বিমা পেশাজীবীরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন চায়

অনেক কোম্পানিই বিআরটিএ অফিসকে ঘিরে তাদের শাখা বা বুথ দ্বারা বিমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সার্কুলারের ফলে সে সব অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে ভেবে দেখা দরকার।

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ
১৯৮৬ সালের ২৬ মার্চ প্রগতি ইন্সু্যরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে বিমা শিল্পে আমার পদার্পণ। বিমার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতে করতে ২৮ বছর পর ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে কর্মরত আছি। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বিমা শিল্পে যারা কর্মরত আছেন এবং বিমা শিল্পের যে অস্থিরতা বর্তমানের বিরাজমান ও বিমা পেশায় যারা আসতে আগ্রহী তাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্যই এই লেখা। বিমা পেশার সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সততা, দৃঢ়তা, ধৈর্য, সাধনা ও একাগ্রতা। পেশার প্রতি সম্মান, শিক্ষা, জানার আগ্রহ ও সফলতার জন্য কাজ করে যাওয়া। নিজেকে এবং পেশাকে অন্যদের কাছে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যতার সঙ্গে উপস্থাপন করা। বিমা ব্যবসা একদিনে হয় না। সবাই সফলকামও হয় না, কি লাইফ কি নন-লাইফ। ঝরে পড়া লোকের সংখ্যাই বেশি, গুটি কয়েক লোক কেবল সাফল্যের হাসি হাসতে পারেন। এই কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বা শিক্ষিত তরুণ, তরুণী এই পেশায় কাজ করতে আগ্রহী হয় না। কারণ শিক্ষা জীবন শেষ করার পর কেউই পরিবার পরিজনের কাছে হাত পাততে চায় না। তাই বিমা পেশার মতো কঠিন পেশায় তাদের জীবনের কয়েকটি বছর 'ট্রাই এন্ড এরর'-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। সবাই নিশ্চিত জীবন চায়, মাস শেষে নির্ধারিত বেতন চায়, রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়। টার্গেটবিহীন স্বাচ্ছন্দ্য জীবন চায়। কিন্তু বিমার জীবনতো ছোট বড় সবাইকে টার্গেটের পেছনে ছুটিয়ে ছাড়ে। তাইতো সবাই সফল হতে পারে না। আমাদের দেশে বিমা নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা হয়। কারণ বিমায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আনাগোনা কম। নন-লাইফ বিমার ব্যবসা চলে রেফারেন্সে, চলে কোনো শিল্পগোষ্ঠীর আর্শিবাদে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের খেয়াল খুশিতে। তাই এদের সুবিধা দিতে না পারলেই বিমা সম্পর্কে এত নেতিবাচক কথা হয়। ট্যারিফ সংশোধন কমিটি গার্মেন্টসের ফায়ার ট্যারিফ সংশোধন করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির জন্য ফায়ার এন্ড আরএসডি প্রিমিয়ামের যে রেট দিয়েছেন তা পূর্বের রেট থেকে বর্তমানে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম হওয়াতে বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে খুশি করতে বিমার প্রিমিয়াম হার বিদেশের অনুকরণে কমানো হয়েছে তা মোটেও যুক্তিযুক্ত হয়নি। সব কাজে বিদেশি ভাবধারা অনুসরণ দেশের বা শিল্পের জন্য সুখকর হয় না। ট্যারিফ সংশোধন কমিটির বিজ্ঞজনরা দেশের বিমা শিল্পের কথা বিবেচনায় নিলে ট্যারিফ সংশোধনের কারণে এই বছর থেকে বিমা শিল্পের প্রিমিয়াম আয় প্রায় ১ (এক) হাজার কোটি টাকা কম হতো না। তারপরেও প্রিমিয়াম আন্ডারকাট (বিদেশ থেকে প্রিমিয়াম রেট এনে) ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে কিছু কিছু কোম্পানি নিজেরা সুবিধাভোগ করছে আর সরকার ট্যাক্স, ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই কারণে মার্কেটে বিমা সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। ট্যারিফ সংশোধনের পরেও ব্যবসায়ীদের চাপে বিমা কোম্পানিগুলো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এজেন্ট কমিশনটাও বিমা গ্রহীতাদের দিয়ে দিচ্ছে। এটাই বর্তমান বাজারের বাস্তবতা। কমিশন বন্ধ করার জন্যই ট্যারিফ সংশোধন করা হয়েছে। যা প্রমাণ করে অতীতের মতো এবারও মস্ত বড় ভুল হলো। এমতাবস্থায় আমরা যারা নন-লাইফ বিমায় কাজ করছি তাদের অবস্থা তথৈবচ। আমরা ব্যবসায়ী, ব্যাংকারদের খুশি করতে করতে বেতনের টাকাটাও নিয়ে বাসায় যেতে পারি না। বাচ্চা-কাচ্চাদের লেখাপড়া, সংসার খরচ, অসুখ-বিসুখ তারপরে করোনার