পাঠক মত

নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মো. ওসমান গনি শুভ শিক্ষাথীর্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্প্রতিক শরীয়তপুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। নদীভাঙন তীব্র হয়ে ওঠায় প্রাচীন স্থাপত্য যেমনÑ মসজিদ, মন্দির, গিজার্, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ফসলি জমি নদীর গভের্ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভাটির সময় মধ্যাঞ্চল নদীভাঙনের কবলে পড়ে হচ্ছে সবর্স্বান্ত। পিতার বাস্তুভিটা রেখে ভাসমান জীবনযাপন করছে অনেকেই। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বতর্মানে বিপুল পরিমাণ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থাপত্যসহ সবই রাক্ষসী পদ্মার পাকস্থলীর ভিতর ঢলে পড়ছে। এ ছাড়া উত্তর জনপদের তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, নদী পাড়ের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা থেকে শুরু করে বগুড়ার সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, আরিচা, টাঙ্গাইল এবং পদ্মায় রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ, মাওয়া, সুরেশ্বর মুন্সীগঞ্জসহ বিস্তীণর্ এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ নিমার্ণ, নদী ড্রেজিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা আসলে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া বঁাধ নিমার্ণ-সংস্কার নিয়ে একশ্রেণির কমর্কতার্ ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রয়েছে দুনীির্তর অভিযোগ। তাই সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে নদীভাঙন রোধে দ্রæত এবং কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণ করে মানুষের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু-সুন্দর জীবন পরিচালনায় সাহায্য করবেন- এই কামনাই করি।