বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন-২০২০

যে রূঢ় বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে কি তিনি পারবেন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে? নাকি ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের হাতে ঘটবে ক্ষমতার পালাবদল? ফলাফল নিয়ে হয়তো চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এ জন্য বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন; অন্তত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। মার্কিন রাজনীতিতে করোনাভাইরাস, অর্থনৈতিক সংকট, বর্ণবাদ ইত্যাদি ইসু্যর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের মতো বিষয়। ক্রমাগত দৃশ্য বদল হচ্ছে। কিন্তু একটি দৃশ্য আগের মতোই রয়ে গেছে। দুই প্রার্থীর বিতর্কের আগে প্রকাশিত জনমত জরিপে জাতীয়পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ পরিচালিত জরিপে জো বাইডেন এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে ১০ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি পরিচালিত এ জরিপে দেখা গেছে, জো বাইডেন ও তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানাচ্ছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প-মাইক পেন্স জুটিকে সমর্থন জানাচ্ছেন ৪৩ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার। আগস্টে দুই দলের জাতীয় কনভেনশনের আগে এ ব্যবধান ছিল ১২ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বছরের নির্বাচন আগের যে কোনো নির্বাচন থেকে যে ভিন্ন রকম হবে তা সহজেই অনুমান করা গিয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারি, অর্থনৈতিক সংকট ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিকায় আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে নির্বাচনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়বে, কিন্তু গত কয়েক দিনে পাওয়া তথ্যে নাগরিকদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় আগ্রহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে আগাম ভোটের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের সময় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন নাগরিক হয় ডাকযোগে ব্যালট সংগ্রহ করেছেন অথবা ইতিমধ্যে সশরীর ভোট দিয়েছেন। ২০১৬ সালে নির্বাচনের ১৬ দিন আগে এ ধরনের ভোটের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এ সব থেকে মনে হচ্ছে, ভোটারদের অংশগ্রহণের বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে একটি অভূতপূর্ব নির্বাচন হতে চলেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয়পর্যায়ের এ জরিপের মাধ্যমে দেশের ভোটারদের মধ্যে কোন প্রার্থী বেশি জনপ্রিয় সে বিষয়টি বোঝা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে কোন অঙ্গরাজ্যে কে এগিয়ে রয়েছে এবং তার ভিত্তিতে কোথায় কে জিতবে, সে বিষয়ে পূর্বানুমানের কোনো সুযোগ নেই। ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি জরিপে দেখা যাচ্ছে, নাগরিকদের মধ্যে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের ৬০ শতাংশই জানিয়েছেন, তারা নির্বাচন নিয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিককালের কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এতটা ভোটার আগ্রহ দেখা যায়নি। এমনকি ভোট দেওয়ার কথাও জানাচ্ছেন তুলনামূলক বেশিসংখ্যক ভোটার। জরিপে অংশ নেওয়া নিবন্ধিত ভোটারদের ৮৯ শতাংশই জানিয়েছেন, তারা ভোট দেবেন। যা ২০১৬ সালে ছিল ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ বলেছেন, তারা ডাকযোগে বা আগাম ভোট দেবেন। ৪৫ শতাংশ বলেছেন, তারা নির্বাচনের দিনই ভোট দেবেন। তবে উদ্দীপনার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্প-সমর্থকরা। ট্রাম্পের সমর্থকদের ৬৫ শতাংশই জানিয়েছেন, তারা নিবেদিত। বিপরীতে বাইডেন সমর্থকদের মধ্যে এ হার ৪৭ শতাংশ। তার সমর্থকদের একটি বড় অংশই মূলত ট্রাম্পবিরোধী। বাইডেনকে সমর্থন জানানো নিবন্ধিত ভোটারদের ৭০ শতাংশই জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পুনর্র্নিবাচন দেশের জন্য বড় সংকট ডেকে আনবে। বিপরীতে ট্রাম্প সমর্থকদের ৫৯ শতাংশ বাইডেনের জয় নিয়ে শঙ্কিত।

যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত ভোটারদের মধ্যে স্বতন্ত্র তালিকাভুক্ত ভোটারদের সংখ্যা ২৯ ভাগেরও কিছু বেশি। এ স্বতন্ত্র ভোটারই প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের নির্ধারণী শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন যেমন খুব সোজা, তেমনি জটিলও বটে। জনমিশ্রণের কারণেই হোক আর ঐতিহাসিক কারণেই হোক, নির্বাচনে কোন অঙ্গরাজ্যে কে জয়ী হবেন, তা অনেকটাই আগাম বলা যায়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে ডেমোক্রেটিক রাজ্য, রিপাবলিকান রাজ্য বেশ ভালোভাবেই চিহ্নিত। সারা দেশের তালিকাভুক্ত ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির তালিকাভুক্তি বেশি। মোট তালিকাভুক্ত ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ ডেমোক্রেট। রিপাবলিকান পার্টির তালিকাভুক্ত মোট ভোটারের প্রায় ২৯ শতাংশ। এবারই প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় স্বতন্ত্র তালিকাভুক্ত ভোটারদের সংখ্যাও ২৯ ভাগেরও কিছু বেশি। জাতীয়ভাবে এ স্বতন্ত্র ভোটারই নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের নির্ধারণী শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ব্যাপারটি এখন অনেকেরই জানা হয়ে গেছে। জনবসতি অনুযায়ী অঙ্গরাজ্য অনুযায়ী ইলেক্টোরেল ভোটের সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন। ফলে অঙ্গরাজ্যগুলো লক্ষ্য করেই প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করে থাকেন। কোনো কোনো রাজ্য কখনো ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে ভোট দেয়, কখনো রিপাবলিকান দলের পক্ষে। তালিকাভুক্ত ভোটাররা আবার ভোটকেন্দ্রে যাবেনই বা ডাকযোগে ভোট দেবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই।

উন্নত বিশ্বে জনমত জরিপে আগাম ফলাফল আন্দাজ করা যায়, যদিও বা সব সময় জরিপের ফলাফল অনুসারে কাজ হয় না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দেখা গেছে ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন মতামত জরিপে এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ট্রাম্পের। এখনো জো বাইডেন মতামত জরিপে ৮ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, রাষ্ট্রশাসনের কোনো চমক সৃষ্টি করতে না পারা, ক্ষমতায় থাকার সময় আত্মীয় তোষণ, নিজের ব্যক্তিগত যৌন কেলেঙ্কারি সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচন ট্রাম্পের অনুকূলে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। জনসাধারণ যতই সম্পৃক্ত থাকুক না কেন, যিনি জনসাধারণের সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন এমন নিয়ম মার্কিন নির্বাচনে নেই। সব অঙ্গরাজ্য থেকে নির্দিষ্ট ৫৩৮ জন ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পাবে (নূ্যনতম ২৭০ সদস্য) সে দলের প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। যে রাজ্যে যে দল বেশি ভোট পাবে সব ইলেক্টোরাল কলেজ তাদের। উইনার-টেইকস-অল, পরাজিতরা হিসাবের খাতায় আসবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়ার নজির রয়েছে। এমনকি গত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হেরে যান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

করোনাভাইরাসের কারণে বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা মি. ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি। 'আমেরিকা ফার্স্ট' বা সবকিছুতে আমেরিকা অগ্রাধিকার পাবে এ নীতির পক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দীর্ঘ দিনের। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও চেষ্টা করেছেন। আগের বারের নির্বাচনী প্রচারণায় মি. ট্রাম্প কর্মজীবী আমেরিকানদের কর হ্রাসের অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন করপোরেট ট্যাক্স কমানোর। একই সঙ্গে তিনি কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরেও জোর দিয়েছিলেন। এ সব প্রতিশ্রম্নতির কিছু কিছু তিনি পূরণও করেছেন। গত চার বছরে বাণিজ্যসংক্রান্ত আইন-কানুনে পরিবর্তন এনেছেন, করপোরেট ও ব্যক্তিগত আয়কর হ্রাস করেছেন এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে এবং মি. ট্রাম্পের নীতির কারণে তেমন মৌলিক কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন মহামারি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জো বাইডেন এখন পর্যন্ত জাতীয় ও ব্যাটলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত রাজ্যগুলোর জরিপে এগিয়ে আছেন; দেখা যাচ্ছে যে যারা ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না, তারাও বাইডেনকে সমর্থন করছেন। অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন সেপ্টেম্বরে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৩৮৩ মিলিয়ন ডলার; ট্রাম্পের ওঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪৭ মিলিয়ন ডলার। আগস্ট মাসেও ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন বেশি অর্থ তুলতে পেরেছিলেন। আগাম ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ডেমোক্রেট সমর্থকরা এগিয়ে আছেন, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের হিসাব অনুযায়ী ৪২টি অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের ভোট দেওয়ার অনুপাত ২: ১। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এতে ডেমোক্রেট প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। এখন পর্যন্ত গবেষণাগুলো এমন ইঙ্গিত দেয় না যে আগাম ভোটে এগিয়ে থাকলেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায়। ২০১৬ সালে ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় আগাম ভোটে এগিয়ে ছিলেন হিলারি ক্লিনটন, কিন্তু নির্বাচনের দিন যারা ভোট দিয়েছেন, তারা ট্রাম্পের পক্ষে থাকায় ফল হিলারির বিপক্ষে গেছে। অন্যদিকে কয়েক দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন রাজ্যে সমাবেশ করছেন। তিনি আশা করছেন যে ২০১৬ সালে যেমন শেষ সপ্তাহে তিনি তার সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করে কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলেন এবং ভোটের ঠিক আগে যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের বড় অংশকেই তার পক্ষে টানতে পেরেছিলেন, এবারও তিনি তা করতে পারবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার ইতিহাসে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে অনেক ব্যতিক্রম এবং প্রার্থীদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ, আন্তর্জাতিক পটপরিবর্তন, তার সঙ্গে দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারির মারাত্মক প্রকোপের কারণে বদলে গেছে অনেক হিসাব-নিকাশ। নভেম্বরের নির্বাচনে যে সব বিষয়ের ওপর বিচার বিশ্লেষণ করে ভোটাররা তাদের রায় দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাস, চাকরি-বাকরি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পররাষ্ট্রনীতি, অভিবাসন ইত্যাদি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যেই আসুক না কেন, এশিয়ার জন্য সুখবর নেই। বাইডেনের প্রশাসন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে ভাবিত থাকবে, এটুকুই যা লাভ। কিন্তু আমেরিকা তখনই কোনো দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে মাথাব্যথা করে, যদি সেই দেশটিকে তার কাবু করার দরকার হয়। সুতরাং দিনের শেষে ট্রাম্পই জিতুন আর বাইডেন জিতুন, তাতে আমাদের উলস্নসিত বা হতচকিত হওয়ার কিছু নেই।

যে রূঢ় বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে কি তিনি পারবেন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে? নাকি ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের হাতে ঘটবে ক্ষমতার পালাবদল? ফলাফল নিয়ে হয়তো চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এ জন্য বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন; অন্তত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<117161 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1