দুনীির্তর মহাসড়ক থেকে জাতির মুক্তি নেই?

বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা দেশ হওয়ার কারণ সম্পদের সুসম বণ্টন, জনমানুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠা করা তথা পক্ষপাতহীনভাবে আইনের প্রয়োগ করা। দেশ থেকে গরিবি দূর করা। মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা। প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তা পেরেছি?

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আবুল কাশেম চৌধুরী
বাংলাদেশে যেদিকে তাকাই সেদিকে দুনীির্ত ঘরে, বাইরে, রাস্তায়, মহাসড়কে সবর্ত্র দুনীির্তÑ দুনীির্তর মহাযাজক হচ্ছে দেশের শিক্ষিত মানুষ, তারা দেশের রথী-মহারথী। গাড়ি-বাড়ি অট্টালিকার মালিক বড় বড় ডিগ্রিধারী তারা। দুনীির্ত থেকে জাতি কি মুক্তি পাবে না? প্রধানমন্ত্রী বলেন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশবাসী কিছু উন্নয়ন পায়। আমরাও স্বীকার করি প্রধানমন্ত্রীর কথার মধ্যে সত্যতা আছে। কিন্তু চঁাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুনীির্ত কমে না অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। দুনীির্ত চঁাদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে দলের নেতাকমীর্রা। দেশপ্রেমিক শিক্ষিত সমাজ কখনো দুনীির্ত করতে পারে না। যারা দুনীির্ত ও চঁাদাবাজি করে তারা দেশপ্রেমিক নয়। জাতি এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়, মুক্তি কি পাওয়া যাবে? ২৭ আগস্ট ১৮ দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনামÑ ৯৫ হাজার কোটি টাকার ফল কই? রেলের ৯৫ হাজার কোটি টাকার কোনো ধরনের ফসল জনগণ পায়নি। ২৮/৮/১৮ কালের কণ্ঠের শিরোনাম ডিজি পরিবারের পকেটে রেল। বিমান হজ মৌসুমে ৩৩ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে, এমনিতে বিমন লোকসানী প্রতিষ্ঠান সূত্র বিভিন্ন টেলিভিশন। কার টাকা লোকসান দিল বিমান কতৃর্পক্ষ? বিমান কতার্সহ যারা সংশ্লিষ্টরা কি জবাব দেবেন? অন্যদিকে রেলের কতার্ ও মন্ত্রী মহোদয় জবাব দেবেন কি? জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে দেশের অথর্ এভাবে লুটপাট হতেই থাকবে, দনীির্ত বন্ধ হবে না। দুনীির্তর বিরুদ্ধে জোরদার কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি আজ পযর্ন্ত। সরকারি কতাের্দর সুরক্ষা দেয়া হবেÑ দুনীির্ততে তাদের রক্ষাকবজ দেয়া হবে এ কেমন কথা? বিজয়ী জাতির এমন তো হওয়ার কথা নয়। সড়ক দুঘর্টনায় মৃত্যুমিছিল বাড়ছে তো বাড়ছে তাও দুনীির্তর ফসল। ঢাকা শহরের গণপরিবহনে বেহাল অবস্থা। ৩০/০৮/১৮ গুলশান যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম কোনো ধরনের গণপরিবহনের গাড়ি পেলাম না, রাস্তায় মোবাইল কোটর্ পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালাবে না/তাদের গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই। ফলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি, আইনের শাসনের অভাবে এমনি অবস্থা! পুলিশকে গালাগাল দিল পরিবহনের কমর্চারীরা। বঙ্গবন্ধু অনেক দেন-দরবারের পর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, ২৭ শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান প্রদান করেছিলেন কল্যাণ ট্রাস্টকে তিনি, পরে ৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। সব প্রতিষ্ঠানের মাটিসহ চুরি/আত্মসাৎ করেছে শিক্ষিত মহাচোরেরা। কতার্ব্যক্তিরা সবাই ছিলেন শিক্ষিত। সবের্শষ বেগম খালেদা জিয়ার সরকার আমলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহম্মেদ, ভেবারেজ পানীয় প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিলেন কোকাকোলা কোম্পানরি কাছে। সে সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বছরে নিট আয় ছিল ৫০ লাখ টাকা। সেনানিবাসে সোনালী ব্যাংকে রক্ষিত কোটি টাকা নিয়ে এলেন মন্ত্রণালয়ে যা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে খরচ করা হয়নি। বতর্মানে মু. ক. ট্রাস্ট সরকার অনুদাননিভর্র একটি প্রতিষ্ঠান। সবাই পকেট পূজার কথা চিন্তা করে দেশ ও জাতির কথা কেউ চিন্তা করে না, সবাই শিক্ষিত সমাজ। চাকরিজীবীরা গাড়ি-বাড়ির ও অথের্র মালিক হয়, সাধারণ মানুষ ভিখারী হয়। ঋণখেলাপিরা শিক্ষিত সমাজ। যারা খেলাপি ঋণ দেয় শিক্ষিত পÐিত ব্যক্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজাভর্ থেকে হ্যাকিং হয়ে টাকা চলে যায় বিদেশে আজও সে রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি, কেউ শাস্তি পায়নি। হলমাকর্ কেলেঙ্কারির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই। বেসিক ব্যাংক/ বিসমিল্লাহ গ্রæপ দুনীির্তর খবর কে না জানে? জনতা ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার খবর নাই, অগ্রণী ব্যাংকের মোটা অঙ্কের টাকা কেলেঙ্কারি হয়েছে। ওই সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সনামধন্য অধ্যাপকরা! ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা ছিলেন সবাই মহাডিগ্রিধারী। রেলের ডিজি, ব্যাংকের চেয়ারম্যান/এমডিসহ সবাই শিক্ষিত এবং ডিগ্রিধারী। শিক্ষিত হয়ে চুরি, ডাকাতি ও দুনীির্ত/মিথ্যার আশ্রয় নিলে ও প্রতারণা করলে সে শিক্ষার দাম কী? প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রæতি প্রদান করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি খরচে বাড়ি করে দেবেন, সে প্রকল্প দুনীির্ত ও এমপিদের হস্তক্ষেপের ফলে হযবরল হয়ে গেল, মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানীভাতার বিপরীতে ৫% সরল সুদে গৃহনিমার্ণ ঋণ চেয়েছিল ৫ বছর ধরে লেখালেখি করেও ইতিবাচক সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। যে ঋণ সহজে ব্যাংক ফেরত পাবে, ঋণখেলাপি হওয়ার সুযোগ নেই। লাখ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ দিতে সরকারের বিশেষ মহল আগ্রহী। মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ প্রদানে আগ্রহী নয়, ঋণ প্রদান করা হলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতিও রক্ষা হতো এবং মুক্তিযোদ্ধারা উপকৃত হতোÑ ব্যাংকের কোনো প্রকার ঝঁুকি থাকত না। প্রতি মাসে ব্যাংকের হিসাবে ঋণের টাকা হয়ে যাবে। চামড়া ব্যবসায়ীরা কি করল? চামড়ার দাম কমিয়ে দিল সরকার, কম দামেও তারা চামড়া কিনল না!! টিভির খবরে প্রকাশ ১ কোটি চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক চামড়া প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে গেছে। চামড়া ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঋণখেলাপি। যারা ঋণখেলাপি তাদের গাড়ি-বাড়ি শানশওকতের অভাব নেই। অনেকেই দেশ থেকে টাকা পাচার করে নিয়ে গিয়ে বিদেশে ব্যবসা করছেন আরামে, কেউ কেউ বিদেশে ব্যাংকের মালিক হয়েছে, শিক্ষিত সমাজ দেশ ও জাতির কলঙ্ক। আইনের শাসনের অভাবেÑ জবাবদিহিতা না থাকার ফলে সব ধরনের দুনীির্ত ও অসৎ কাজ ঘটানো সম্ভব হয়েছে। দুনীির্ত ও অপকমর্ করলে সে কোন ধরনের শিক্ষিত? চুরি-ডাকাতি করলে তার শিক্ষার মূল্য কী? পÐিতজনেরা গাড়ি-বাড়ি মালিক হবে দুহাতে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করবে এ কেমন কথা? ঘুরে-ফিরে আবার আমাকে বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে হচ্ছে ‘তিনি বলেছিলেন আমার কম্বলটি পাইনি’ আমার কৃষক শ্রমিক দুনীির্ত করে না; দুনীির্ত করে শিক্ষিত সমাজ’ ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন গণভবনে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী/ সাংবাদিক/ সাহিত্যিকদের ডেকেছিলেন বঙ্গবন্ধু-তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন স্বাধীনতার অথর্ কী? কেউ কোনো কথা বলছিলেন না-অনেকক্ষণ পর তিনি বললেন আমি তো লেখাপড়া জানিনা অথচ আপনারা শিক্ষিতরা কিছু বলছেন না! আমি বলছি- স্ব+অধীনতা=স্বাধীনতা। এক সাগর রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি এবং স্বাধীনতা রক্ষা করা বড় কঠিন- যেমন-তেমন কাজ করা নয়। দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে সবাইকে বিশেষ করে শিক্ষিতদের। দেশের মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে দেশের মানুষের ঋণ শোধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ দুনীির্ত ভরা দেশে পরিণত হলো। দুনীির্তবাজ/চঁাদাবাজ ও ঋণখেলাপিদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। জবাবদিহিতামূলক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় দুনীির্ত রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিক্ষিতরা দুনীির্ত ছাড়া আর কিছু বোঝে না। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে দুনীির্ত। এমপিওভুক্ত হতে দুনীির্ত। শিক্ষকের নানা অজুহাতে শিক্ষাথীের্দর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অথর্ আদায় করে কিন্তু যথাথর্ পাঠদান করে না শ্রেণিকক্ষে, শিক্ষকরা মনে করে শিক্ষাথীর্রা অথর্ জোগান দেয়ার শ্রমিক। নিয়ম-নীতির বালাই নেই। সততা-নিষ্ঠা নেই শিক্ষাঙ্গনে। প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যোগ্যরা(মেধাবীরা) অথের্র বিনিময়ে চাকরি নেয় না, ফলে যোগ্য শিক্ষকের অভাব চিরকাল থেকে গেল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষকদের যে বেতনভাতা দেয়া হয় তাতে যোগ্যরা আসবে কেন? নৈতিকতাসম্পন্ন চরিত্রবান দৃঢ়চেতা, বিবেকবান শিক্ষাথীর্ গড়ে উঠছে না দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে। ফলে রাতারাতি বিত্তবান হওয়ার মানসিকতা অজর্ন করেছে ঘুণেধরা শিক্ষিত সমাজ। যে কোনো উপায়ে অথোর্পাজর্ন করতে হবে নৈতিকতার প্রশ্ন অবান্তর। অথর্ থাকলে সমাজে সম্মানিত হওয়া যায়। জ্ঞাণীগুণীরা সমাজে সম্মানিত হয় না। দুনীির্ত দেশ জাতিকে কোথায় নিয়ে গেছে ভাবতে অবাক লাগে। রাষ্ট্র ও সমাজ কলুষিত দুনীির্ত চঁাদাবাজির কারণে। দুনীির্তমুক্ত বাংলাদেশ চাই। সুশাসনের বাংলাদেশ জনমানুষের চাহিদা। দুনীির্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশে, তাতো একদিনে হয়নি এরা প্রশ্রয় পেতে পেতে বটবৃক্ষতে পরিণত হয়েছে। আমলাদের লাগাম টেনে না ধরলে ও দুনীির্ত প্রতিরোধ হবে না। সরকার প্রধানের উন্নয়ন কমর্কাÐ ভেস্তে যাবে। দুনীির্ত, টেন্ডারবাজি, চঁাদাবাজি