প্রভাব সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা। সবাই যার যার মতো বাঁচার জন্য একে অন্যের ব্যবসা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে অবিরত অথচ বিআইএ'র নির্দেশনার পরেও কোনো পরিবর্তন আসছে না। সবাই যেন অবৈধ প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। বিআইএ'র পরিচালনায় থেকে বিমা কোম্পানিগুলোকে যারা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তাদের কোনো কোনো কোম্পানির নামও এই কাজে যুক্ত আছে বলে মার্কেটে শোনা যায়। মার্কেট সার্ভে করে এত নির্দেশনার পরেও যারা বিমা বাজার অস্থির করে তুলেছে তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে মার্কেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। ছোট বেলায় পড়েছিলাম চোর ধরতে চোর নিয়োগ দিতে হয়। আজ সে কথা সত্যি বলে মনে হচ্ছে। এমন অবস্থায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কমিশন বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই প্রয়োজন সব বিমা কোম্পানিকে ভিজিল্যান্স টিমের মাধ্যমে পরিদর্শন করিয়ে বিমা শিল্পের বাস্তব অবস্থা নিরূপণ করে টেকসই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যাতে অবৈধ ও অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করা যায়। বিমা শিল্পে যারা কাজ করছেন তারা যেন আত্ম-মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে এ শিল্পকে উন্নতর দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত ৬৪নং সার্কুলারটি বিমা শিল্পের আর্থিক মানদন্ডকে উন্নত করেছে। তারপরেও বিআইএ'র মিটিং-এ শোনা যাচ্ছে কোনো কোনো কোম্পানি ওই সার্কুলারের নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাজারে অর্থ সরবরাহ করে বাজারকে অস্থির করে তুলছে। তা সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। কেননা, আমাদের বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয় পেশায় একজন হিসাব বিশেষজ্ঞ (চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট), অর্থনীতি এবং বিমা পেশার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সবিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আজ তিনি একজন সত্যিকার পেশাজীবী হিসেবে এই উচ্চতর পদে আসীন হয়েছেন। তার টিমে অত্যন্ত মেধাবী সদস্যরা, পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালকরা আছেন। যারা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আজ বিমা শিল্পের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে সরকারের রাজস্ব খাতকে চাঙ্গা করার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। নন-লাইফ বিমায় বর্তমান ইসু্যকৃত সার্কুলার নং-৭৫ এবং ৭৮ বিমা শিল্পকে ভালো করার আরো একটা সুন্দর পদক্ষেপ। আমরা চাই, সার্কুলার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমা পেশায় বিশেষ করে যারা উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন পদে কাজ করছেন তাদের সম্মানজনক অবস্থা বজায় রেখে কীভাবে শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে বিমার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে উদার মনোভাব নিয়ে সঠিক এবং বাস্তবসম্মত মতামত দিয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা। \হবিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন শিল্প বিকাশে এখন দরকার দক্ষ হাতে নার্সিং ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে পেশার মান উন্নয়ন ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে বিমা পেশাজীবীদের উদ্ধারে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া। ছোট বড় কোম্পানি বাছবিচার না করে সবার প্রতি সমান মনোভাব দেখানো। কেউ যেন নিগৃহীত বা অযাচিত নির্যাতিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। সর্বক্ষেত্রে অফিসিয়াল সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে শিল্পের উন্নয়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা। তা হলে অবশ্যই শিল্পের নিয়ন্ত্রণ আসবে। আমাদের মনে হয়, বর্তমানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের যে টিম রয়েছে তারা সবাই এই ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ এবং তারা সফলকাম হবেন ইনশা-আলস্নাহ। বিমা পেশায় বড় কোম্পানির তুলনায় ছোট কোম্পানিগুলোতে আনুপাতিক হারে বেশি লোক বিমা ব্যবসা সংগ্রহে কাজ করে থাকেন। বড় কোম্পানিগুলো সেবায় এবং মানে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানির তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানিগুলো খুব কষ্ট করে ছোট ছোট অনেক কর্মীর মাধ্যমে ব্যবসা সংগ্রহ করে থাকে। যা বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। তাই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রিমিয়াম আয়ের ১০% দিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানির পক্ষে কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার বড় কোম্পানির জন্য ১০% অনেক টাকা। যা অনৈতিক কাজ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানিগুলোর টিকে থাকা দায়। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ন্যায় প্রিমিয়াম আয়ের ভিত্তিতে বেতনের স্স্নাব করে দেয়া যায় কি না তা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহণ সংস্থা এই মর্মে ৩০/০৯/২০২০ইং তারিখে এক সার্কুলার ইসু্য করেছে যে, 'তৃতীয় পক্ষীয় বিমা ঝুঁকি না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা করার সুযোগ নেই'। আমরা জানি, পুলিশ বিমার জন্য মামলা না করলে কেউ তা করতে আগ্রহী হয় না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সংস্থার সার্কুলারের বলে সব ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি বিমা বন্ধ প্রায়। অনেক কোম্পানিই বিআরটিএ অফিসকে ঘিরে তাদের শাখা বা বুথ দ্বারা বিমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সার্কুলারের ফলে সে সব অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে ভেবে দেখা দরকার। সম্প্রতি চালুকৃত 'ইউএমপি' বিমা শিল্পে স্বচ্ছতার মানদন্ডে বিরাট ভূমিকা পালন করছে সত্যি। কিন্তু সে সেবা বিমা গ্রহীতারা সত্যিকার ভাবেই পাচ্ছেন কি না তার খোঁজ-খবর নেয়া উচিত। তা ছাড়া নন-লাইফ বিমার পলিসির পিরিয়ড হলো এক বছর। তার জন্য কোয়ার্টারলি ইউএমপি চার্জ প্রদান করা যুক্তিসঙ্গত কি না তাও ভেবে দেখা দরকার। খরচকে নিয়ন্ত্রণ করেই আমাদের শিল্পে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে শিক্ষা, পরিশ্রম, মেধা, দক্ষতা, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমেই অর্থনীতির চাকা ঘূর্ণায়মান রাখতে হয়। বিমা ব্যবসায় কাউকে বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ নেই। যার যার ক্ষেত্রে তাকে কাজ করে প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে। সবার সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিমা শিল্প এগিয়ে যাবে। তাই বিমা পেশায় জড়িত আমার বন্ধু, সহকর্মীদের কাছে করজোড়ে আবেদন, আসুন আমরা সবাই নীতি ও নৈতিকতার চর্চা করি। উন্নয়ন কর্মকর্তা ও এজেন্ট এই দ্বৈত সত্তার মাঝে একটি মধ্যম পন্থা বাহির করে শিল্প রক্ষায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করি। এ ব্যাপারে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্সু্যরেন্স এসোসিয়েশনের যৌথ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং তা পরিপালনে আমাদের নৈতিক সমর্থন বিমা শিল্পকে আমাদের দেশে সর্বাধিক স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১ মার্চ, ২০২০ বিমা দিবসে কথার ছলে অবসর সময়ে বিমা শিল্পে যোগদানের জন্য আশা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয়ও হিসাব বিজ্ঞানে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, মেধায়, মননে একজন প্রজ্ঞাবান চৌকস ব্যক্তিত্ব। বিমার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে পান্ডিত্য রয়েছে এবং পরিণত বয়সে সরাসরি বিমা ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন। তার সমর্থন ও সহযোগিতা আজ আমাদের বড় বেশি প্রয়োজন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের দেশের বিমা পেশাজীবীরা আর ১০টা দেশের বিমা কর্মজীবীদের মতো নিজ পেশার স্বীকৃতি বর্তমান কর্তৃপক্ষের হাত ধরেই পাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বিমা পেশায় জড়িত সবার মঙ্গল কামনা করছি। মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ : ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্সু্যরেন্স কোং লিঃ