মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাস্ক পরায় অনীহা

সরকারকে কঠোর হতে হবে
নতুনধারা
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

কোভিড-১৯ এর 'দ্বিতীয় ঢেউ' বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এলে মাঠপর্যায়ে সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে সরকারপ্রধান নির্দেশনা দিয়েছেন। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ঠান্ডার প্রকোপটা বাড়তে পারে, সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর বা অ্যাজমাটিক সমস্যায় পড়তে পারে দেশের মানুষ। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই তরফ থেকে যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ নিরাপদ। আর এক তরফ থেকে মাস্ক থাকলে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ নিরাপদ। কেউ যদি মাস্ক না পরে তাহলে বিপদ ডেকে আনবে।

\হবিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন মাস্ক ব্যবহারের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি জোর দিচ্ছেন, কারণ করোনাভাইরাস যে বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে, সে বিষয়ে জোরালো প্রমাণ আসতে শুরু করেছে সাম্প্রতিক সময়ে। অনেক বিশেষজ্ঞ এখন বলছেন, হাঁচি-কাশিতে বড় আকারের ড্রপলেটের মাধ্যমে যেমন করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, তেমনি বাতাসে ভেসে ঘরের ভেতরে বেশ কিছুদূর ছড়িয়ে পড়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাইরাল কণা থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরুর দিকে মাস্ক ব্যবহারে ততটা জোর দেয়নি। কিন্তু এখন জাতিসংঘের এ সংস্থাও বলছে, বদ্ধ জায়গায় যেখানে বেশি মানুষের সমাগম হয়, অথবা যেখানে দূরত্বের নিয়ম মেনে চলা সম্ভব না, সেখানে মাস্ক পরা দরকার।

দেশের সর্বস্তরে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। মুখে মাস্ক না থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আগত সেবাগ্রহীতারা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহীতারা আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গির্জাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শপিং মল, বিপণিবিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতারা আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। হাটবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক পরিধান ছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করবে না। গণপরিবহণের (সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথ) চালক, চালকের সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পরিবহণে আরোহণের আগে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সব শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও হকার, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ সব পথচারীর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করবেন। সব ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবেন।

এটা সত্য, সারা বিশ্বে মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের চেয়েও সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো মাস্ক ব্যবহার করা। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশের জনগণ মাস্ক পরার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। মাস্ক পরা ছাড়া যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই এই ধরনের দৃশ্য চোখে পড়ে। ফলে বিপদ বাড়ছে। আমরা মনে করি, সরকারকে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত। যারা মাস্ক না পরে বাইরে বের হবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<112908 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1