বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিন

বিশ্বে ২০ লাখ মৃতু্য

নতুনধারা
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

করোনা পরিস্থিতিতে বেসামাল বিশ্ব। সংক্রমণ ও মৃতু্য থেমে নেই বরং মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বিশ্বে দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে মৃতু্যর সংখ্যা ২০ লাখ পার হয়ে গেছে। আর মৃতু্যর সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃতু্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এ দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতু্য বিবেচনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃতু্য বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃতু্য বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ব ভয়ানক এবং বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি শক্তিধর দেশগুলোকেও বিপর্যস্ত করে তুলেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। একই সঙ্গে দেশেও করোনার সংক্রমণ ও করোনায় মৃতু্যও থেমে নেই। এমন অবস্থায় করোনার টিকার বিষয়টি সামনে আসে এবং নতুন আশার সঞ্চার করে। আর বিভিন্ন দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আলোচনায় এসেছে টিকার সুষ্ঠু বণ্টনের বিষয়টিও। এমন পরিস্থিতির ভেতর সংক্রমণ ও আক্রান্ত থেমে নেই। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি, টিকা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

মনে রাখা দরকার, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে চলছে ভ্যাকসিন কর্মসূচি। এর মধ্যেই ডিসেম্বরের শেষদিকে যুক্তরাজ্যে ধরা পড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন। পরবর্তী তিন সপ্তাহে তা শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে। করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে কয়েকটি দেশে লকডাউনও দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা মনে করি, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্টদের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। এছাড়া এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বাস্তবতা যে, যত দিন যাচ্ছে মাস্ক পরার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও মাস্ক পরার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীনতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সরকারি নির্দেশনা ও জেল-জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও মাস্ক ব্যবহারে অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রম্নত এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মাস্ক পরাসহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

সর্বোপরি বলতে চাই, গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর করোনার টিকা নিয়ে নানা রকম গবেষণা চলে আসছিল, বিজ্ঞানীরা টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছিল অনেকদিন ধরে। এরপর বিভিন্ন দেশই টিকা তৈরির দাবি করে এবং করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর কতটা সে বিষয়ে তথ্য আসে গণমাধ্যমে। এটা ঠিক, করোনা প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতার বিষয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিষয় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। টিকা যেহেতু চলে এসেছে এবং বিভিন্ন দেশ টিকা প্রদান শুরু করেছে, ফলে টিকার সুষ্ঠু বণ্টনসংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয় নিশ্চিত হোক এমনটি কাম্য। মনে রাখা দরকার, করোনাভাইরাসের কারণে নানামুখী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গত কারণেই সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আমলে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। টিকার বিষয়টি আমলে নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অকারণে ঘোরাফেরা না করা, মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় সচেতনতা এ সময়টা অত্যন্ত জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে