শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক

নতুনধারা
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মহামারি করোনার কারণে বিগত ১৭ মার্চ-২০২০ তারিখ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যদিও সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে পর্যটন কেন্দ্রগুলোও ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশও চলছে দেদারসে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে পৌর নির্বাচন। চলছে মিছিল, মিটিং, ক্যাম্পিং ইত্যাদি। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা দাদা-নানার বাড়িতে বেড়াচ্ছে মজা করে। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাটে বের হলেই কোমলমতি শিশুদের চোখে পড়ছে। আশঙ্কার বিষয় হলো সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কোথাও। শতকরা ১০ জনের মুখে মাস্ক আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

শিশুদের মৃতু্যর মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও শিশুরা আজ আর ঘরে নেই। প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেই বরং এরা নির্দিষ্ট এলাকায় দিনের সিংহভাগ সময় কাটাতে বাধ্য হতো, যেখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করত না, বিশেষ বিশেষ দিবস বা উৎসবের ছুটি ব্যতীত কোথাও বেড়াতেও যেতে পারত না। যেসব মা-বাবার কর্মস্থলে থাকতে হয়, তাদের ছেলেমেয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা তো আর ঘরে থাকছে না, খেলার মাঠে ঠিকই জটলা করছে, থাকছে না মুখে মাস্ক। প্রথম প্রথম মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেশি পরিলক্ষিত হলেও দিনদিন সবার মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন তো অনেকের ঘরে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বা করোনানাশক কিছুই নেই, নেই অতি জরুরি মাস্কও। এক সময় পুলিশ কিংবা সাংবাদিক দেখলে পথচারীরা পকেট থেকে মাস্ক বের করত, ইদানীং মুখে তো নয়ই পকেটেও মাস্ক থাকে না। বাঙালি মানেই নিয়ম ভাঙায় ওস্তাদ। বেরসিকরা বলে, বেপরোয়া বাঙালিদের কাছে নাকি করোনা ভিড়তে সাহস পাচ্ছে না। এ কারণেই নাকি বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটা কম। যে যাই বলুক, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আমাদের দেশে করোনা মহামারি আকার ধারণ করতে পারেনি। সবকিছু চলছে চলুক, মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার পর যেহেতু শিক্ষার্থীরা এখনো নিরাপদে আছে, স্কুল-কলেজও খুলে দেওয়া হোক। বন্ধ করে নয়, সার্বিক সচেতনতাই পারে দেশ থেকে করোনাকে বিতাড়িত করতে।

মাহতাব উদ্দিন এমএ

প্রধান শিক্ষক, প্রাইম স্টার একাডেমি

বেড়াইদেরচালা, শ্রীপুর, গাজীপুর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে