মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওই মন্ত্রণালয়ে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি অনেক পরিশ্রম করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যাপারে, তাদের গৃহায়ণের ব্যাপারে মৃতু্যর পরে তাদের দেহ সমাহিত করার পূর্বে গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দফায় দফায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক চমৎকার ব্যবস্থা উৎকৃষ্ট পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। যে আমলারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কর্মচারী, তাদেরই দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই কাজগুলোতে কর্তৃত্ব। অথচ ওই মুক্তিযোদ্ধারাই হলেন বাংলাদেশ নামক আমাদের রাষ্ট্রটির নির্মাতা।
রণেশ মৈত্র
  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

দীর্ঘ ৪৯টি বছর পেরিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ অর্ধশত বছরে পৌঁছাল। একাত্তরের রণাঙ্গন যেমন ছিল অসীম সাহসিকতার উজ্জ্বলতম নিদর্শন- মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা তা রক্তের মতোই উজ্জ্বল। তাই জাতি যখন আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করতে চলেছে- তখন প্রশ্ন জাগছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা রাষ্ট্র কীভাবে দিচ্ছে এবং তা যথার্থ কিনা।

এ কথা মানতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই, দুটি ক্ষেত্রে সরকার মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে। একটি হলো- তাদের জন্য একটি মাসিক ভাতা প্রবর্তন এবং দ্বিতীয়টি হলো, মৃতু্যর পরে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে স্যালিউট দেওয়ার ব্যবস্থা।

কিন্তু নিশ্চিতভাবেই ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- যা করা হয়েছে তা আপাত সম্মানজনক ব্যবস্থা হলেও তার ব্যবস্থাপনা আদৌ কী সম্মানিত করেছে অগণিত সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে যাদের জীবন বাজি করা নয় মাসব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশটি আজ ৫০ বছর ধরে লাল-সবুজ পতাকাটি উড়াতে পারছে এবং পারবে, বিশ্বাস করি, অনন্তকাল ধরে?

আমরা দুই দুটি ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রাণান্ত লড়াই করে সংগ্রামে গৌরবজনক বিজয়ও প্রতিটি পর্যায়ে, প্রতিটি ধাপে অর্জন করেছি বলেই ওই মহান পতাকাকে দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা জানাতে পারছি প্রতিদিন দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও সব সরকারি অফিস-আদালতে। গাইতে পারছি সম্মিলিত কণ্ঠে "আমার সোনার বংলা- আমি তোমায় ভালোবাসি" গানটি আমাদের প্রাণশক্তি জাতীয় সংগীত হিসেবে গেয়েও যাবে বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে- এ বিশ্বাস আমরা সবাই পোষণ করি।

বাংলাদেশে আজ অসংখ্য অট্টালিকা গড়ে উঠেছে, গড়ে উঠেছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেতু, রাস্তাঘাট, সুসজ্জিত দোকান বিপণি, চোখ ধাঁধানো নানা মার্কেট, হাসপাতাল, রেলপথ নির্মিত হচ্ছে, পদ্মা সেতু সমাপ্তি প্রায় এবং আরও কত কিছু। অর্জন অনেক কিন্তু যথেষ্ট নয়। হাঁটতে হবে আরও অনেক পথ। কী কী হয়নি সেগুলোর জন্য কী কী করতে হবে সে ফিরিস্তির উলেস্নখ না-ই বা করলাম।

কিন্তু এই যত কিছু অর্জন তা সম্ভব হয়েছিল ৫০ বছর আগের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় ছিনিয়ে আনার সাফল্যের কারণে। আর সেই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অগণিত মুক্তিযোদ্ধার অতুলনীয় অবদান।

তাই মুক্তিযোদ্ধারাই যে শ্রষ্টা বাংলাদেশের, সে কথা মনে প্রাণে, অন্তরের সব শ্রদ্ধাবোধ থেকে মানতে হবে। সর্বাধিক সম্মানে সব ক্ষেত্রে সম্মানিত করতে হবে। না, মুক্তিযোদ্ধারা কিছু পাওয়ার ব্যক্তিস্বার্থে কিছু অর্জনের জন্য লড়াই করেননি। কোনো মোহ ছিল না তাদের। তাই মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বঙ্গবন্ধুর ডাকে ও সর্বোচ্চ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জন্য স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে কার্পণ্য করেননি- তেমনই, স্পষ্ট ভাষায় বলি, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। কোনো দয়া বা কৃপা নয়।

লেখাটি আদৌ কোনো আবেগ প্রসূত নয় অথবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যেও নয়। লিখতে বসেছি নেহায়েতই মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের ব্যবস্থাদি দেখে তার আশু অবসানের লক্ষ্যে।

আগেই বলেছি, সরকার মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু ভাতার পরিমাণ কত? তা কি আদৌ ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নূ্যনতম প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট? মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের দ্রব্যমূল্য শতকরা কতভাগ বেড়েছে তখনকার তুলনায়? প্রদত্ত ভাতা কি তার সঙ্গে আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ? রাষ্ট্র ভাবুন, সরকার ভাবুন। আমি ভাতার পরিমাণটি উলেস্নখ থেকে বিরত থাকলাম। শুধু এটুকুই বলি, সরকারি অফিসের যে কোনো কর্মচারীই তার চাইতে অনেক বেশি পান রাষ্ট্রীয় বা জনগণের তহবিল থেকে।

তদুপরি তাদের ভাতাদানের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সরকারি আমলাদের ওপর নির্ভরশীল করা হয়েছে। যেন ওই আমলারা প্রভু এবং মুক্তিযোদ্ধারা যারা রাষ্ট্রের স্রষ্টা- তারা তাদের ভৃত্য।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওই মন্ত্রণালয়ে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি অনেক পরিশ্রম করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যাপারে, তাদের গৃহায়ণের ব্যাপারে মৃতু্যর পরে তাদের দেহ সমাহিত করার পূর্বে গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দফায় দফায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক চমৎকার ব্যবস্থা উৎকৃষ্ট পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। যে আমলারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কর্মচারী, তাদেরই দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই কাজগুলোতে কর্তৃত্ব। অথচ ওই মুক্তিযোদ্ধারাই হলেন বাংলাদেশ নামক আমাদের রাষ্ট্রটির নির্মাতা।

এই আমলারা কি ষাটোর্ধ্ব? সত্তরোর্ধ্ব? অশীতিপর? না বেশির ভাগই তারা ত্রিশের ঘরে (বয়সের দিক থেকে)। দেখেননি তারা মুক্তিযুদ্ধ। অনেকে আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লিখিত একটি বইও পড়েননি। তাদের জন্য অবশ্যই গৌরবের যে বয়সে দ্বিগুণ, তিনগুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রভুত্ব তারা অর্জন করতে পেরেছেন। তাদের এক কলমের খোঁচায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, কাটা যেতে পারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রকাশিত গেজেট থেকে তাদের নাম, ঘটতে পারে জানা-অজানা আরও অনেক বিপর্যয়।

ওই আমলাদের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পান কতটুকু? যে মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত, যারা তাদের সুপরিচিত তারা বাদে কেউই তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে কোনো আমলাই এক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়েও রাষ্ট্রের ওই স্রষ্টাদের সম্মান জানান না। আর্থিক বা সামাজিক অবস্থান দিয়ে কী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নির্ধারিত হবে? এরা জানেনও না যে, দেড় থেকে দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন গরিবের ঘরের সন্তান- ধনীর দুলালরা নন। তারা দিব্যি ওই নয়টি মাস এ দেশ ও দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন নিরুদ্বেগে; তাই ধনী নিধন নির্বিশেষে, শহুরে গ্রামীণ নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধারই মর্যাদা হবে এক অভিন্ন এবং বৈষম্য হীন।

