শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সরকারের দারিদ্র্যবান্ধব উদ্যোগ

ঘর পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ

নতুনধারা
  ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র মানুষ যারা, তাদের ব্যাপারে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। 'মুজিববর্ষে' এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। উলেস্নখ্য, ২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। তার এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগসহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পাবেন গৃহহীন ও ভূমিহীনরা। সারাদেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর এই দারিদ্র্যবান্ধব উদ্যোগ অত্যন্ত মহৎ। তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের মর্ম বোঝেন বলেই এই কল্যাণকর উদ্যোগ নিয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, আগামী কাল থেকে প্রথম ধাপে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বঙ্গবন্ধুকন্যার উপহারের ঘর পাচ্ছেন। এরই মধ্যে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রদান করবেন। এছাড়া ২১টি জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি গ্রামে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সেসব ঘর সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আগামী ফেব্রম্নয়ারি মাসের মধ্যেই আরো ১ লাখ পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। আর চলতি বছর আরো ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭১৮ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে স্বপ্নের নীড়সহ দুই শতক জমির মালিকানা দিয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে দেওয়া হবে সরকারিভাবে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই মহৎ প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

অসহায় মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া বাংলাদেশ সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। ঘর তৈরি করে ত্রাণ দিয়ে প্রতিনিয়তই দেশের অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এই সেবাপ্রদান বাংলাদেশ সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এ ছাড়া দেশের দুর্যোগকালে দুর্গত মানুষের ত্রাণ কার্যক্রমও সরকারের একটি ভালো দিক। তবে কোনো অবস্থাতেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির নূ্যনতম সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে দেশে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়েছে। এ ব্যাপারে সরকার বেশ সজাগ রয়েছে। দারিদ্র্য হার কমিয়ে আনতে সব দরিদ্র পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। করোনাকালে সরকার দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছে। আবারো দেয়া হবে। আমাদের যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা সে অবস্থায় এখনো যেতে পারিনি দুর্নীতির কারণে। সব ধরনের বাধা দূর করতে পারলে দারিদ্র্য আশানুরূপ হ্রাস করা সম্ভব। সম্ভব পর্যায়ক্রমে মধ্যম আয়ের ও উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাও। সুতরাং, আমাদের সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে