ তাদের আগের মতো গ্রহণ করছে না। এমন কি আত্মীয়স্বজনরাও। তা ছাড়া করোনাকালের আগে থেকেই তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে এখন বিশাল ব্যবধান। কেবল অর্থের কারণেই মধ্যবিত্ত তাদের সন্তানদের দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারে না, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করাতো দূরের কথা। মধ্যবিত্তের একমাত্র উপার্জনক্ষম যে ব্যক্তি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে, অথবা যে মহিলা বিধবা, এদের যে অংশ ব্যাংক কিংবা সঞ্চয়পত্রনির্ভর তাদের অবস্থা কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর সুখকর নয়। আর যে অংশ তাদের পুঁজি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে তাদের অবস্থাই বা কেমন? এই প্রশ্নও অনায়াসে সামনে চলে আসতে পারে। শেয়ারবাজারে তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশিরভাগই এখন পথে বসেছে। শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল বাজার। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ নানা কারণেই বাজারে ধস নামতে পারে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং পরে দরপতন ঘটিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি। এর ফলে দেশের ৩০ লাখ পরিবার পথে বসেছে। একাধিক ব্যক্তি আত্মহত্যাও করেছে। ব্যাংক আমানতে মুনাফার হার কমে যাওয়া এবং পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থার কারণে মধ্যবিত্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রত্যাশায়। সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কমিয়ে দিয়েছে। এর আগে সরকার নারী তথা গৃহবধূদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তুলতে পরিবার সঞ্চয়পত্র চালু করেছে। এটাও একটি ভালো উদ্যোগ। তবে পরিবার সঞ্চয়পত্রসহ সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে যাওয়ার কারণে মূলত আঘাত এসেছে মধ্যবিত্তের ওপর। অন্যদিকে ব্যাংকের সুদের হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। এই অবস্থায় করোনা মহামারি শুরু হওয়ায় অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এভাবে তারা কতদিন বেঁচে থাকতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। মধ্যবিত্তের খরচের তিনটি দিক বেশ ব্যয়বহুল। বাসাভাড়া, শিক্ষা ও খাদ্য। যারা রাজধানী ঢাকায় থাকেন তাদের কথা বলাই বাহুল্য। কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিবছর বাসাভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়। শিক্ষা পরিস্থিতিও একই। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালান তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক মানসিকতা অত্যন্ত প্রকট। তারা নানা অজুহাতে অভিভাবকদের গলা কাটছে। করোনাকালেও তারা বেতন নিচ্ছেন। অনলাইনের নামে যা পাঠদান করা হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীদের কতটুকু কাজে আসছে, তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনলাইনে ক্লাশ করতে পারছে না। আর খাদ্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণেও দেশের মধ্যবিত্তের দিশাহারা অবস্থা। মধ্যবিত্ত তাদের সঞ্চয় থেকে যে মুনাফা পায়, দেশের মূল্যস্ফীতি তার চেয়ে বেশি। এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার। মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের একটা বড় অংশ চিকিৎসা খাতে চলে যায়। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক পরিবারই পথে বসেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে চাল-আটা, মাছ-মাংস, শাক-সবজি সব কিছুর দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী। 'মাছে-ভাতে বাঙালি'- কথাটা পুরনো হলেও এর উপযোগিতা বা অনিবার্যতা এখনো হারিয়ে যায়নি। এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ। মাছ-ভাতনির্ভর বাঙালি যদি চাহিদা মতো এসব কিনতে না পারে কিংবা কিনতে হয় উচ্চমূল্যে- তবে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে। বাজারে নাজিরশাইল, মিনিকেট, মোটা চাল সব ধরনের চালের দাম এখনো অনেক বেশি। অতীব গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপণ্য দুই মাসের বেশি সময় ধরে উচ্চমূল্য ধারণ করেছে। রাজধানীর প্রায় সব খুচরা ও পাইকারি বাজারে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। এক কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ২০০ টাকা। বিক্রেতারা বন্যার অজুহাত তুলছে। এটা কি মেনে নেয়া যায়? আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আলু ও কাঁচা মরিচ নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। কেবল পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। কৃষিভিত্তিক এ পণ্য দুটি ছাড়া শাকসবজি, মাছ-মাংস, তরিতরকারি এক কথায় রান্নাবান্না একেবারে অচল। রান্না করা ওইসব খাদ্যের স্বাদের মান বাড়াতে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ অদ্বিতীয়। এ কারণে যুগ যুগ ধরে রান্নাঘরে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ একটা অনন্য আসন অধিকার করে আছে। ধনী-গরিব সবার ঘরে এই দুটি পণ্যের চাহিদা সমান। সেই সঙ্গে গুরুত্বও সমান। কাঁচা মরিচ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টাল। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অথচ মধ্যবিত্তরা আগের মতো আর আলু ও কাঁচা মরিচ কিনতে পারছে না। আর গরিবদের কথা বলাই বাহুল্য। কর্মহীন গরিব মানুষের দিন চলছে এখন সরকারি ত্রাণের ওপর। সরকার এ পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। সরকারের এই দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এ দেশের একশ্রেণির অসৎ ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণেই এই বিপন্ন অবস্থা। জনগণকে বারবার দুর্ভোগ ও অসহায়ত্বে ফেলে দেয়া ন্যায়সঙ্গত কাজ নয়। বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কী কারণে দাম বাড়ানো হয়েছে তা বোধগম্য নয়। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গ্রাম ও শহর সর্বত্রই মূল্যস্ফীতির এই পাগলা ঘোড়া ধাবমান। মূল্যস্ফীতির প্রথম প্রভাবই হলো মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। যে কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়লে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে। বিপাকে পড়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও। কারণ ক্রয়সীমার বাইরে চলে যায় পণ্যমূল্য। এতে চাহিদা মেটাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত দরিদ্র হয়ে পড়েন। এটা ঠিক যে, জোগানের চেয়ে চাহিদা বেড়ে গেলে এবং এ বাড়ন্ত অবস্থা চলতে থাকলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। এ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ভাবনা উদ্রেককারী এবং অর্থনীতির জন্য এক ধরনের সতর্ক বার্তা বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর কু্য প্রভাব নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সবার ওপরই পড়ে। একটি উন্নয়নকামী দেশের জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। মূল্যস্ফীতির কারণে এবং করোনা সংকটে মধ্যবিত্ত পরিবারের খাদ্যতালিকা বদলে গেছে। নিয়মিত মাছ-মাংসের পরিবর্তে এখন সবজি, ডাল, ডিম, ভর্তা এসবই নিয়মিত হয়ে পড়েছে। করোনার সময়ে ডিমের দামও বেড়ে গেছে। অতিথিপরায়ণ মধ্যবিত্ত এখন অতিথিকেও এড়িয়ে চলতে চায়। অর্থনীতির বাড়তি চাপ নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নেই। এমনকি মধ্যবিত্তের একটি অংশ এখন রিকশার পরিবর্তে বাসে টেম্পোতে যাতায়াত করে। করোনার সময়ে বাসের ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধির কারণে কেউ কেউ হেঁটেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন। ইদানীং রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা দিতে হয়। নাগরিক মধ্যবিত্তের অনেক পরিবারকে এখন নিম্নমানের ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে, কেবল অর্থনৈতিক কারণে। ফলে পরিবারের কোনো কোনো সদস্যকে মেঝেতে রাত্রিযাপন করতে হয়। এ এক দুঃসহ ভয়াবহ জীবন। অর্থনৈতিক ও জীবনযাপন গত সমস্যার কারণে মধ্যবিত্ত এখন যাবে কোথায়? তাদের দাঁড়ানোর জায়গাই বা কোথায়, এই প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে। মধ্যবিত্ত কি তা হলে এভাবেই ধুঁকে ধুঁকে মরবে। নাকি ভবিষ্যতে তাদের উত্তরণ ঘটবে। তবে বাংলাদেশে একশ্রেণির মধ্যবিত্তের বিকাশ হচ্ছে। এ মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশাল অংশ সরকারি চাকরি করে। তারা এখন ফ্ল্যাট জমির মালিক। তারা ইন্টারনেটও ব্যবহার করে। টাকা-পয়সা রাখে ব্যাংক হিসাবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখন মধ্যবিত্ত। আশা করা হয়েছিল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মধ্যবিত্ত হবে। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা আর হয়তো সম্ভব হবে না। তবে যে সব মধ্যবিত্তের গাড়ি ফ্ল্যাট রয়েছে, ব্যাংকে জমানো অর্থ রয়েছে, করোনাকালেও যাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েনি, তারা এখন উচ্চবিত্তের কাতারে যাওয়ার চেষ্টা করছে যে কোনো উপায়ে। তাদের মধ্যে সততার বালাই নেই। যে কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে তারা হতে চায় উচ্চবিত্ত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে এখন কোটিপতির সংখ্যা বেশি। অনেকেই পাঁচ/দশ বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে গেছেন। এটা হচ্ছে অসুস্থ ও অসম পুঁজির বিকাশ। এই বিকাশের কারণে মধ্যবিত্ত ধীরে ধীরে বিত্তহীন হয়ে পড়ছে। মধ্যবিত্তের এই শ্রেণির বিকাশের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিমালায় অনেক পরিবর্তন আসতে বাধ্য হবে। তবে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য আনার জন্য বন্ধ করতে হবে আর্থিক পরিমন্ডলে দুর্বৃত্তায়নের প্রবণতা। একটি বিকাশমান অর্থনীতিকে পরিচালনা ও অগ্রসরমাণ করতে হলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও জাতীয় নেতৃত্ব কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে এবং কতটা সক্ষমতা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত আছে, তাও অনেকের ভাবনার বিষয়। তবে অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে রাজনীতিতেও শৃঙ্খলা আসতে হবে এবং এর বিকল্প নেই। কারণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়, যেমন এখন নিয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাস। \হমনে রাখতে হবে দেশে এখন তিন কোটি দরিদ্র জনসংখ্যা রয়েছে- যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। করোনাকালে এই হার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা দরিদ্র তারা বিত্তবানদের পেছন থেকে টানে না, টানে মধ্যবিত্তকে। কারণ মধ্যবিত্তরা অনেক মানবিক ও সংবেদনশীল। মধ্যবিত্ত তার অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য নিয়ে সমাজে টিকে থাকতে পারবে কি না, সে এক বিরাট প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সঠিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে সরকারসহ দেশের সচেতন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেই। সালাম সালেহ উদদীন : কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক