দুনীির্ত, কোন্দল ও প্রাথীর্জটে নাকাল ক্ষমতাসীনরা

প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ১১তম জাতীয় সংসদ নিবার্চনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পর নড়েচড়ে উঠেছেন রাজনীতিকরা। নিবার্চনে প্রাথীর্ হতে নানা কায়দায় প্রচারপ্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রাথীর্রা। বড় দল বা জোট দুটিতে দেখা দিতে পারে প্রাথীর্জট। অগণিত প্রাথীর্র মধ্যে একজন পাবেন নমিনেশন। আর সবাই হবেন মনোক্ষুণœ। এই মনোক্ষুণœরা কি সবাই মনেপ্রাণে প্রাথীর্র পক্ষে কাজ করবেন? আমার মনে হয় কেউ কেউ করবেন, সবাই না। কেউ কেউ আবার তলে তলে প্রাথীের্ক হারানোর অপচেষ্টাও করতে পারেন। ওদিকে গণমাধ্যমে মাঝে মাঝেই আওয়ামী লীগের দু’গ্রæপের সংঘষের্র খবর দেখা যায়। নিহত-আহতের কথাও জানা যায়। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকমীের্দর অনেকেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ার খবরাখবরও পাওয়া যায়। প্রায় প্রতিদিনই এ ধরনের আতঙ্কজনক খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে দেখা যায়। অথচ এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, বিশ্বমানবতার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি বিশ্বের ১৭৩ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের মধ্যে সততার শীষর্ ৩ -এ অবস্থান করছেন। এ জন্য দেশ তথা বিশ্ববাসীর সঙ্গে আমরাও গবির্ত এবং আনন্দিত। আমরা তার দীঘার্য়ায়ু এবং সৎ নেতৃত্বে দেশের ক্রমাগত উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। কিন্তু তারই দল আওয়ামী লীগের একশ্রেণির হাইব্রিড নেতা ক্ষমতার রাজনীতি করে চলেছেন। দেশের, জাতির বা দলের স্বাথের্ নয়, নিজের বা একান্তই ব্যক্তিস্বাথের্ দলের ভাবমূতির্ বিনষ্ট করে চলেছেন। দলীয় ও সরকারি শক্তিকে নিজের স্বাথের্ ব্যবহার করে চলেছেন। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য ধান্দাবাজি করে চলেছেন। ফলে সাধারণ কমীর্রা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা অনেকে রাজনীতির ময়দান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। এরূপ কিছু হাইব্রিড নেতার আধিপত্যবিস্তার ও ধান্দাবাজির কারণে নেতায় নেতায় বিভেদ ও কোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ইন্দন দিয়ে চলেছেন নেতাদের উচ্ছিষ্ট ভোগী একশ্রেণির পাতিনেতা বা চামচা। ফলে স্বাথর্সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গ্রæপে গ্রæপে সৃষ্টি হচ্ছে সংঘষর্। এরূপ ভয়ঙ্কর দুরাবস্থা প্রত্যক্ষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে নেবেন না। দলে নেতা দরকার নেই, কমীর্ উৎপাদনের কারখানা দরকার। কারণ কমীর্রাই দলের প্রাণ। যত সমস্যা নেতাদের মাঝে, কমীের্দর মাঝে কোনো সমস্যা নেই।’ আওয়ামী লীগ ছাড়া বাঙালিরদের জন্য নিভর্রযোগ্য বিকল্প কোনো দলও নেই। তেমন কোনো দল গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু দলটির অনেকে জাতিকে হতাশ করে নিজেরাই সুবিধা লুটে চলেছেন। একজন সাবেক ব্রিটিশ ক‚টনীতিকের ভাষায়, ‘হাসিনা সরকারকে তারা পছন্দ করুন আর নাই করুন, বাংলাদেশে জামায়াত-বিএনপির কঁাধে চড়ে জঙ্গি-মৌলবাদ ক্ষমতায় আসুক তা ওয়াশিংটন ও দিল্লি চায় না।’ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে জঙ্গিবাদী অপরাজনীতি ঠেকাতে বিশ্বের প্রায় সব দেশই একাট্টা। তেমনি এ দেশের সিংহভাগ মানুষ, যারা বাঙালি জতিসত্তা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারাও নানা কারণে পছন্দ করুন আর নাই করুন, শেষ ভরসা যে আওয়ামী লীগই তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস ছাত্রলীগ। কিন্তু তাদের ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে থাকা কিছু দুনীির্তবাজ ও সন্ত্রাসীর কমর্কাÐের জন্য সম্প্রতি দলটি ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ আপদ হিসেবে বিরাজ করছে। তারা শুধু আওয়ামী লীগেরই নয়, ক্ষতি করছে বাঙালি জাতির, বাঙালির অসাম্প্রদায়িক-ধমির্নরপেক্ষ চেতনার ও রাজনীতির। আওয়ামী লীগ বা জাতির বিপদের দিনে অতীতে যেমন তারা ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। ভিড়ে যাবে শত্রæ পক্ষে। উল্লিখিত আপদগুলোকে চিহ্নিত করে অতিসত্বর বিদায় করা ছাড়া আওয়ামী লীগ তথা বাঙালি জাতির বিপদ কাটবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে থাকা আপদগুলো সম্পকের্ সতকর্ হতে হবে। গুরুত্বের সঙ্গে তাদের চিহ্নিত করে বিদায় জানাতে হবে। কারণ একমাত্র তারাই অতীতের মতো আওয়ামী লীগ তথা বাঙালি জাতির নৌকা ডুবাতে পারে, বিপদ ঘটাতে পারে। বাইরের কোনো শক্তি এত বড় নৌকা কখনও ডুবাতে পারবে না। আব্দুল খালেক মন্টু পাবনা