নাগরিক ও ভোট

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্বাধীন হয়েছে। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রাজনীতি পরিচালিত হোক সেটায় কামনা করে। গণতন্ত্রে ধারাবাহিকতা হলো ভোটাধিকার। নিবার্চনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চায় জনগণ। এদেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পযর্ন্ত ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা চালু হয়েছে। ইউপি থেকে জাতীয় সংসদ পযর্ন্ত নিদির্ষ্ট সময়ে নিবার্চন হয়ে আসছে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর হতে অদ্যবধি নিবন্ধিত অনিবন্ধিত দুই শতের অধিক রাজনৈতিক দলের নাম শোনা যায়। মুষ্টিমেয় কয়েকটি দল ছাড়া অন্যসব রাজনৈতিক দলের তেমন কমর্কাÐ দৃশ্যমান নয়। অনেক দলের জেলা উপজেলায় ঠিকানাও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিবার্চন আসলে তখন ওই ধরনের রাজনৈতিক দলের তৎপরতা দেখতে পাওয়া যায়। নাম সবর্স্ব রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নিবার্চন নিয়ে দৌড়জোড় ও কথাবাতার্ শুনতে পাওয়া যায়। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কথা বলার অধিকার দল নাগরিক সকলেরই আছে। তবে অধিকার আছে বলে গণতন্ত্র আর ভোটের নামে লাগামহীন কথাবাতার্ বলাও জনগণ ভালোভাবে দেখে না। রাজনীতি করা এটা নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবে রাজনীতি হওয়া চায় দেশ ও জনগণের কল্যাণে। আর যারা দেশ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করবে ভোটে তাদের সমথর্ন দেয়া দরকার। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ একটি কঠিন ব্যাপার। স্বাধীনতার পর হতে নাগরিকের ভোটাধিকার নিয়ে যারাই বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় ছিলেন সকলেই কম বেশী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার খবর্ করেছে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার বাইরে থাকলে ভোট ও ভোটের অধিকার নিয়ে ছড়া ছড়া বক্তব্য রাখা হয়। আর কোনো প্রকারে একবার ক্ষমতার ওই চেয়ারের নাগাল পেলেই জনগণের ভোটাধিকারের অধিকার বেমালুম ভুলে যান। নানা ছলচাতুরী আর কৌশল ব্যবহার করে নাগরিকের ভোটাধিকার খবর্ করা হয়। যেহেতু ক্ষমতায় তারাই থাকে, ফলে ক্ষমতার সমস্ত শক্তি নিজের পক্ষে ব্যবহার করে আবার ক্ষমতায় বসার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করা হয়। এতে করে জনগণ অন্যায় জুলুম ব্যাভিচার ও দুনীির্তর প্রতিবাদ করতে পারে না। ক্ষমতার দাপটে দুনীির্তর শীষের্ পৌছেও সেক্ষেত্রে জনগণ এক ধরনের বোবা হয়ে যায়। কারণ গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের নিয়ম। এ শৃংখলা যখন ভঙ্গ হয় তখন জনগণ শক্তিহীন হয়ে পড়ে। দুনীির্তবাজ ক্ষমতাসীন সরকার জগৎদল পাথরের মতো জনগণের উপর চেপে বসে। নিবার্চন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা থাকলেও এক্ষেত্রে এ সংস্থাও মনে হয় যেনো সঠিকভাবে আইন প্রয়োগে ব্যাথর্ হয়। সমস্ত নিবার্চনে অসংখ্য অনিয়ম দুনীির্ত কালো টাকার ছড়াছড়ি এব্ং জোরপূবর্ক জাল ভোটের মাধ্যমে প্রাথীর্ নিবাির্চত করা হয়। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ সংবাদ মামলা নিবার্চন অফিসে করা হলেও বেশীরভাগ অভিযোগের কোনো সুরাহা হয় নি। ভোটাধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভোটারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখতে হবে। তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি রাজনৈতিক দলের প্রচÐ বিশ্বাস ও বাস্তবায়ন থাকতে হবে। কথা আর কাজে রাজনীতির মধ্যে মিল থাকতে হবে। ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার মধ্যে বক্তব্যের গরমিল রাখা যাবে না। গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার অপরিবতর্নীয় শব্দ। ক্ষমতাকে অঁাকড়ে রাখার জন্য এসব অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা অমাজর্নীয় অপরাধ। তাই নিবার্চন হোক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে। মাহমুদুল হক আনসারী ঢাকা