বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গঠনমূলক সমালোচনা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ঘটাবে নিঃসন্দেহে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো যায় যে, তারা করোনাকালীন বিভিন্ন ত্রম্নটিবিচু্যতি অনুসন্ধান করে হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ সমগ্র স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম হয় কিনা সে জন্য দ্রম্নত একটি টাস্কফোর্স গঠনসহ হাসপাতাল সেবা মনিটরিংয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছে। কাজেই এখন যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই দ্রম্নত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিকদার নজরুল ইসলাম
  ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

২০১৯ তার বিদায়লগ্নে চীনের উহানে রেখে গেল করোনা মহামারি। যার প্রলয়ে সমগ্র বিশ্বই এখন প্রকম্পিত। সবার ন্যায় আমরাও আক্রান্ত হলাম- মার্চ ২০২০ নাগাদ। এখনো আক্রান্ত বিশ্বের ছোট বড় প্রতিটি দেশ করোনা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর অবস্থা আরও বেশি সংকটাপন্ন। পক্ষান্তরে আমরা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া সত্ত্বেও করোনায় আমাদের মৃতু্য হার বিশ্বের সবচেয়ে কম আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। সেই হিসাবে আমাদের অবস্থা অনেক ভালোই বলতে হয়। যদিও আমাদের এই অবস্থান নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক ও সংশয়। কেউ বলছেন, আমাদের টেস্টের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছি না, কারো মতো সঠিক তথ্য আমাদের দেয়া হচ্ছে না। যদি এমনটাই হতো, তাহলে তো হাসপাতাল তৈরি রেখে কবর খুঁড়তেই আমাদের হিমশিম খেতে হতো- যা অনেক দেশে ইতোমধ্যে ঘটেছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমেরিকা ও ইতালির মতো দেশ করোনা আক্রান্ত ও মৃতু্য হারে যখন বেসামাল পরিস্থিতে তখন বাংলাদেশেও আক্রান্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়লেও একপর্যায়ে সেটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসা শুরু করেছে। জুনের শেষ এবং জুলাইয়ে আক্রান্ত ও মৃতু্য হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও পরে আবার তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তখন মৃতু্যর হার ছিল মাত্র ১% এবং যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আক্রান্তের হার ২২-২৩%। আর আক্রান্তদের মাত্র ৫% হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। হসপিটালে রোগী ভর্তির এই হারের কারণে কোভিড আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দকৃত হসপিটালের শয্যাও খালি রয়ে যাচ্ছে। এটাকে কী বলবেন? নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভালো এবং আশাব্যঞ্জক। সাম্প্রতিক অবস্থা আরো ভালো; জুলাইয়ের শেষে করোনা আপডেটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হাজারের নিচে এবং মৃতু্য হারও রেকর্ড কম ছিল। ঈদের পরে ঘরমুখী মানুষ কর্মস্থলে ফিরলে পুনরায় এটি বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও স্বাস্থ্য খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আক্রান্ত ও মৃতু্য হার সাময়িক কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সেটাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে, ভয়ের কিছু নেই।

উলিস্নখিত অর্জনগুলো সম্ভব হয়েছে সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ এবং কার্যকর পদক্ষেপের কারণেই। বিশেষ করে, সময়মতো সচেতনতা তৈরিসহ প্রয়োজনানুযায়ী লকডাউন তথা বিধিনিষেধ আরোপের মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলোই এ ক্ষেত্রে বেশি কাজে দিয়েছে। সরকার কর্মস্থলে মানুষের অংশগ্রহণকেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক করোনা পরিস্থিতির বিবেচনায় শিথিল ও কড়াকড়ি এই দুই পর্বে অত্যন্ত সময়োপযোগীভাবে দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন। একইভাবে সরকারের কঠোর ও শিথিল লকডাউন নীতির বিষয়টিও উলেস্নখযোগ্য। বিশেষ করে, কঠোর লকডাউনের সময় সরাসরি অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারটিতেও সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সঠিক ম্যানেজমেন্ট তথা চমৎকার সিলেকশনের মাধ্যমে।

তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল এই দেশের বহু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক প্রণোদনা সহায়তার স্বীকৃতী স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে করোনা নিয়ন্ত্রণে ১নং (অন্যতম) সফল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের নির্ভয়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে কাজে নিবেদিত করার ব্যাপারটিও এই সরকার করেছেন অত্যন্ত দুরদর্শিতার সঙ্গে। এ ব্যাপারে সরকার অনতিবিলম্বে পাবলিক ও প্রাইভেটসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটিকে এগিয়ে নিতে মাঠে নামেন। এরই অংশ হিসেবে মধ্য এপ্রিলেই বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) সরকারের আহ্বানে সারা দিয়ে করোনা যুদ্ধের সম্মুখযোদ্ধা- পাবলিক ও প্রাইভেট চিকিৎসকদের ১০,০০০ পিপিই প্রদানসহ কর্মস্থলে ডাক্তারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরে অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগানের কাজটিও করেন। অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও নেতৃত্বে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ফলশ্রম্নতিতে করোনার প্রাদুর্ভাবও ক্রমান্বয়ে কমে আসছে।

দেশের স্বাস্থ্য খাত বাস্তবিকই আর সেই ভঙ্গুর অবস্থায় নেই। বিশেষ করে বিগত ১০ বছরে স্বাস্থ্য খাতের অর্জন তথা সাফল্যগুলোকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। অনেক সাফল্য রয়েছে আমাদের, সেটা যেমনি এই করোনাকালীন সময়ে তেমনি আগেও। আগে দেশে হাসপাতাল ছিল হাতেগোনা। সেই অবস্থা থেকে বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় হাসপাতাল করা হয়েছে। ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। দেশে এর মধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল করা হচ্ছে। ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিগত ১০ বছরে এই বিষয়সহ আরো বিভিন্ন সময়োপযোগী কার্যকর পদক্ষেপের কারণেই স্বাস্থ্য খাতে এ জাতীয় বহুবিধ অর্জন আমাদের রয়েছে।

বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কারণেই দেশে শিশুর অপুষ্টির হার যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনি কমেছে মৃতু্যর হারও। মৃতু্যর হার এখন অর্ধেকেরও নিচে। আমাদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের হার ঈর্ষণীয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগের কাছাছি। যেমন বিসিজি টিকা প্রদানের হার ৯৯.৫%- যা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি এবং ফলপ্রসূ। একই সঙ্গে সাফল্য রয়েছে গর্ভকালীন মাতৃ মৃতু্য হারেও। মাতৃ মৃতু্য হার এখন প্রতি হাজারে ১.৭৬ জনে নেমে এসেছে। দেশের মানুষের গড় আয়ুও ৭২.৩ বছর, যা অন্য বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ইন্ডিয়া ও সাউথ আফ্রিকার তুলনায় বেশি। নিরাপদ মাতৃত্ব ও শহর-গ্রাম সর্বত্র টিকাদান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার অভূতপূর্ব এসব উন্নতির স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের মর্যাদাশীল পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো, জাতিসংঘ ডিজিটাল হেলথ-২০১১, সাউথ সাউথ, এমডিজি গোল অর্জনসহ বহুসংখ্যক পুরস্কার বয়ে এনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে অনেক রকমের দুর্নীতি কমবেশ ছিল- আছে। সেগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেটা বন্ধ করার একটা সুস্থ প্রক্রিয়া আছে। এর সমাধান অন্যান্য এজেন্সি পাঠিয়ে হবে না। মূলত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে হবে। হাসপাতালে কী কী সমস্যা তারা ভালো করেই বোঝেন- যা অন্যরা বুঝবে না। আমাদের দেশে দেখা যায়, যদি লোক বেশি মারা যায়, তাহলে কাফনের কাপড় নিয়েও দুর্নীতি হয়। আর এটা তো চিকিৎসা খাত, কোটি কোটি টাকার খাত এটা। বেসরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের লোক পাঠিয়ে বিষয়গুলো তদারকি করতে হবে। কিন্তু সেটা না করে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা তো কোনো সমাধান নয়। এতে বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। এই সেক্টরটা পুরোপুরি বিদেশিদের দখলে নেওয়ার জন্য এই ষড়যন্ত্রগুলো হচ্ছে কিনা সেটা আমাদের দেখতে হবে।

অনেকেই অবগত আছেন যে, আশপাশের দেশের হাসপাতালগুলোর এজেন্সি অফিস ঢাকায় বেশ সক্রিয়। ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিনিধিরাও ঢাকায় সক্রিয়। এসব দেশ বাংলাদেশে রীতিমতো দামি এজেন্সি অফিস খোলে এবং সেসব দেশের হাসপাতালে রোগী পাঠায়। সম্মান বা ভদ্রতার খাতিরে তাদের এজেন্সি বা এজেন্ট বলা হয়। কিন্তু তাদের কাজটা আসলে দালালি। অনেক রোগী এদের প্ররোচনায় ভারতের বিভিন্ন হসপিটালে গিয়ে ভুল চিকিৎসার স্বীকার হওয়ার প্রচুর নজির থাকলেও তারা তা নিজেদের ব্যর্থতা প্রকাশের ভয়ে প্রকাশ করেন না। অর্থাৎ বাংলাদেশের রোগীদের প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশেরই যে শ্যেন দৃষ্টি আছে, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

১০-১৫ বছর আগেও সবাই হার্টের কোনো সমস্যা হলেই বিদেশে যেত। যাদের টাকা পয়সা আছে তারা ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরে যাদের টাকা পয়সা একটু কম তারা ভারতের দিলিস্ন বা মাদ্রাজে। আর যারা একেবারেই গরিব তারাও জায়গা জমি বিক্রি করে কলকাতায় গিয়ে ডাক্তার দেখাত। আমাদের দেশের প্রাইভেট সেক্টরের কিছু হাসপাতালের কারণে এই অবস্থাটা বন্ধ হয়েছে। যদিও এই সেক্টরের সবার সেবার মান যেমন এক নয়, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ-অসন্তোষও। ফলে যাদের মান ভালো নয় তাদের শনাক্ত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি ব্যক্তিবিশেষের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে আমরা এমন ঢালাও প্রচার করছি- যেন সব হাসপাতালেই ভুয়া টেস্ট হচ্ছে। এটা ঠিক না। যেখানে দুর্নীতি অনিয়ম সেটা অবশ্যই বলতে হবে। কিন্তু মানুষের কাছে যেন ভুল বার্তা না যায় সেটাও দেখতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের ঢালাও সমালোচনা চলতে থাকলে মাঝখান থেকে বিদেশি হসপিটালগুলো ও চক্রান্তকারিরা সুবিধা নেবে, লাভবান হবে। কাজেই শুধু সমালোচনা করলেই হবে না পাশাপাশি আমাদের অর্জনগুলোও তুলে ধরতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা রাখবে ও চলমান সংকটে হসপিটাল ক্লিনিকে যাবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা নিতে বিদেশেমুখী হয়ে অযথা তাদের অর্থ-সম্পদ নষ্ট করবে না। সমালোচনার উনুনে জোর হাওয়া দিয়েছে জেকেজি ও রিজেন্টের লজ্জাজনক ঘটনা। এ ঘটনা অবশ্যই ন্যক্কারজনক। পাশাপাশি আমাদের এটাও বুঝা উচিত যে, এ সব কেন্দ্র করে যদি আমরা স্বাস্থ্য খাতের ত্রম্নটি-বিচু্যতিগুলো নিয়ে হামেশাই সরব থাকি, তাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বরং বেশি।

মহামারির ক্রান্তিকালের সুযোগটা বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল কাজে লাগাবে এটাই স্বাভাবিক। এক শ্রেণি যেমন সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টের পাঁয়তারা করছে অপরদিকে আরেক গ্রম্নপ এই সুযোগ বেসরকারি স্বাস্থ্য সেক্টরের বিরুদ্ধেই কাজে লাগাচ্ছে। প্রায় ৬০ ভাগ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এই প্রাইভেট সেক্টরের বিরুদ্ধে এটাকে গভীর ষড়যন্ত্রই বলা চলে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো যায় যে, তারা করোনাকালীন বিভিন্ন ত্রম্নটিবিচু্যতি অনুসন্ধান করে হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ সমগ্র স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম হয় কিনা সে জন্য দ্রম্নত একটি টাস্কফোর্স গঠনসহ হাসপাতাল সেবা মনিটরিংয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছে। কাজেই এখন যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই দ্রম্নত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের গতিও এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্য খাতের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি এই খাতের অর্জনগুলোর প্রচারের দায়িত্বও গণমাধ্যমকে নিতে হবে। দোষের ভাগিদার হলে গুণেরটা কেন নয়!

সিকদার নজরুল ইসলাম : গণমাধ্যম সমন্বয়ক, শান্তা-মারিয়াম ফাউন্ডেশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107874 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1