শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন

নারীমুক্তি ও নারীর ক্ষমতায়ন বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। বর্তমান বিশ্বে জীবিকা অর্জনের লক্ষ্যে নারীর আধিপত্য সৃষ্টি হয়েছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নারীরা শুধু পেশাগত ও কারিগরি উভয় শিক্ষায় শিক্ষিতই নয় বরং তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধিরও সুযোগ রয়েছে। এ বাহিনীর মহিলাদের মানবাধিকার ও জেন্ডার ইসু্যর ওপর ধারণা দেওয়া হয়।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার আসনে আসীন হয়েও অনেক মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এখানে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব প্রকট। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য এ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভাগ ও সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম উন্নয়ন সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। আনসার ভিডিপি সংগঠন আনসার ভিডিপি কার্যক্রম অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগের ন্যায় আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দেশের যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এ যাবত আনসার ভিডিপির প্রতিটি সদস্য-সদস্যা উপরোক্ত প্রতিটি ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ৬০ লক্ষাধিক সদস্য-সদস্যা নিয়ে এ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠিত। বাংলাদেশে সুবৃহৎ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বিশাল এ বাহিনী সমসংখ্যক পুরুষ ও মহিলার সমন্বয়ে গঠিত নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন স্বেচ্ছাসেবী বিশাল এ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ প্রত্যয় ও অঙ্গীকার নিয়ে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের আত্মপ্রকাশ। আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক আইন-১৯৯৫ (১৯৯৫ সালের ২১নং আইন) এর অধীনে ১৯৯৬ সালে স্থাপিত আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক সরকারি নিয়ন্ত্রিত একটি বিশেষায়িত ব্যাংক এবং একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধনের ২৫% শেয়ার সরকার/সরকারের পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কর্তৃক ক্রয় করেছে। অবশিষ্ট ৭৫% শেয়ার শুধু আনসার ভিডিপি সদস্য-সদস্যারা, সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই ক্রয়-বিক্রয় এবং হস্তান্তরযোগ্য হবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এ অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন সময় সময় সরকারের অনুমোদনক্রমে বৃদ্ধি করা যাবে।

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পরিষ্কার যে, গ্রামের বেকার, নিম্নবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত, বিত্তহীন শ্রেণি বিশেষ করে মহিলাদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্ব্বেও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে ভাগ্য উন্নয়নের কোনো অর্থকরী কার্যক্রম হাতে নিতে সক্ষম হচ্ছে না। আনসার ও ভিডিপি সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সদস্য-সদস্যার দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাসহ তাদের সার্বিক আর্র্র্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ব্যাংক ইতোমধ্য বহুমুখী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু করেছে। এই ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে শুধু আনসার ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের মধ্যে। শেয়ার হোল্ডার হিসেবে তারাই এই ব্যাংকের মালিক হয়েছে। এই ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে শুধু আনসার ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের মধ্যে যারাই এই ব্যাংকের মালিক। পিঁছিয়ে পড়া মানুষের বিনা বন্ধকীতে পুঁজির ব্যবস্থা হয়েছে এই ব্যাংকের মাধ্যমে। অন্যদিকে ঋণের অর্থ প্রধানত উৎপাদনশীল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় জাতীয় উৎপাদনে এর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। এই ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমী ব্যাংক। এর কার্যক্রম শুধু ঋণ প্রদান ও আদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সব কার্যক্রমের জন্য ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের গ্রম্নপ গঠন, প্রকল্প গ্রহণ, ঋণের অর্থের সঠিক ও লাভজনক বিনিয়োগ এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই এই ব্যাংকের কর্মপ্রক্রিয়াও ব্যতিক্রমী। ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ ব্যাংক বর্তমানে গরু, ছাগল মোটাতাজাকরণ, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্যচাষ, হ্যাচারি প্রকল্প, শাকসবজি ফলের উৎপাদন, নার্সারি প্রকল্প, কুটির শিল্প স্থাপন, রিকশা ও রিকশাভ্যান ক্রয়, মৃৎশিল্প, পাটের হস্তশিল্প, সেলাই মেশিন ক্রয়, রেডিও, টিভি ও ঘড়ি মেরামত খাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ (মাইক্রো ক্রেডিট) বিনা জামানতে প্রদান করছে।

\হনারীমুক্তি ও নারীর ক্ষমতায়ন বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। বর্তমান বিশ্বে জীবিকা অর্জনের লক্ষ্যে নারীর আধিপত্য সৃষ্টি হয়েছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নারীরা শুধু পেশাগত ও কারিগরি উভয় শিক্ষায় শিক্ষিতই নয় বরং তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধিরও সুযোগ রয়েছে। এ বাহিনীর মহিলাদের মানবাধিকার ও জেন্ডার ইসু্যর ওপর ধারণা দেওয়া হয়।

নারীর ক্ষমতায়নকে লক্ষ্য রেখে আনসার ভিডিপির নারী সদস্যকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য আনসার ভিডিপি নারী সদস্যদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ যেমন সেলাই, বুনন, তাঁতের কাজ, বিভিন্ন গৃহসরঞ্জাম সংরক্ষণ, নার্সারি, মৎস্য ও পশুসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়। আনসার ভিডিপি সমিতির অধীনে সদস্য-সদস্যারা বিভিন্নমুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। জাতির উন্নয়নের জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীদের অঙ্গীভূতকরণ বা সম্পৃক্তকরণ একটি বড় ধাপ। ভয়, কুসংস্কার এবং সমাজের নিন্দা ধারণাকে উপেক্ষা করে নারীরা এগিয়ে এসেছে। জাতির উন্নয়নের জন্য নারী নেতৃত্ব এবং নারীমুক্তি অবশ্যই প্রয়োজন। যদি আমাদের নারীরা রক্ষণশীল বা গোড়া সমাজ থেকে বেরিয়ে আসে তবে তারা নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে এবং রাজনীতির ক্ষেত্রেও একটি সুন্দর উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। নারীরা সচেতন হলে সমাজ ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাবে। অনেক অপরাধ এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। সামাজিক বৈষম্য দূর হবে। পরিবার, গৃহসাজসহ সর্বত্র একটি সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করবে। নারীদের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নিরাপদ সমাজ গঠন এবং শিশুপাচার রোধে একটি চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারে। সরকারের কাছ থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হলে আমাদের নারী সমাজের উন্নয়ন অতি শিগগিরই সম্ভব হবে।

ইতোমধ্যে ঢাকার লোকাল অফিসসহ ৬৪টি জেলায় ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে এবং ওই শাখাগুলোর মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আগ্রহী ও যোগ্য শেয়ার হোল্ডার সদস্য-সদস্যাগণকে ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রমের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ও ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটি থানা সদরে ১টি করে শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। আনসার ভিডিপি সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত এবং সত্যায়িত সংগঠনের সদস্য-সদস্যা, সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আনসার ভিডিপি ব্যাংকের সংগঠনের থানা, জেলা কার্যালয়সহ ব্যাংকের শাখাসমূহ হতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এই ব্যাংকের সব জেলা ও থানা সদরের মনোনীত শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত অর্থ নগদে পরিশোধের বিনিময়ে বিক্রয়ের কাজ অব্যাহত আছে। নূ্যনপক্ষে ব্যাংকের ১০০/- মূল্যমানের ১টি শেয়ার ক্রয় করেছেন এরূপ সদস্য-সদস্যা ঋণ পাওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করবেন। তবে ঋণ প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই ব্যাংকের ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী যাবতীয় শর্তাবলী পরিপালন এবং সরেজমিন যাচাই-বাছাইয়ের পর ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হলেই ঋণ প্রদান করা হবে। এই ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার সদস্য-সদস্যাদের গ্রম্নপ গঠনের মাধ্যমে নির্ধারিত খাতগুলোয় ইকু্যইটি ব্যতিরেকে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করার কর্মসূচি রয়েছে। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ অবশ্যই পালন করতে হবে।

ব্যাংকের প্রাথমিক ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী গ্রম্নপ গঠন, শাখা ব্যবস্থাপক অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার সার্বিক দায়িত্ব ও তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। গ্রম্নপ গঠন ও বাছাইয়ের পর গ্রম্নপগুলোকে বিভিন্ন ব্যাংক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ওই প্রশিক্ষণ ব্যাংকের নিয়মকানুন, গ্রম্নপ শৃঙ্খলা, সদস্য-সদস্যাদের দায়িত্ব কর্তব্য, ঋণ নিয়মাচার অর্থাৎ ঋণ বিতরণ পদ্ধতি, ঋণের যথাযথ ব্যবহার, ঋণের কিস্তি ফেরত প্রদান সুদের হার সার্ভিস চার্জ, কিস্তি আদায় পদ্ধতি ইত্যাদি সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ সন্তোষজনক হলে গ্রম্নপ স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক গ্রম্নপ সদস্য-সদস্যাদের সর্বসম্মতিক্রমে প্রথমে গ্রম্নপের ২ জন সদস্য-সদস্যার ঋণের ব্যবহার যাচাইপূর্বক সন্তোষজনক ফল পাওয়ার পর গ্রম্নপের অপর ২ জন সদস্য-সদস্যাকে এবং একইভাবে গ্রম্নপের সর্বশেষ সদস্য-সদস্যাকে মোট ৩টি ধাপে ঋণ প্রদান করা হয়। এ কার্যক্রমে বর্তমানে অনেকটাই ভাটা পরিলক্ষিত হয়েছে। ঋণের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ এক বছর। ঋণের আসল টাকা সুদ ও সার্ভিস চার্জসহ ৫০টি সমান সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ বিতরণের পরবর্তী সপ্তাহ থেকে সাপ্তাহিক সেন্টার সভায় আদায় করা হয়। কোনো অবস্থাতেই সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নহে। গ্রম্নপের কোনো সদস্য-সদস্যা ঋণের কিস্তি জোগাড়ে ব্যর্থ হলে অন্য সদস্য-সদস্যারা মিলে বির্ধারিত সময়ে তা পরিশোধ বাধ্যাতামূলক। গ্রম্নপভুক্ত প্রত্যেক সদস্য-সদস্যা কর্তৃক সাপ্তাহিক সেন্টারগুলোতে ৫/- টাকা হারে সঞ্চয় জমাকরন বাধ্যতামূলক। ওই গ্রম্নপ সঞ্চয়ের ওপর ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে। করোনাজনিত বিভিন্ন অজ্ঞাত কারণে ব্যাংকের পদ্ধতিগত দিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃক সদস্য-সদস্যাদের নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহকৃত পাস বইয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয় এবং ঋণের পরিশোধকৃত প্রতিটি কিস্তি আদায়ের সময়ে পাস বাইয়ে লিপিবদ্ধ করত ব্যাংক কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন। একই পাস বইয়ে ভিন্ন অংশে গ্রম্নপ সঞ্চয় বাবদ জমাকৃত অর্থের বিবরণ ও আলাদাভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আনসার ও ভিডিপি সংগঠন ব্যাংকের তৃণমূল থেকে সব স্তরে যোগাযোগ ও সমন্বয় অতীব প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে থানা আনসার ভিডিপি অফিসে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা পর্যায়ে জেলা আনসার কমাডেন্টের সঙ্গে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করে থাকেন। পরিশেষে আমরা বলতে পারি, সেবা ও মাইক্রো- ক্রেডিটের এক ব্যতিক্রমী ধারা হচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। অভিজ্ঞ ও দক্ষ পরিচালনায় এ ব্যাংক গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক সম্ভাব্য উন্নয়নের রোল মডেলের ভূমিকা পালন করতে পারে।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে