শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাশা পূরণের বছর

ইতিহাসের সাহসী সন্তানরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব এ দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।' তাহলেই বিশ্বদরবারে জাতি হিসেবে আমাদের সমৃদ্ধি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

২০২০ সাল ছিল একটি দশকের সমাপ্তি বর্ষ- অন্যদিকে সরকারের বিভিন্নমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বছর। ২০২০ সালের পরে ২০২১-এ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। অন্যদিকে জাতির পিতার জন্ম শত বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। তাই ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিগত ৫০ ও ১০০ বছরের ইতিহাস ও যাবতীয় কর্মকান্ডের এক চুলচেরা বিশ্লেষণ, হিসাব বিবরণী, বিশেষ অর্জনের স্তুতি গান, বিশেষ পর্যবেক্ষণ, সমীক্ষা, মূল্যায়ন, পরবর্তী ভিশন অর্জনের কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হলো আগত ২০২১ সাল। ঘটনাবহুল ২০২০-এর তালিকায় ভালো-মন্দ অনেক কিছুই আছে। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি, দুর্ঘটনা মৃতু্যর ঘটনা বাদে অন্যগুলো ততটা মর্মস্পর্শী নয়। তবে ২০২১-এ যেন এজাতীয় মৃতু্যর পুনরাবৃত্তি না ঘটে দেশের জনগণ সে প্রত্যাশা করে। এছাড়া মনুষ্য সৃষ্ট যানজট, হরতাল, ক্যাসিনো ব্যবসা, জঙ্গি তান্ডব, জমি দখল, নদী দখল, খাদ্য গুদামজাতকরণ, ভেজাল খাদ্য বাজারজাত ও সরবরাহকরণ, ভেজাল ওষুধ বাজারজাত ও সরবরাহকরণ, মৌলিক অধিকার হরণ এজাতীয় কর্মকান্ডের পুনরাডৃত্তি না হলে আমরা বুঝতে পারব উন্নয়নের রূপরেখা ২০২১, ২০৩০-২০৪১ আর হয়তো অসম্ভব কিছু নয়। নয়তো আমরা শুধু 'কাজীর গরু কাগজে আছে-বাস্তবে নেই' এ ধাঁধার মধ্যে থেকে নিঃশেষ হওয়া ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় থাকবে না। অধিকন্তু শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকব। পাশাপাশি কলুষিত পরিবেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পতিত হয়ে আমাদের উদীয়মান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্রমাবনতির দিকে নিয়ে যাবে। কাজই এ বাস্তবতায় ২০২১ সালকে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, সুষ্ঠু অভিবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের উন্নয়ন, পুষ্টি মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ ও বসবাসের নিশ্চয়তাসহ সামাজিক সুরক্ষার প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে।

এটা সত্য, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর যখন অমানুষ নেতৃত্ব বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নেয় ও উল্টোপথের ইতিহাস তৈরি করতে বসে তখন হতভম্ব জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ৬ বছর। নির্বাসিত জীবন শেষে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি শোধনের দায়িত্ব না নিলে আজ বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন হতো। যদি কেউ বাংলাদেশের জটিল রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে বসেন আর তার অধ্যয়ন শুরু হয় ১৯৮১ সাল থেকে তাহলে দেখা যাবে শেখ হাসিনাকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক দুর্গম পথ, শুরুতে যার গন্তব্য ছিল অনিশ্চিত। আজও পায়ে পায়ে মৃতু্যর গড়াগড়িতে কিন্তু তিনি অবিচল। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে নিয়মিত আদালতের প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রেখে দেশের মানুষের মনের আক্ষেপ আর কালিমা মুছে আজ বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। যে কেউ এখন স্বীকার করবেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বদানের দর্শন সংগঠিত না হলে আজকের এ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব ছিল না। ফলে নৌকা এখন তার সেই দর্শনেরই প্রতীক, যা বঙ্গবন্ধুর এ নদীমাতৃক বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দক্ষিণ এশিয়ার সফল নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত। আর তাই এই এগিয়ে থাকা আজকের বাংলাদেশ এখন যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাংস্কৃতিক ধারা নিয়ে সবাইকে সঙ্গে করে সামনে এগোতে চাইছে, সে যাত্রায় আমাদের দায়িত্ব কি তা মনে রাখা দরকার। পথ চলতে চলতে আমরা হঠাৎ একে অন্যের হাত ছেড়ে দিতে পারি না। সম্মিলিত হাতের বন্ধনে যদি শেখ হাসিনার পথপরিক্রম আরও সাহস পায় আমাদের তা অটুট রাখতে হবে। সুদীর্ঘ ৩৮ বছর নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের পর দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে দেওয়ার এখনো কি প্রতিশ্রম্নতি তার বাকি আছে? নিশ্চয়ই তার মনের কোণে লুকিয়ে থাকা সুকান্তের 'বাসযোগ্য পৃথিবীর অঙ্গীকার' বাস্তবায়নে আমাদেরও সমান প্রতিশ্রম্নতি থাকতে হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদেরও যেতে হবে বহুদূর।

২০২০ সাল কোভিড-১৯ মহামারির জন্য সারা বিশ্ববাসী ছিল আতঙ্কগ্রস্ত। এই মহামারি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়লেও পুরো ২০২০ সালে বিশ্বকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এর রেশ ২০২১ সালেও থেকে যাবে। বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিন হচ্ছে এর প্রতিষেধক। কিন্তু এ ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নতুন এক সংকটের জন্ম দেবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'মাই নেশন্স ফার্স্ট' ধারণায় উদ্দীপ্ত হয়ে ভ্যাকসিনটি বাজারে আসার আগেই প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে এর কোটি কোটি ডোজের প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। আর এভাবেই জন্ম হয়েছে 'ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ'। এর মূল কথা হচ্ছে, অন্য কোনো দেশ ভ্যাকসিন পাক বা না পাক, নিজ দেশে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। ২০২১ সালে এ ভ্যাকসিনের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জন্ম হবে এক ধরনের বৈষম্যের। বিংশ শতাব্দীতে ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রশ্নে এক ধরনের বৈষম্যের জন্ম হয়েছিল। ধনী দেশ আরও ধনী হয়েছে, আর গরিব দেশ আরও গরিব হয়েছে। কিন্তু একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে বিশ্ব প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন ধরনের বৈষম্য। অনেক গরিব দেশের পক্ষেই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্রয়ে করা (প্রতি ব্যক্তির জন্য দুই ডোজ) সম্ভব হয়ে উঠবে না। যাই হোক ২০২১ সালে বিশ্বের সব দেশেই করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহ, সংরক্ষণ ও বিতরণে সহানুভূতি ও সহনশীলতা কাজ করবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো ও দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করেন এমন গবেষকদের মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি পরিবার আছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি পরিবার বাস করে গ্রামে। আর ১ কোটির বেশি পরিবার বসবাস করে শহরে। গ্রামে বসবাসরত মানুষের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ কাঁচাঘরে বসবাস করে। এদের একটি বড় অংশ স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও বৈদু্যতিক সেবা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই শিশু। তন্মধ্যে ১২ লাখ শিশু আছে, যাদের টোকাই বা পথশিশু বলা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৩ লাখ শিশুর শীতের কাপড় নেই। প্রায় ৬ লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও তাদের দেখার কেউ নেই। ৫ লক্ষাধিক শিশুর ঘর ও বিছানা নেই। প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর গোসলের ব্যবস্থা নেই এবং তারা গোসল করতে পারে না। এ আলোচনার বাইরে থাকা অসংখ্য বনি আদমের খবর কেউ রাখেই না। তবে এ অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এবং সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা চলমান আছে।

এসব হতদরিদ্র মানুষের কাছে শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, তোপধ্বনি, জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ ইত্যাদি কতটা অর্থবহ হতে পারে, সেটা আমাদের অনেক রাজনীতিক আর দুষ্ট সিন্ডিকেট চক্র কখনো বুঝতে পারবেন না। বিজয় উৎসব শেষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আয়োজিত রাজকীয় ভোজসভায় যখন চলে রসনাবিলাসের প্রতিযোগিতা, ঠিক তখন তাদের উচ্ছিষ্ট খাবারগুলো ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খায় অনেক অনাহারী মানুষ। পশুর সঙ্গে তারা ভাগাভাগি করে নেয় এসব ফেলে দেওয়া খাবার। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ অসঙ্গতিপূর্ণ কর্মকান্ডকে উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্তরায় বলে প্রতীয়মান হবে।

আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং ধাপে ধাপে সেটাকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করা। আর এটি করতে রাষ্ট্রের প্রয়োজন দারিদ্র্য দূর করা, আয় ও ব্যয়ের বৈষম্য দূর করে স্বাধীনতার সনদে উলিস্নখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রের সর্বত্র ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাস্তব অবস্থা এর বিপরীত। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশের কোটি কোটি নাগরিক যখন দিশাহারা, ঠিক তখনই কিছু ধনী মানুষের উত্থানের গল্প রীতিমতো অবাক করে দেয় তরুণ প্রজন্মকে। স্বাধীনতার এত বছরেও দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের তালিকা ও নারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ বা চূড়ান্ত হলো না; বরং উল্টো অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া সনদ নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করল। অথচ বাংলার আনাচে-কানাচে পড়ে আছে অসংখ্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যাদের মুখে দিনে একবার অন্ন জোটে না। তারামন ও কাঁকন বিবির মতো অসংখ্য নারী মুক্তিযোদ্ধা জীবন পার করছে এ বিলাসী জীবনযাপনকারী ব্যক্তিদের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে, যাদের খবর কেউ রাখে না। একটি স্বাধীন দেশে এটি কখনই কাম্য হতে পারে না বলে মনে করে তরুণ প্রজন্ম।

২০২১ সালে দেশের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় সব ইসু্যতে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হোক। স্বাধীনতার সুফল জাতিধর্মনির্বিশেষে সবাই সমানভাবে ভোগ করুক। কোনো নির্দিষ্টগোষ্ঠী ও ব্যক্তির মধ্যে তা কুক্ষিগত না থাকুক। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিপূর্ণভাবে সুরক্ষিত থাকুক। ক্ষয়িষ্ণু লক্ষ্য আর নিশ্চল গণতন্ত্রে ফিরে আসুক গতিশীলতা। সুরুচি আর শালীনতা ফিরে আসুক রাজনৈতিক শব্দচয়নে। দূর হোক অশালীন আর কুরুচিপূর্ণ বাক্যবিনিময়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে ফিরে আসুক হারানো আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরশীলতা, মর্যাদাবোধ, জাতীয়তাবোধ, বলিষ্ঠ জীবন আর মানবতাবোধ।

ইতিহাসের সাহসী সন্তানরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব এ দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।' তাহলেই বিশ্বদরবারে জাতি হিসেবে আমাদের সমৃদ্ধি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে