চাকরির বয়স বিবেচনা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

সাধন সরকার নারিন্দা, সূত্রাপুর, ঢাকা
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে এলোমেলো হয়ে গেছে জীবনযাত্রা। মানুষের জীবন-জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। চাকরিপ্রত্যাশী বেকার তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। করোনার কারণে মার্চ মাসের শেষ থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল! যদিও সেপ্টেম্বর মাস থেকে সীমিত পরিসরে কিছু কিছু চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসতে শুরু করেছে! পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার চাকরিপ্রত্যাশীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার (পাঁচ মাস) সিদ্ধান্ত নিয়েছে (বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি বাদে)। গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারাও বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এটাই কি যথেষ্ট! ১৬০টিরও অধিক দেশে এখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০-এর অধিক। বাস্তবতা এটাই যে, এ দেশে বর্তমানে লাখ লাখ ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষা আছে, সনদ আছে কিন্তু চাকরি নেই! বয়স ৩০ পার হওয়া মানে অর্জিত সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ! সহজ কথায়, কত-শত কষ্ট আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করা সার্টিফিকেটের আর কোনো মূল্য নেই! তথ্য মতে, বর্তমানে প্রায় ২৭ লাখের বেশি কর্মক্ষম তরুণ-তরুণী বেকার। করোনাকালে বেকারের সংখ্যা আরও বেড়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা '৩০'-এ বেঁধে রাখার ফলে সব শিক্ষার্থীর মেধা কি আদৌ কাজে লাগানো যাচ্ছে? উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্ভাব্য সেশনজটের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া, করোনাকালে লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী বেকার তরুণের চাকরির বয়স বিবেচনা ও দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষাপটে এখনই চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা দরকার।