শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবাধিকার ও আইনের শাসন

আমাদের জনগণকে শুদ্ধাচারী হতে হবে। ভেতরে এক রকম বাইরে অন্যরকম এই মানসিকতা পরিহার করে এগোতে হবে। যাই হোক, সমাজে মানুষের যে নৈতিক অধঃপতন হয়েছে- তা সুশাসনের অভাবে ঘটে থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুঃশাসন, দুর্নীতির ব্যাপারে রাষ্ট্রকে সজাগ থাকতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো- সব প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মানুষকে তাদের আত্মসমালোচনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজ নিজ কাজে মনোযোগী হতে হবে। নচেৎ আত্মসমালোচনা ছাড়া সমাজের এ জট সহজে খোলার নয়। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন-কানুনের পরিবর্তন আবশ্যক।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ মাসে বিরোধী দল ও মতের যে পরিমাণ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অতীতে কখনো তা ঘটেনি। প্রতিটি কারাগারে ধারণক্ষমতার পাঁচ থেকে ছয়গুণ বেশি বন্দি রাখা হয়েছিল, তাদের সিংহভাগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক। ধারণক্ষমতার মাত্রাতিরিক্ত বন্দি রাখার ফলে সমগ্র করার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। বন্দিরা বঞ্চিত হচ্ছে নূ্যনতম মানবাধিকার থেকে। চার বা ততোধিক মামলার আসামিদের ২৪ ঘণ্টা ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়, খেতে দেওয়া মানুষের পক্ষে গ্রহণের অযোগ্য খাদ্য ও পানীয়, শোবার জন্য অধিকাংশ বন্দিকে দেওয়া হয় মাত্র এক হাত প্রশস্ত জায়গা যেখানে চিত হয়ে শোয়া সম্ভব নয়। ফাইলের বহু বন্দি রাতের পর রাত শুতে না পেরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে, যাদের স্নান দূরে থাক প্রাতঃকৃত্য সম্পন্ন করারও নূ্যনতম স্থান নেই। এর ফলে বিপুলসংখ্যক বন্দিকে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার শিকার হতে হয়, যে অসুস্থতার কোনো চিকিৎসা কারাগারে নেই। বাজেট স্বল্পতা ছাড়াও কারাগারে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বহু লেখা হয়েছে। এই প্রচন্ড শীতে উত্তরবঙ্গের কারাগারে কম্বলের অভাবে বন্দির মৃতু্যসংবাদও পত্রিকায় দেখেছি। কারাগারে অবস্থানকালে আমি আরও দেখেছি রাজনৈতিক কারণে আটক বহু বন্দি তুচ্ছ মামলায় অভিযুক্ত হয়েও এত কিছুর পরও কারাগারে থাকা শ্রেয় মনে করছেন। তারা আমাকে বলেছেন জামিন নিয়েও লাভ নেই, আবারও জেলগেট থেকে ৫৪ ধারা বা নতুন কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হবে এবং কারাগারে ফিরে আসতে হবে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের বিভীষিকা প্রতিনিয়ত তাড়া করে ভুক্তভোগীদের, যার সামান্য অংশই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিরোধী মতাবলম্বীদের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের যদি কোনো পরিবর্তন না ঘটে, কারাগারে আটক বন্দিদের প্রতি পশুর মতো আচরণের অবসান যদি না ঘটে কিংবা প্রতিপক্ষকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে হত্যা যদি প্রাত্যহিক নিয়মে পরিণত হয় আমাদের আশঙ্কা বাংলাদেশের অবস্থা তালেবানি আফগানিস্তান কিংবা মিয়ানমারের মতো কিংবা তার চেয়ে আরও খারাপ হতে বাধ্য।

যে কোনো দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিচারের প্রধান মানদন্ড হচ্ছে সে দেশের সংবিধান। প্রথমে দেখা হয় জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সে দেশের সংবিধানে সব মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা?কতটুকু গ্যারান্টি আছে। দ্বিতীয়ত, সে দেশের সরকার সংবিধানপ্রদত্ত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কতটা আন্তরিক। তৃতীয়ত সরকার যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তার প্রতিকার বিধানের উপযুক্ত স্বাধীন বিচার বিভাগ সে দেশে আছে কিনা। চতুর্থত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বস্তুনিষ্ঠভাবে পরিবেশনের স্বাধীনতা সে দেশের সংবাদপত্রের আছে কিনা। পঞ্চমত, দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং মানবাধিকার কর্মীরা সরকারি ও দলীয় চাপ ও প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কিনা। এই পাঁচটি বিষয় পর্যালোচনা করলেই সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু অসঙ্গতি বাদ দিলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের অধিকাংশ ধারা এতে নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ধারায় মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ২৩টি অনুচ্ছেদ (অনুচ্ছেদ ২৬ থেকে ৪৭ক পর্যন্ত) আছে যাতে মানবাধিকারের প্রতি রাষ্ট্রের অঙ্গীকারে?বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে- সরকার প্রতিনিয়ত এসব ধারা লঙ্ঘন করছে এবং এর জন্য সরকারকে কদাচিৎ অভিযুক্ত করে মামলা করা হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সরকার ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নয় সেহেতু নিম্ন আদালত তো বটেই উচ্চতর আদালতের রায়েও বহু ক্ষেত্রে সরকারের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয়। এ ধরনের ঘটনা ব্যাপকভাবে ঘটছে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ ও নিম্ন আদালতের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও যে সব রায়ে সরকারের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয় না, বা যা সরকারের বিরুদ্ধে যায় তা অগ্রাহ্য করা বর্তমানে প্রচলিত রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যৌথ অভিযানে তৎকালীন সরকার চাতুর্যের সঙ্গে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। বিএনপির জাতীয়পর্যায়ের কোনো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি জেলাপর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও ছিলেন এই অভিযান থেকে মুক্ত। অথচ আওমালী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল বোস, সাবেক হুইপ মোস্তফা রশিদী সুজা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক এমপির মতো সিনিয়র নেতাদের সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। সেনা সদস্যরা দলের প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী তিন সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে গ্রেপ্তার করার জন্য একাধিকবার তাদের বাসায় অভিযান চালায়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও যৌথ বাহিনীর অন্যতম টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। দলের আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এই সময় আত্মগোপন করতে বাধ্য হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত 'অপারেশন ক্লিন হার্ট' নামে যৌথবাহিনীর ওই অভিযান চলে। ওই অভিযানের কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি 'যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন- ২০০৩' করা হয়। এই দায়মুক্তি আইনের বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অবশ্যই যারা চান তারা মামলা করবেন এবং মামলা হবে স্টেটের বিরুদ্ধে। আর ক্ষতিপূরণের মামলাও তারা সবাই করতে পারবেন। দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের মামলার মাধ্যমে তারা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।' রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, 'যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন-২০০৩'র মাধ্যমে যেসব হত্যাকান্ড- ঘটেছিল তৎকালীন সরকার সংসদে আইন পাস করে তার বৈধতা দেয়। ২০১২ সালে তা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবেন।' তিনি বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বা ব্যক্তিগতভাবে যদি কাউকে দোষী মনে হয়, সাক্ষী-প্রমাণ থাকে থানায় অথবা কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিজ হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। সংবিধান অনুযায়ী একজন শীর্ষ অপরাধীরও বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনের মাধ্যমে কারও মৃতু্যকে জঘন্য অপরাধ বলেও পর্যবেক্ষণে বলে আদালত। আমাদের সমাজে খুব নাটকীয় গতিতে দুর্বৃত্তায়নের উত্থান হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই অপশক্তি ক্ষমতার মসনদে বসে থেকে বড় বড় আওয়াজ দিতে থাকে। অর্থাৎ অবস্থাটা এরকম যেন 'চোরের মায়ের বড় গলা'। এই অবস্থাটা কি প্রশাসন, কি রাজনীতি উভয় ক্ষেত্রেই সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন- প্রশাসনিক ক্ষেত্রে শত-স্বচ্ছতার অধিকারী কর্মকর্তারা থাকেন পিছিয়ে। এক্ষেত্রে অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা পদ-পদবির দিক থেকে শীর্ষ অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেন। আর এই অবস্থা থেকে শুরু হয় প্রশাসনিক সংকট। এই প্রশাসনিক সংকট ক্রমে রাজনীতির ময়দানকেও কলুষিত করতে থাকে। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি- যেমন মাদকবিরোধী অভিযান। আমাদের দেশে মাদক উৎপন্ন হয় না। তারপরেও আমাদের সমাজের উঠতি বয়সের তরুণরা মাদকে আসক্ত, তাহলে এই মাদকের উৎস কোথায়? নিশ্চয়ই বাইরে থেকে আসা এই মাদক আমাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তায় বা শাসনহীনতায় আমাদের দেশে প্রবেশ করে থাকে। আমরা এই অবস্থা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সে আন্তরিকতার বা ইচ্ছাশক্তির অভাব কেন? এবার আসা যাক- অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকান্ডে। অতি সম্প্রতি তাকে টেকনাফে পুলিশ বাহিনীর সদস্য কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডটি বাংলাদেশে সমসাময়িককালে একটি আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। দেশের আনাচে-কানাচে এ ধরনের হত্যাকান্ড প্রায়ই ঘটছে। কখনো ফল বেপারি, মাছ বেপারি, অন্য কোনো ব্যবসায়ী বা সাধারণ কোনো শ্রমিক, কৃষক পুলিশ সদস্যের রোষানলের শিকার হচ্ছে। একটি বাহিনীর সদস্য হিসেবে কেমন করে এ ধরনের অনাচার, অত্যাচার করে মানুষের জীবনকে নাজেহাল করা হচ্ছে। নিশ্চয়ই কোনো সহায়ক পরিবেশে তা সম্ভব হয়েছে বা হচ্ছে। একটি বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলা বিষয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন তা কী করে সম্ভব? পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে কেন পেশাদারিত্বের এমন অবমাননা করা হচ্ছে? এজন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা সৈনিক পর্যায়ের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে কথা উঠে এসেছে। এমনকি পুলিশের ইন্সপেক্টর মর্যাদার কর্মকর্তারা একাধিক বাড়ি-গাড়ির মালিকসহ অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হচ্ছেন। এ কী করে সম্ভব? যে কোনো সহায়ক পরিবেশে তা সম্ভব হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অনিয়মকে নজরে আনবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ হত্যাকান্ডে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। তবে কি সেনাবাহিনী হলে জিরো টলারেন্স- অন্য ক্ষেত্রে কেন নয়? তবে নিশ্চয়ই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হবে। পুলিশকে অভিবাদন- কেননা পুলিশরা অনেক ভালো কাজ করে থাকেন। করোনাকালে তাদের ভূমিকা ছিল সবার নজর কাড়ার মতো। আমাদের সমাজের একশ্রেণির মানুষ আছেন যারা 'মুখে কলমা বোগল মে ডান্ডা' এই মানসিকতা নিয়ে চলাফেরা করে থাকেন। একজন শেখ হাসিনা কতটাই করতে পারেন! তাকে কতটাই বা আন্তরিকভাবে তার কাছের মানুষ সাপোর্ট করেন?

আমাদের জনগণকে শুদ্ধাচারী হতে হবে। ভেতরে এক রকম বাইরে অন্যরকম এই মানসিকতা পরিহার করে এগোতে হবে। যাই হোক, সমাজে মানুষের যে নৈতিক অধঃপতন হয়েছে- তা সুশাসনের অভাবে ঘটে থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুঃশাসন, দুর্নীতির ব্যাপারে রাষ্ট্রকে সজাগ থাকতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো- সব প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মানুষকে তাদের আত্মসমালোচনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজ নিজ কাজে মনোযোগী হতে হবে। নচেৎ আত্মসমালোচনা ছাড়া সমাজের এ জট সহজে খোলার নয়। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন-কানুনের পরিবর্তন আবশ্যক।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<111484 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1