দেশের মূল সমস্যাÑ শুধু জনতা বক্তৃতায় খুশি হবে না। প্রধানমন্ত্রী ২৯/০৮/১৮ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন রাজনীতি করি জনকল্যাণের জন্য স্বাগতম জানিয়ে বলছি দলীয় নেতাকমীর্রা কতটুকু তা লালন করেন? চঁাদাবাজি ও দুনীির্ত বন্ধ করা না হলে জননেত্রীর জনকল্যাণ দৃশ্যমান হবে না। সরকারপ্রধানের উন্নয়নের কমর্কাÐ ও বক্তৃতা জনমনে রেখাপাত করছে না চঁাদাবাজি ও অপশাসনের কারণে, সুশাসন জনতার কাম্য। বঙ্গবন্ধু বলতেন দেশকে ভালোবাস রাজনীতি করো, জনমানুষের সেবা করো। বতর্মান রাজনীতির মূল কথা হলো চঁাদাবাজি ও দুনীির্ত করো দুহাতে অথর্ কামাও। বঙ্গবন্ধুও চঁাদাবাজি করতেন দলের প্রয়োজনে/নিজের প্রয়োজনে নয়। উদাহরণÑ যেমন কলরেডিকে বলতেন আমি জনসভা করব তুই মঞ্চটা করে দে, আমি একজনকে বলেছি সে তোকে কিছু টাকা দেবে, তোর প্রয়োজনীয় টাকা দিতে পারব না আমি যা করছি দেশের জন্য করছি তোদেরও সহযোগিতা দরকার নিজের হাতে টাকা নেননি তিনি। আজকাল নেতারা অফিসে গিয়ে জোর করে বাধ্য করে চঁাদা দেয়ার জন্য নিজেদের গাড়ি-বাড়ি করার জন্য এতে জননেত্রীর সুনাম নষ্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু নামের কলঙ্ক হচ্ছে। ভোটের প্রয়োজন, ভোট পেতে হলে জনগণের সমস্যা সমাধান করতে হবে, চঁাদাবাজি ও দুনীির্ত বন্ধ করতে হবে। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দুনীির্ত করে পকেট পূজা করবে সরকারের লোকজন তা জনতা মানবে কেন? আইনের শাসনের মাধ্যমে দুনীির্ত প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কোনো কারণে আওয়ামী লীগের পতন মানে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের রাজনীতির উত্থানÑ সে কথা আওয়ামী লীগ নেতাকমীের্দর বুঝতে হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা দেশ হওয়ার কারণ সম্পদের সুসম বণ্টন, জনমানুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠা করা তথা পক্ষপাতহীনভাবে আইনের প্রয়োগ করা। দেশ থেকে গরিবি দূর করা। মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা। প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তা পেরেছি? সরকার বলছে দরিদ্রতা কমছে আসলে দরিদ্রতা বাড়ছে কমর্সংস্থান নেই বললে চলে। গ্রামীণ গরিব জনগোষ্ঠীর কথা কেউ জানে না। কমর্সংস্থান ছাড়া দরিদ্রতা কমার সুযোগ নেই। সরকার দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করছে, বিধবা বয়স্কসহ নানামুখী ভাতা চালু করেছে সাধারণ মানুষ যথাথর্ উপকৃত হচ্ছে না। ৫ শত/১ হাজার টাকায় কি হবে? প্রয়োজন মিটানোর মতো ভাতা প্রদান করা না গেলে তা হবে করুণার শামিল। করুণা দ্বারা মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা যায় না। করুণা দিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করা যায়। শিক্ষিত দুনীির্তবাজরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য সামান্য ভাতা জুটবে তা কি হওয়া উচিত? যারা রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাভোগী-তাদের ভাতা কয়েকগুণ বাড়ানো প্রয়োজন। দুনীির্ত বন্ধ হলে অথের্র জোগান সহজ হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন জনতার সামনে ভেসে উঠবে। জনমনে স্বস্তি ও শান্তি বিরাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর শ্রম সাথর্ক হবে। উন্নয়নের সুফল পাবে জনগণ। আবুল কাশেম চৌধুরী: কলাম লেখক