দফায় দফায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের আদেশ দিয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় যত বেশি করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি ও সম্মানহানি ঘটিয়ে চলেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আমলারা নোটিস ইসু্য করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দলিলপত্রসহ তারা গিয়ে যেন প্রমাণ করেন তারা প্রকৃতই মুক্তিযোদ্ধা। জানামতে কেউ কি বিশ্বাস করবেন মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষক, লেখক, ইতিহাসবিদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল, প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল নাঈম জাহাঙ্গীর, বদরুজ্জামান বীর প্রতীক, ইঞ্জিনিয়ার আফসার (মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, রেজাউল করিম, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও ওইভাবে আমলাদের দ্বারা ইসু্যতে নোটিস পেয়েছেন- অবমাননার শিকার হয়েছেন। এতদূরও পারল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পারল আমলারা! জানি না, আরও কত হাজার হাজার পরিচিত অপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা যারা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তারা কতই না হয়রানির শিকার হচ্ছেন; কতই না প্রমাণ অভাবে তালিকা থেকে নাম কর্তনের অসহায় শিকারে পরিণত হচ্ছেন।

সুতরাং যাচাই-বাছাই নামক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর, অসহ্য এই উচ্চারণ অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। অনেক হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অসংগঠিত থাকার সুযোগে দফায় দফায় বহুবার হয়রানি করা হয়েছেন। ওই আমলাদের কাছে যেতে হবে মুক্তিহযোদ্ধাদের তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণাদি নিয়ে? কারা তারা? অধিকার তাদের নেই, কারও নেই এমন হয়রানির- এমন অমর্যাদা করার।

সরকারের তাই উচিত অবিলম্বে......

এক, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই অবিলম্বে বন্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; চলমান বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া;

দুই, মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে এবং সরাসরি;

তিন, তাদের মাসিক ভাতা অন্তত ২৫,০০০ টাকায় উন্নীত করে (১ জানুয়ারি, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর শুরুর দিন থেকে) তা টাকা থেকে সরাসরি সারাদেশে তাদের ব্যাংক হিসেবে নিয়মিত পাঠানো এবং খুদে বার্তা মারফত তৎক্ষণাৎ তা জানানো;

চার, মুক্তিযুদ্ধোর মৃতু্য সংবাদ পাওয়া মাত্র তারা তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের হাতে নগদ ২০,০০০ টাকা ও চেকযোগে ৩০,০০০ টাকা পৌঁছে দেবেন। অতঃপর হবে গার্ড অব অনার প্রদান;

পাঁচ, সব ধরনের সরকারি যানবাহনে যতবার প্রয়োজন ততবার (কমপক্ষে মাসে একবার) বিনা ভাড়ায় তাদের গন্তব্যে প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পারবেন;

ছয়, সব মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে চিকিৎসা ভাতা প্রদান ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে।

সাত, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সর্বত্র এবং সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ও সংশ্লিষ্ট হল, হোস্টেলগুলোতে আবাসনের ব্যবস্থা; চাকরি ক্ষেত্রে পূর্বতন কোটা ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন;

আট, অবিলম্বে গেজেটভুক্ত সব মুক্তিযোদ্ধার স্থায়ী সনদপত্র ইসু্য করে তাদের কাছে পৌঁছানো;

নয়, নিরপেক্ষ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিদের নিয়ে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত (সব স্তরে-২২ সদস্য বিশিষ্ট) মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরামর্শক কমিটি গঠন করা হোক;

দশ, দুর্গাপূজা ও জন্মাষ্টমী (অথবা সরস্বতী পূজায়) এবং বড়দিন উপলক্ষে অবিলম্বে উৎসব ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা;

এগারো, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ;

বারো, যারা যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও অবমাননা করার পদ্ধতি চালু করেছেন তারা অবিলম্বে ওই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠাবেন;

\হতেরো, মুক্তিযুদ্ধের সুর্বণজয়ন্তী হিসেবে জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ এবং ঢাকায় মহাসমাবেশের আয়োজন করা পরিপূর্ণভাবে সরকারি ব্যয়ে;

চৌদ্দ, অর্পিত সম্পত্তি ঘোষিত (ক) তফশিলভুক্ত বাড়িগুলো গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান এবং সর্বোপরি চৌদ্দ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে অপসারণ করা;

পনেরো, জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যথেষ্টসংখ্যক আসন বিশিষ্ট হল ঘরসহ ত্রিতল মুক্তিযোদ্ধা ভবন অবিলম্বে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা।

রণেশ মৈত্র : একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে