শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে নিরাপদ করতে হবে

নতুনধারা
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

প্রকৃতিতে শীত বিভিন্ন উৎসব নিয়ে এলেও ঢাকায় শীত আসে বায়ুদূষণের অভিশাপ নিয়ে। শুষ্ক মৌসুমে রাজধানী বায়ুদূষণে রেকর্ডের পর রেকর্ড করে, যা মোটেই এ মহামারির সময়ে কাঙ্ক্ষিত নয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাই যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন নীরব ঘাতক হিসেবে বায়ুদূষণ ভূমিকা রাখবে। শীত মৌসুমে যেহেতু স্বভাবত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে এবং তার সঙ্গে করোনা মিলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে! মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে ব্যাপক আকারে, বায়ুদূষণ থেকে সৃষ্টি সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি অসুখের সঙ্গে করোনা মিলে জনসাধারণকে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলবে। বর্তমানে বায়ুদূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো- অবকাঠামো নির্মাণ কাজ, শুষ্কতা, যানবাহন নির্গত বায়ু এবং ইটের ভাটাগুলো। ঢাকার বায়ুতে বিদ্যমান সিসা, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, দস্তাসহ ইত্যাদি ভারী ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে বেশি যা শ্বাসকষ্ট থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। বাতাসের মান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী গত বছর নভেম্বরের বিভিন্ন সময়ে ঢাকার বায়ু বিশ্বের সব থেকে বেশি দূষিত বায়ু ছিল। সাধারণত রাজধানী ঢাকাকে বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে দেখা যায়। করোনাকালীন কয়েক মাস ঢাকা শহর অচল থাকার সময়ে ঢাকার পরিবেশে বায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বাতাসে দূষণের পরিমাণ কম ছিল যা লকডাউনের পরে আবার অবনতির দিকে। দূষণ মোকাবিলায় প্রত্যেক বছর সিটি-করপোরেশন যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে তা পর্যাপ্ত নয়, 'সর্বাঙ্গে ব্যথা,ওষুধ দেবো কোথা' কয়েকবার জল ছিটানোতে এর সমাধান মিলবে না, নগর পরিকল্পনাবিদদের উচিত সময়োপযোগী উদ্যোগ নেওয়া। অবকাঠামোগত নির্মাণ ও চারপাশের ইটের ভাটা থেকে যেহেতু উলেস্নখযোগ্য পরিমাণ দূষণ ঘটে তাই এখানে প্রয়োজন স্থায়ী নীতিমালার, সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বায়ুদূষণকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। শুধু করোনাকালীন নয়- বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে সব সময়ের জন্য নিরাপদ করতে হবে।

মো. আরাফাত হোসেন

শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে