রোহিঙ্গা ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ

যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে, রোহিঙ্গা ইসু্যতে বাংলাদেশের পাশে কার্যত কেউ নেই। চীন, ভারত এমনকি মুসলিম দেশগুলোও না। লিপ সার্ভিস ছাড়া তারা বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত কিছুই দেয়নি। বস্তুতই তাদের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে। মুসলিম দেশগুলো এখন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আত্তীকরণ করে নেয়ার কথা বলতে শুরু করেছে। এককাঠি এগিয়ে সৌদি আরব, তার দেশের ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে।

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫০

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধদের চলমান সংঘাতের বাস্তবিক সমাধান কে করতে সক্ষম, তা নিয়ে অনেকে কৌতূহলী। অনেকে এই দায়িত্ব দেশটিতে গত বছর ক্ষমতায় আসা অং সান সু চি ও তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকারের ওপর দিতে চায়। রোহিঙ্গা ইসু্যটি ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ, ওআইসি, আসিয়ান, বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ এই সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে চূড়ান্ত দায়িত্ব মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের ওপর নিহিত। এদিকে যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ ও উপদলীয় কোন্দলে খুনের ঘটনা ঘটছে। এতে যে শুধু রোহিঙ্গারাই খুন হচ্ছে তা নয়, বরং স্থানীয় বাঙালিরাও খুন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অসামাজিক কার্যক্রম ও অস্থিরতার কারণে স্থানীয় বাঙালিরা জমি-বসতভিটা বিক্রি করে সাধ্যানুয়ায়ী কক্সবাজার, চট্টগ্রাম বা ঢাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। তাদের সে জমি-ভিটা বিভিন্ন কৌশলে কিনে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। উখিয়া-টেকনাফের হাটবাজার ও ব্যবসাবাণিজ্যের উলেস্নখযোগ্য অংশ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে, কক্সবাজার, এমনকি চট্টগ্রামেও বিভিন্ন কায়িক শ্রমের কর্মস্থলে মালিকরা সস্তা শ্রমিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দিচ্ছে। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ের ডেমোগ্রাফিক সূচকগুলো পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ফলে তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা বিদ্বেষ বাড়ছে দিনকে দিন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতার জন্য চাঁদাবাজি, বাজার দখল ও মাদক ব্যবসাকে দায়ী করা হলেও বিষয়টা এতটা সরলীকরণ নাও হতে পারে। কেননা, যেভাবে ক্যাম্পগুলোতে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দিনে হয়তো আওয়াজ উঠতে পারে বাংলাদেশ এককভাবে রোহিঙ্গা ম্যানেজমেন্ট ও নিয়ন্ত্রণে অক্ষম। তাই বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বা সহায়তা প্রয়োজন। হয়তো এ উদ্দেশ্য সাধনের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যেও ক্যাম্পে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কেননা, ক্যাম্পে সহিংসতার জন্য দায়ী আরসার যে দুই গ্রম্নপ, সেই আরসার নাটাই কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে। এর জন্ম মধ্যপ্রাচ্যে এবং নিয়ন্ত্রিত হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকেই। আর মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণ করে ব্রিটিশ-আমেরিকা-ইসরাইল। আরসা বা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বকোণে জঙ্গিবাদের উত্থানের ষড়যন্ত্রের কথা অনেক আলোচিত হয়েছে। এই অঞ্চলকে আরেকটি রাকা, আরেকটি মসুলে পরিণত করার কথাও আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়টিও বাংলাদেশের মাথায় রাখতে হবে। অবশ্য মিয়ানমার এখন শুধু অভিযোগই তুলছে না, রাখাইনে আরাকান আর্মি ও আরসার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে সর্বাত্মক লড়াই শুরু করেছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি স্বাধীনতা বা স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলে আরাকানে বসবাসকারী জাতিগত বুড্ডিস্ট রাখাইনদের একটি গোষ্ঠী মিয়ানমার আর্মির ওপর ব্যাপকভাবে হামলা শুরু করে। মিয়ানমার আর্মির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তারা বেশ কিছু সাফল্যও লাভ করেছে। প্রথমে তারা বাংলাদেশ সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে বেষ্টনী তৈরি করে যাতে রোহিঙ্গা বা আরসা কেউ তাদের হামলার মুখে পালিয়ে দুর্গম সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে। এরপর তারা আরাকান আর্মির বিভিন্ন অবস্থানে সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী সহযোগে একত্রে যৌথ হামলা শুরু করে। বিশেষ করে ভারতীয় সেনা প্রধানের মিয়ানমার সফরের পর থেকে এই হামলা অত্যন্ত জোরদার করা হয়। বলা হয়ে থাকে, চীনের সহায়তা পাওয়ার জন্য আরাকান আর্মি সিটুয়েতে ভারতের কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্টের বিরোধিতা করে তার কাজ আটকে দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার তার দেশের বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রম্নপের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিলেও রাখাইনে বা আরাকান আর্মির সঙ্গে এমন কিছু করতে আগ্রহী নয় মোটেও। ফলে মিয়ানমার আর্মি হয়তো এবারে আরাকান আর্মির ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত অবস্থানে যেতে চাইছে। অবশ্য সেটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশকে দ্রম্নত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা, পরিস্থিতি যেদিকে এগুচ্ছে তাতে মনে হয়, মিয়ানমার এক সময় বাংলাদেশ সীমান্তে দেয়াল তুলে দেবে। তাই রোহিঙ্গা ইসু্যতে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়। বাংলাদেশের ভেতর শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার সংলগ্ন একটি দ্বীপে জায়গা করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এটি এ কারণেই যে, বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা মুসলিম জনসংখ্যার চাপ সামলানো খুব সহজ কাজ নয়। তাছাড়া বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এ দেশে নিরাপদ থাকার জায়গা দেয় তা হলে সেটা মিয়ানমারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের এ দেশে ঠেলে দেওয়ার। যা আসলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতিই এক ধরনের অবিচার হবে। অপরদিকে বাস্তবিক কারণেই এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ দেশে স্থান দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্পদ ও স্থান বিচারে বাংলাদেশের তুলনায় মিয়ানমারের অবস্থা শতগুণ ভালো। সেখানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্থান সংকুলানে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়, অথচ বিষয়টিকে সে দেশের সরকার এমনভাবে দেখছে যেন, এই সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিতাড়িত করা গেলে রাষ্ট্রটি যেন বেঁচে যায়। সে কারণে পুলিশ, সেনা বাহিনী ও সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের যুগপৎ লেলিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎখাতের প্রচেষ্টা চলছে। \হরোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের এই নাজুক অবস্থার সুযোগ গ্রহণ করছে সুযোগসন্ধানী বিভিন্নগোষ্ঠী। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারকারী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এবং চোরাচালানকারী অসাধু মাফিয়াচক্র। সম্প্রতি মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উ থং টাং ভারত সফরে গেলে দেশটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে যে অভিযোগ জানানো হয় তা কেবল উদ্বেগজনকই নয় বরং চরম আতঙ্কের। উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয় যে, মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের উগ্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়ে্যবার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় তারা একটি শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরিতে সমর্থ হয়েছে। যা মূলত মিয়ানমার, ভারত ও বাংলাদেশের জন্য সত্যিই বিপদের কথা। এমনিতেই বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসীচক্র কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ও আইএস (ইসলামিক স্টেইট) বাংলাদেশে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ দানবের, যারা এ দেশে ইতোমধ্যেই আত্মঘাতী হামলার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে। ফলে ভারতের পক্ষ থেকে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের কাছে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে অভিযোগ করা হয় তখন বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ারও যথেষ্ট কারণ তৈরি হয়। মিয়ানমার রাষ্ট্রটি পৃথিবীর বাইরের কোনো রাষ্ট্র নয়। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘেরও দায়িত্ব রয়েছে রাষ্ট্রটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের তত্ত্বাবধানে একটি কমিশন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমস্যা নিয়ে কাজ করছে, তারা সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছে, মিয়ানমার তাদের সে দেশে এখনও প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। অপরদিকে মিয়ানমারের সেনা সরকারও একটি কমিশন গঠন করেছিল রোহিঙ্গা ইসু্যটি নিয়ে। কিন্তু তাদের তৎপরতার খবর জানা যায় না, কারণ মিয়ানমারের গণমাধ্যম এখনো পূর্ণ স্বাধীন নয়। রোহিঙ্গা ইসু্য নিয়ে সু চির মাথাব্যথা সামান্যই। তিনি বিষয়টি পশ্চিমাদের দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিতে পারলেই বাঁচেন বোধ হয়, তার কর্মকান্ডে সেটাই মনে হচ্ছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অবশ্যই শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতা করবে। কিন্তু সমস্যাটির সমাধান যে মিয়ানমারকেই করতে হবে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান বদলানো হবে আত্মঘাতী, তা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো থেকে যতই এ ব্যাপারে চাপ আসুক না কেন। আর সে জন্যই অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেওয়াই হবে সঠিক পদক্ষেপ। এ বিষয়ে কারও দূতিয়ালিকেই পাত্তা দেওয়া উচিত হবে না বাংলাদেশের। যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে, রোহিঙ্গা ইসু্যতে বাংলাদেশের পাশে কার্যত কেউ নেই। চীন, ভারত এমনকি মুসলিম দেশগুলোও না। লিপ সার্ভিস ছাড়া তারা বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত কিছুই দেয়নি। বস্তুতই তাদের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে। মুসলিম দেশগুলো এখন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আত্তীকরণ করে নেয়ার কথা বলতে শুরু করেছে। এককাঠি এগিয়ে সৌদি আরব, তার দেশের ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। \হইউরোপ ও পাশ্চাত্যের দেশগুলো শুধু বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ করার কথা বলছে না, বরং সাগরে ভেসে থাকা রোহিঙ্গাদেরও গ্রহণ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। বোধ করি, মিয়ানমারে অবশিষ্ট থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ গ্রহণ করলে তারা আরো খুশি। কার্যত রোহিঙ্গা ইসু্যতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছ থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য ছাড়া আর কিছু পায়নি। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের যে রায় নিয়ে বাংলাদেশ অতি আশাবাদী, বেলাশেষে তাও পরিণত হতে পারে হতাশায়। কারণ এই রায় তামিল করতে আইসিজের হাতে কিছু নেই। আইসিজের মুরুব্বি জাতিসংঘও এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারবে না। কারণ সেখানে ভেটো কার্ড খেলার খেলোয়াড়ের অভাব হবে না। আসলে মিয়ানমার এমন একটি দেশ, যার কাছে অতীতে টানা দুই দশক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে সার্ভাইভ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই আইসিজের এই রায়কে থোড়াই কেয়ার করা তাদের জন্য মামুলি ব্যাপার। মূলত আইসিজের রায় বাংলাদেশের সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারবে না, এটি বরং পাশ্চাত্য ও বেনিয়াদের মিয়ানমারে বাণিজ্য ও সুবিধা আদায়ে কিছু বার্গেইনিং পয়েন্ট ভারি করবে মাত্র। আমেরিকা এখন রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে বাংলাদেশকে চীনবিরোধী ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে যোগ দেয়াতে চায়। এছাড়া তার পকেটেও রোহিঙ্গা ম্যানেজমেন্টের টেন ইয়ার্স পস্ন্যান, অবধারিতভাবে সেটা বাংলাদেশের মধ্যেই। অন্যদিকে ইউরোপ, মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচনে যে অ্যাপটি তৈরি করে দিয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের পরিচিতি মুছে ফেলে বাঙালি মুসলিম বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে রোহিঙ্গা ইসু্যতে বাংলাদেশ ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে। ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী; লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক