এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়

ভিজিডির আওতায় আসবে ১০ লাখ নারী

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সমাজের অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। সরকারের নানা উদ্যোগ ও তৎপরতায় অসহায় দুঃস্থ নারীরা বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০২১-২০২২ দুই বছরে ভালনারেবল গ্রম্নপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) নতুন চক্রের উপকারভোগীদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ভালনারেবল গ্রম্নপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) নতুন চক্র (দুই বছর) শুরু হবে। এতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১০ লাখ ৪০ হাজার। সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এটা সত্য, করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্নআয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছে। এ সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী, যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সব শর্ত পূরণ করবে তাদের নির্বাচন করবে সরকার। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশার কথা, সব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। পাশাপাশি অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে- যা বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য, পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। এর পাশাপাশি ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্র্যপীড়িত এবং দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্র্যের স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়াও মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকাল ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে মোট সামাজিক নিরাপত্তায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৮৫ হাজার নারী। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০১-০২ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার। তবে এসব দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আমরা মনে করি, কোনো অবস্থাতেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে নূ্যনতম দুর্নীতির সুযোগ দেওয়া যাবে না। অসহায় নারীদের জন্য এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশের অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন সরকার। এই সেবা প্রদান বাংলাদেশ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এ ছাড়া দেশের দুর্যোগকালে দুর্গত মানুষের ত্রাণ কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এটা স্বীকার করতেই হবে, ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সব দরিদ্র পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের এই ধরনের নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ অত্যন্ত ইতিবাচক। এই ধরনের উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে। সমাজে নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।