বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৯৭১-এর বিভিন্ন রণাঙ্গন বুলেটিন ও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়বার্তা

মার্চ থেকে শুরু হওয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের শেষ দুটি মাস অর্থাৎ অক্টোবরের মধ্য থেকে পুরো নভেম্বর মাসে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার বর্ণনায় শিহরিত হতে হয়। টানটান উত্তেজনা, উদ্দীপনা আর জয়ের নেশায় বীর জওয়ানরা জয় জয় রবে এগোচ্ছিল। এ সময়টাতে তারা চতুর্দিক থেকে শত্রম্নসেনাদের গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। জলে-স্থলে চমকপ্রদ অগ্রগতি ঘটেছিল মুক্তিবাহিনীর।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনী তার কালো থাবা বিস্তার করে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ ও অসহায় বাঙালির উপর। শুরু হয় গণহত্যা। পাকিস্তানের এ বর্বর হানাদার বাহিনী ১৯৪৭-এর অত্যাচার, অবিচার, জুলুম, হয়রানি আর শাসন-শোষণের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে ২৬ মার্চের কালরাত্রিতে। বঙ্গবন্ধু রাতের শেষ প্রহরে ঘোষণা দেন ঐতিহাসিক স্বাধীনতার কথা। তার সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গবন্ধুকে আটক করে পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে আর বাঙালির উপর চালাতে থাকে পাশবিকতা ও নিষ্ঠুরতা। নিষ্ঠুরতার হাত থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা কেহই রেহাই পায়নি। তারা বাঙালি যুবতী নারীদেরও অসম্মান করেছে। সুন্দরী নারীদের তারা ক্যাম্পে নিয়ে যায় তাদের লালসা নিবৃত্তির জন্য। দৈহিক ভোগের পর তাদের অনেককেই নির্মমভাবে হত্যা করে। বাঙালি এ বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। হাজার হাজার বাঙালি শরণার্থী হয়ে প্রতিবেশী ভারতে চলে যায়। ভারত মানবিক কারণে বাঙালিদের আশ্রয় দেয় এবং সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করে। ভারতের সহযোগিতায় এক দুর্বার প্রতিরোধ শুরু হয়। সংগঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ। প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ। ক্রমে সংগঠিত যুদ্ধের মাধ্যমে হানাদার বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ যুদ্ধের চূড়ান্তরূপ বা বিজয়ের বার্তা আসতে থাকে ১৯৭১-এর সেপ্টেম্বর মাস থেকে। অক্টোবর-নভেম্বরে তা আরও প্রবল ও বেগবান হয়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে যুদ্ধের সাফল্য এবং পরাজয়ের যে চিত্র তা আমাদের বিজয় এবং স্বাধীনতার প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করেছে। তারই সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো।

২৩ অক্টোবর স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিবাহিনী খুলনা জেলার আশাশুনি এলাকায় একটি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে ৬৪ জন রাজাকার খতম এবং ৪০ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় তারা ৫টি রাইফেলও দখল করে। একই দিনে তারা খুলনা জেলার পাটকেলঘাটায় হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৫ জন খানসেনা হত্যা করে। এ ছাড়া তারা খুলনার শ্যামনগর এবং বাটশালা এলাকায় খান সেনাদের উপর পৃথক আক্রমণ চালিয়ে ১১ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে খতম করে। ঢাকা-কুমিলস্না-চট্টগ্রাম রণাঙ্গন থেকে জানা গিয়েছিল যে ২৬ অক্টোবর ১৯৭১ সালে ছাগলনাইয়ায় মুক্তিবাহিনী মাইনের সাহায্যে একটি পাকিস্তানের ট্রাক ধ্বংস করে। ওই আক্রমণে পাকবাহিনীর সাতজন নিয়মিত সৈন্য ও পাঁচজন অনিয়মিত সৈন্যকে হত্যা করতে সমর্থ হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, উক্ত এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে মুক্তি বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকে। ময়মনসিংহ-সিলেট রণাঙ্গন থেকে জানা গিয়েছিল, অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা ময়মনসিংহ জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী, পূর্বধলা এবং দুর্গাপুর থানায় কয়েকটি উপর্যুপরি আক্রমণ চালিয়ে দশজন অনিয়মিত সেনা খতম করেন এবং বেশকিছু সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেন। ২৯ অক্টোবর ঠাকুরকোনার নিকটে পাক-টহল দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা দুজন নিয়মিত, চারজন অনিয়মিত শত্রম্নসেনা হত্যা করতে সমর্থ হন। ওইদিন মুক্তিবাহিনী জামালপুর ও বাহাদুরাঘাটের মধ্যবর্তী এলাকায় রেললাইন উড়িয়ে দিতে সমর্থ হন। তারা ওই সময় পাহারারত দুজন রাজাকারকে জীবিত অবস্থায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন। ২৮ অক্টোবর মুক্তিসেনারা ধলাই চা বাগানে অবস্থানরত শত্রম্নসেনার উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধে একজন ক্যাপ্টেনসহ ২১ জন শত্রম্নসেনা তদুপরি বহু অনিয়মিত সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে আমাদের তিনজন বীরযোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন। রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী রণাঙ্গন থেকে জানা গিয়েছিল, ২৭ অক্টোবর জগতপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের একটি মিশ্র টহল দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে এবং নয়জন শত্রম্নসেনা খতম ও চারজনকে আহত করেন। এর আগে ২৪ অক্টোবর একই এলাকায় মুক্তিবাহিনীর হাতে পাঁচজন অনিয়মিত শত্রুসেনা খতম হয়।

৫ নভেম্বর ফুলবাড়িয়া থানাতে হানাদার সেনাদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর একটি শক্তিশালী স্কোয়াডের ৬ ঘণ্টা স্থায়ী এক প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে টিকতে না পেরে হানাদাররা বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে পিছনে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়। ১১ নভেম্বর মুক্তাগাছার বটতলায় মুক্তিবাহিনী এক যুদ্ধে তিনজন পাঞ্জাবি হানাদার সেনাসহ তিনজন রাজাকারকে হত্যা করে এবং সাতজন রাজাকারদের গ্রেপ্তার করে। ১৩ নভেম্বর নবাবগঞ্জ শহরে উপকণ্ঠে ইসলামপুর, বাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, ছোট কলকাতা, ইলশামারি, দেবনগর প্রভৃতি গ্রামগুলোতে মুক্তিবাহিনীর ও খান সেনাদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। গ্রামবাসীরা মুক্তিবাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে। মুক্তিবাহিনী এখানে সফলতা লাভ করে। ১৫ নভেম্বর নোয়াখালী জেলার ছাগলনাইয়ায় পাক-সেনাদের উপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং পাঁচজন পাক-সেনা নিহত করে। রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী রণাঙ্গন থেকে জানা গিয়েছিল, ১৬ নভেম্বর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী এলাকায় পাক-সেনাদের ঘাঁটি অবরোধ করে এবং প্রচন্ডভাবে আক্রমণ চালায়। এতে ছয়জন পাক-সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়। এ সময়ে রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা শত্রম্নমুক্ত হয়েছিল। এ এলাকার ফরিদপুর, আলাগলি, হাকিমপুর, রাধাকান্তপুর, পিরোজপুর, পুলিয়াডাঙ্গা, চিলমারী, সাহেবনগর প্রভৃতি সীমান্ত চৌকি থেকে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানের সেনাদের সম্পূর্ণরূপে হটিয়ে দিয়েছিল। সেগুলো এ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। ১৭ নভেম্বর সকাল ৫টা থেকে ঢাকা শহরে আকস্মিকভাবে কারফিউ জারি করে প্রতি বাড়ি বাড়ি তলস্নাশি চালানো হয়। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাক-সেনার বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ করে তোলে। ১৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা কক্সবাজারের নিকটে একখানা পাক-জঙ্গিবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বাংলাদেশের অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা শহরটি দখলের চেষ্টা করলে হানাদারেরা বাধা দেয়। ফলে সামনাসামনি তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড মারের মুখে পাক-হানাদার যখন টিকতে না পেরে পিছু হটছে তখন এ জঙ্গি বিমানের সাহায্য নেওয়া হয়। ২১ নভেম্বর যশোর চিটাগাং ও সিলেট রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজ ও পাক-সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং এ যুদ্ধে পাক-সেনারা ট্যাংক ব্যবহার করে। কিন্তু মুক্তিবাহিনীর বেপরোয়া আক্রমণের মুখে তারা টিকতে না পেরে পশ্চাদপসারণ করতে বাধ্য হয়। পাক-সাঁজোয়াবাহিনীর এ বিপর্যয়ের ফলে পাক-সামরিক জান্তার মনে শেষ বিজয়ের আশার প্রদীপের শিখাটিও যেন আস্তে আস্তে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসছে। ২৪ নভেম্বর যশোর-খুলনা-কুষ্টিয়া-ফরিদপুর অঞ্চলের ৮০ ভাগ এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে এসেছিল। ২৫ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ঝিকরগাছা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের তাড়িয়ে দিয়ে কয়েকটি গুলি দখল করেছে। ওই সময়ের ঝিকরগাছার সব জায়গায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ছিল এবং এ সময় অন্তত ১০টি জেলা অর্থাৎ রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর প্রভৃতি জেলাগুলো ৭ দিনের মতো মুক্ত করার সংকল্প নিয়ে মুক্তিবাহিনীরা দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলছিল। ২৬ নভেম্বর খুলনা-কুষ্টিয়া-রংপুর-দিনাজপুর-কুমিলস্না প্রভৃতি রণাঙ্গনে পাকবাহিনী যেরূপে মুক্তিফৌজের হাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছিল ঠিক একইভাবে যশোরের উপকণ্ঠেও ছিল তারা বেসামাল। চার দিন ধরে প্রচন্ড লড়াইয়ের পর মুক্তিফৌজ চৌগাছা দখল করে নিয়েছে। যশোর ক্যান্টনমেন্টমুখী মুক্তিবাহিনীর দুর্বারগতি ক্রমান্বয়ে সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। ২৮ নভেম্বর ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী পাকিস্তানি গোলন্দাজ বাহিনীকে বাংলাদেশের হিলি থেকে পিছু হটিয়ে দেন। এদিকে মুক্তিবাহিনী তুমুল লড়াইয়ের পর হিলির ১০ মাইল ভিতরে জয়পুরহাট শহরটিও মুক্ত করে নিয়েছেন। মুক্তিবাহিনীর হাতে সেখানে চারটি পাক-ট্যাংক ঘায়েল হয়েছে। ৩০ নভেম্বর মুক্তিফৌজের অভিযানে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে এক বিরাট সাফল্য আসে। আমাদের মুক্তিবাহিনীর বীর জওয়ানরা নাগেশ্বরীতে শত্রম্নসেনাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং প্রায় ১০ দিন ধরে তাদের সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ অভিযানে শত্রম্নসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং তারা ইউনিফর্ম ত্যাগ করে সাদা পোশাকে কুড়িগ্রামের দিকে ছুটে পালায়। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ক্যান্টনমেন্ট মুক্তিযোদ্ধারা অবরোধ করে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাক-সেনারা ত্রাহি ত্রাহি রবে আকাশ ফাটাচ্ছিল।

এমনভাবে চলতে থাকল, বাংলাদেশ মুক্ত হওয়াটা যেন আর কয়েক দিনের ব্যাপার মাত্র। ইতিমধ্যে পাক-সেনাদের ওপর মিত্রবাহিনী ও যৌথবাহিনীর প্রচন্ড চাপ পড়তে থাকে। ডিসেম্বর মাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী পাক-হামলার সমালোচিত জবাব দিলেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করলেন। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং অধিকৃত বাংলার পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে। মুক্তিবাহিনীর শক্তি ও সুসংহত হয়ে উঠছে। অবশেষে মুক্তিবাহিনী ও যৌথবাহিনীর নেতৃত্বের কাছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ হলো এবং বাংলাদেশে লাভ করল একটি লাল-সবুজ পতাকা।

মার্চ থেকে শুরু হওয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের শেষ দুটি মাস অর্থাৎ অক্টোবরের মধ্য থেকে পুরো নভেম্বর মাসে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার বর্ণনায় শিহরিত হতে হয়। টানটান উত্তেজনা, উদ্দীপনা আর জয়ের নেশায় বীর জওয়ানরা জয় জয় রবে এগোচ্ছিল। এ সময়টাতে তারা চতুর্দিক থেকে শত্রম্নসেনাদের গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। জলে-স্থলে চমকপ্রদ অগ্রগতি ঘটেছিল মুক্তিবাহিনীর।

নদীপথে হানাদাররা বিপর্যস্ত, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় অকেজো। বাংলাদেশের বিস্তৃত অঞ্চল আজ শত্রম্নমুক্ত। পাকিস্তানি হানাদার সেনারা তাদের সেনাসামগ্রী ও মনোবল হারিয়ে হতাশায় যেন উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিপক্ষ অক্টোবর-নভেম্বর যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তারা বিপর্যস্ত হয় এবং বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। একপর্যায়ে হতাশার ভারে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে তাদের মধ্যে এক নাজেহাল অবস্থা পরিদৃষ্ট হয়। এমনি করে ১৬ ডিসেম্বর তারিখে আত্মসমপর্ণের মাধ্যমে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে