সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিহার করতে হবে

সাম্প্রতিককালে ধমের্র নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অপসংস্কৃতি সাংঘাতিকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু এই অপসংস্কৃতি প্রতিটি ধমীর্য় মতবাদের মূল চেতনার পরিপন্থি। পৃথিবীর সব ধমর্ই শান্তি ও মানবতার কথা বলে।

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আব্দুল খালেক মন্টু
মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ এই তিনটি ধমীর্য় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধমর্ নিয়ে বাড়াবড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধমর্ নিয়ে বাড়াবাড়িই হলো ধমর্সাম্প্রদায়িকতা। আমাদের প্রিয় নবী (স.) বিদায় হজের ভাসনে ধমর্ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা ধমর্ নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। ধমর্ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে অতীতে অনেক জাতিগোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে গেছে।’ মসজিদ থেকে মাইকে গুজব ছড়ালে আগু -পিছু বিবেচনা না করে একশ্রেণির মুসলমানকে উন্মুক্ত হয়ে ঝঁাপিয়ে পড়তে দেখা যায়। মোবাইলে বা মাইকে ঘোষণা দিয়ে একজন ব্যক্তি, যিনি মানতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের দায়ে উচ্চ আদালত কতৃর্ক দÐিত, তাকে চঁাদে দেখা গেছে বলে বিশ্বাস করানো যায় এবং তাদের দ্বারা ধবংসযজ্ঞ চালানো ও খুনখারাবি পযর্ন্ত করানো যায়। ধমের্র দোহাই দিয়ে জাতি ও দেশ ভাগ করা যায়। এক শ্রেণির নিবোর্ধ মুসলমানকে জঙ্গি কাযর্ক্রমে অংশগ্রহণ করানো যায়। যারা জঙ্গি হয়, তারা কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা পেয়ে ওই পথকে জান্নাতের পথ মনে করে আত্মঘাতী জঙ্গিপনায় মত্ত হয়। এ ক্ষেত্রে ধমির্বশ্বাসের অপব্যবহারটাই মূল কারণ। কোনো দেশে যদি ইসলামের আনুষ্ঠানিকতা পালনে কোনো বাধানিষেধ না থাকে, অবাধ ও স্বাধীনভাবে ধমীর্য়ানুষ্ঠানিকতাগুলো পালন করা যায়, তাহলে সে দেশ এবং সে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করা নিষেধ। রসুল (স.)-এর সঙ্গে থেকে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা সবাই কিন্তু একটি সাবের্ভৗম রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ছিলেন। কাজেই তারা যুদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে, সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে, যা আজও সবর্জনস্বীকৃত নিয়ম। আল্লাহর রসুল (স.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি রাষ্ট্রনায়ক, বিচারপতি এবং সেনাবাহিনীরও প্রধান ছিলেন। যতদিন আল্লাহর রসুল (স.) রাষ্ট্রশক্তির অধিকারী হননি, ততদিন তিনি ও তার অনুসারীরা কোনো শত্রæকে হামলা করেছেন এমন উদাহরণ ইসলামের ইতিহাসে নেই। আজ যারা ইসলামের নামে রসুলের (স.) পবিত্র জীবনীর অপব্যাখা দিয়ে জঙ্গিবাদী জেহাদে অবতীণর্ হয়েছে, দেশকে- পৃথিবীকে অস্থিশীল করার অপচেষ্টায় মত্ত হয়েছে, তারা ইসলাম লঙ্ঘন করেই তা করছে। মহানবী (স.) যখন হুদায়বিয়ার সন্ধি করেন, তখন তিনি লিখিয়েছিলেন, ‘বিসমিল্লাহির রহমানের রহিম।’ বিধমীর্রা বললো আমরা ‘বিসমিল্লাহির রহমানের রহিম মানিনা।’ নবী (স.) বললেন, ‘তোমরা কি মানো?’ তারা বলল আমরা ‘বিসমিল্লাকা আল্লাহুমা’ মানি। আল্লাহ আগে থেকেই আছেন। নবী (স.) বললেন, ‘তাই লেখো, ‘বিসমিল্লাকা আল্লাহুমা’ অথার্ৎ আল্লাহর নামে শুরু করলাম।’ সুতরাং ভিন্ন ধমের্র প্রতি যতটা সহিষ্ণুতা ইসলাম দেখিয়েছে, অন্য কোনো ধমর্ তা দেখায়নি। বিভিন্ন ধমের্র অস্তিত্ব যে আল্লাহর অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে নয়, সে কথা ইসলাম স্পষ্টই স্বীকার করেছে।’ এবং যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছে করতেন তাহলে নিশ্চয়ই পৃথিবীর সব মানুষ একযোগে বিশ্বাস স্থাপন করত। তা সত্তে¡ও কি সবাই মুমিন না হওয়া পযর্ন্ত তুমি লোকদের ওপর বলপ্রয়োগ করবে?’ (১০: ৯৯)। ধমীর্য় স্বাধীনতা হচ্ছে অতি প্রিয় মানবাধিকারগুলোর অন্যতম। নবীর (স.) আপন চাচা আবু তালেব শেষ পযর্ন্ত ইসলাম ধমর্ গ্রহণ করেননি, কিন্তু তার সহযোগিতা গ্রহণ করেছেন মহানবী (স.)। তাকে কখনো অশ্রদ্ধা করেননি। পরধমর্ বা পরমতের প্রতি সহিষ্ণু হওয়ার জন্য পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে মিথ্যা মাবুদকে ডাকে, তাদের তোমরা গালি দিও না, তাহলে শত্রæতাবশত না জেনে তারাও আল্লাহকে মন্দ বলবে’ (৬: ১০৮)। ধমীর্য় অসহিষ্ণুতার প্রতি ইঙ্গিত করে কোরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ যদি মানবমÐলীর এককে অপরের দ্বারা প্রতিনিবৃত্ত না করতেন, তাহলে আল্লাহর নাম যেখানে অধিকমাত্রায় স্মরণ করা হয়, যে সব উপাসনালয় ও গিজার্ এবং ইহুদি ভজনালয় ও মসজিদগুলো ধ্বংস হয়ে যেত’ (২৩: ৪০)। দুনিয়ায় যত ধমর্মত আছে, ধমর্মতের মানুষ আছেন, সবারই সৃষ্টিকতার্ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ। এক ধমর্সাম্প্রদায়ের মানুষ অন্য ধমর্সাম্প্রদায়ের মানুষকে ঘৃণা করা, অসম্মান করা, সবর্দা হিংসার চোখে দেখা, খুন-হত্যা করা ও ধ্বংস কামনা করা আল্লাহকে অসম্মান বা অবিশ্বাস করার শামিল। মহানবী (স.) অনেক মুশরিককে নিজের দস্তরখানায় আতিথেয়তা প্রদান করেছেন। মসজিদে নববীতে নিজের এলাকার একদল পাদ্রিকে তিনি উপাসনা করতে দিয়েছেন। যুদ্ধযাত্রাকালে মহানবী (স.) যে ভাসন দিয়েছেন, তাতে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা কোনো উপাসনালয় ভাঙবে না, কোনো পুরোহিত, উপাসক, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকে হত্যা করবে না।’’ রসুল (স.) আরও বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু মুসলমানদের এলাকার পবিত্র আমানত। আমার কোনো উম্মত যদি কোনো অমুসলিম সংখ্যালঘুর ওপর নিযার্তন করে, তবে আমি হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে ওই অমুসলিমের পক্ষে এবং ওই উম্মতের বিরুদ্ধে ওকালতি করব। যারা সংখ্যালঘুদের আঘাত করে তারা যেন আমাকেই আঘাত করে।’ ( জামে সাগীর; ২য় খÐ; পৃষ্ঠা -৪৭৩)। ইসলামে এরূপ হুঁশিয়ারি থাকা সত্তে¡ও মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ একটি মহল ইসলামের নামে ধমীর্য় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মন্দির, গিজার্, বিহার ও বিগ্রহগুলো ধ্বংস করে চলেছে। সাম্প্রতিককালে ধমের্র নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অপসংস্কৃতি সাংঘাতিকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু এই অপসংস্কৃতি প্রতিটি ধমীর্য় মতবাদের মূল চেতনার পরিপন্থি। পৃথিবীর সব ধমর্ই শান্তি ও মানবতার কথা বলে। সব ধমর্ই সন্ত্রাস ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে অনুসারীদের সতকর্ করে দিয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উপাসকরা নিজেদের মতলব হাসিলের জন্য ধমের্ক বমর্ হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের সঙ্গে ধমীর্য় মূল্যবোধের দূরতম সম্পকর্ও নেই। যুদ্ধ জয়ের পর নবী (স.) বলেছেন, ‘আমরা ফিরছি ছোট জেহাদ থেকে এবং যাচ্ছি বড় জেহাদে, তা হলো আপন হৃদয় এবং সমাজ পরিশুদ্ধ করা, যা এর থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূণর্, কষ্টসাধ্য এবং তাৎপযর্পূণর্।’ (আল হাদিস)। অথচ মুসলমানদের মধ্যে একটি বিশেষ মহল এই বলে মতলব হাসিলের কোশেশ করছে যে, কোরআনে মাত্র ৮২ জায়গায় নামাজের কথা বলা হয়েছে। আর জেহাদের কথা বলা হয়েছে ৩২৩ অথবা তার চেয়েও বেশি জায়গায়। এ কারণে তারা বড়ও নয়, ছোটও নয়, জেহাদের নামে সন্ত্রাস-নাশকতা ও খুন-হত্যা করে চলেছে। আল কোরআন আক্রমণাত্মক যুদ্ধকে নিষিদ্ধ করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে, সত্যিকার ইসলামী মূল্যবোধ হলো শান্তি-সমঝোতা এবং ক্ষমাশীলতা। পৃথিবীতে মাত্র ১০ ভাগ দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমন অবস্থায় অবশিষ্ট ৯০ ভাগ দেশে মুসলমানদের ধমীর্য় স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে সংকীণর্ মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তাহলে সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা শান্তিতে বসবাস, ধমীর্য় আনুষ্ঠানিকতা পালন ও অবাধে ধমর্ প্রচার করতে পারবেন। অন্ধ ও ভÐ ধমর্ বণিকেরা শুধু ভিন্ন ধমর্ ও ধমের্র মানুষের বিরুদ্ধে নয়, নিজ ধমের্র মুক্তমনা মানুষের বিরুদ্ধেও ইসলামকে ব্যবহার করে চলেছে। তাদের কাফের- নাস্তিক-মুরতাদ, ধমের্র অবমাননাকারী ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে নানাভাবে নাজেহাল, নিযার্তনসহ জান-মাল ও ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যে সব বিষয়ের সঙ্গে ইসলামের কোনো বিরোধ নেই, সে সব বিষয়ের বিরুদ্ধেও ইসলামকে ব্যবহার করে চলেছে। এভাবে তারা নিজেরাই ধমের্র অবমাননা করে চলেছে। ইসলাম একটি শান্তিময় ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা নয়। কিন্তু কিছু মুসলমান ইসলামকে জীবনব্যবস্থা নয়, রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে এবং সে জন্যই জেহাদ করে চলেছে। কিন্তু তাদের জন্য খারাপ খবর হলো, রাষ্ট্রীয় আইন পরিবতর্নশীল। কিন্তু ইসলামে জীবন বিধান ও সামাজিক আইন অপরিবতির্ত। এক কথায় বলা যায়, ইসলামে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ধমর্ পালন অপরিহাযর্। কারণ ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ধমির্নরপেক্ষতা অবশ্যই ধমর্হীনতা। আবার রাষ্ট্র শাসনে বিশেষ ধমের্র প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য প্রদশর্নও ধমর্হীনতা। ইসলামে রয়েছে ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব-সাম্য-মৈত্রী-উদারতা ও পরমতসহিষ্ণুতা, অশান্তি-বিশৃঙ্খলা-সন্ত্রাস এবং কলহবিবাদের কোনো স্থান নেই। বিশৃঙ্খলার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং বিভীষিকাময়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ইসলামে সম্পূণর্ অবৈধ বলে কোরআন-সুন্নাহ-ইজমা-কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত। আজকের বিশ্বে আমরা যদি মহানবীর (স.) শিক্ষা ও আদশের্র যথাযথ অনুসরণ করি, তাহলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে। মুসলিম শব্দের অথর্ আত্মসমপর্ণকারী। সৃষ্টিকতার্র প্রতি পূণর্ আত্মসমপর্ণকারী কখনো কারও ওপর নিযার্তন করতে পারেন না। ‘যার হাত এবং মুখ থেকে তার পাশের ব্যক্তি নিরাপদ নয়, সে মুসলিম নয়।’ (আল-হাদিস)। পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ পুস্তকের ১৭ পৃষ্ঠায় মুসলমানদের চরিত্র সম্পকের্ চমৎকার বণর্না দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘একজন মুসলিমের চরিত্র আল্লাহর ভয়ে সবর্দা ভীত থাকবে। তিনি ভাববেন, কোনো জিনিস এমনকি তার নিজের দেহের মালিকও তিনি নিজে নন। সবকিছু আল্লাহতালার দেয়া আমানত। মন্দ চিন্তা থেকে তিনি মনকে মুক্ত রাখবেন। কানকে দূরে রাখবেন অসৎ আলোচনা শোনা থেকে। কারও প্রতি কুদৃষ্টি দেয়া থেকে চোখকে হেফাজত করবেন। মিথ্যা কথা বলা থেকে জিহŸাকে সংযত রাখবেন। হারাম জিনিস দিয়ে তিনি তার পেট ভরাবেন না। কারও প্রতি জুলুম করবেন না। অন্যায় পথে পা চালাবেন না। মিথ্যার সামনে মাথা নত করবেন না।’ সার কথায় বলা যায়, চিন্তায়-কথায় ও কাজে যিনি সত্যনিষ্ঠ তিনিই প্রকৃত মুসলমান। আর এ জন্য যা প্রয়োজন তা হলো জ্ঞানবিজ্ঞানে পারদশীর্ হয়ে ওঠা। আজ জ্ঞানবিজ্ঞানহীন মুসলমানরা আংটিবিহীন সোলায়মানের (আ.) মতো অন্ধকারে পথ হাতড়াচ্ছে। অতি নগণ্য সংখ্যক মুসলমান বিষয়টি উপলব্ধি করে চিল্লাচিল্লি করলেও তা কানে তোলার মতো মুসলমানের আজ বড়ই আকাল। কবি নজরুলের ভাষায় বলা যায়, ‘আল্লাহতে যার পূণর্ ইমান কোথা সে মুসলমান।’ আজ শুধু অন্য ধমের্র মানুষই নয়, প্রকৃত মুসলিমদের কাছেও ইসলাম আতঙ্ক বিরাজ করছে। একশ্রেণির মুসলমানের এ অসুখ নতুন নয়, ইসলামের উন্মেষকাল থেকেই চলে আসছে। যেমন—-, হযরত ইমাম হোসেন (র.) কারবালার ময়দানে দঁাড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনাদের মাঝে কি কোনো মুসলমান আছেন? সমবেত ইয়াজিদী সৈন্যরা নীরব ছিল। মুসলমানদের সামনে দঁাড়িয়ে তিনি একজনও মুসলমান খুঁজে পাননি। শেষ কথায় বলা যায়, শুধু নামেই নয়, অকাজ -কুকাজে পারদশীর্ মুসলমান আছেন অনেকেই। কিন্তু‘ সুকাজের মুসলমান আছেন খুব কমই। সুতরাং নামে নয়, কাজে মুসলমান চাই। শান্তির ধমর্ ইসলাম তার বাস্তব উদাহরণ চাই। আব্দুল খালেক মন্টু: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট