শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুষ্ঠু স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে

আন্তর্জাতিক কর্মসূচিগুলোয় স্যানিটেশনকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না যতটা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রতি জোর দেওয়া হয়।
মো. আরাফাত রহমান
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

নিরাপদ খাবার পানি এবং মানববর্জ্য ও ব্যবহৃত পানি যথাযথ নিষ্কাশন সংক্রান্ত গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা্‌্‌্‌ই হলো স্যানিটেশন। মল-মূত্রের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শ রোধও স্যানিটেশনের একটি অংশ। স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্যই হলো একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা যাতে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ডায়রিয়া শিশুর অপুষ্টি ও শারীরিক বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ যা উন্নত স্যানিটেশনের মাধ্যমে কমানো সম্ভব। যেসব অঞ্চলে স্যানিটেশন ব্যবস্থা দুর্বল সেসব স্থানে ডায়রিয়া বাদেও আরও রোগ-জীবাণু সহজে ছড়ায় যেমন- কলেরা, হেপাটাইটিস, পোলিও, কৃমিজনিত রোগ প্রভৃতি।

স্যানিটেশন প্রযুক্তি ও এর পদক্ষেপগুলোর বিস্তৃত পরিসর বিদ্যমান। এ পরিসরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন- টেকসই স্যানিটেশন, জরুরি স্যানিটারি ল্যাট্রিন, কন্টেইনারভিত্তিক স্যানিটেশন, বাস্তুতান্ত্রিক স্যানিটেশন প্রভৃতি পদক্ষেপ এর উজ্জ্বল উদাহরণ। স্যানিটেশন ব্যবস্থা বলতে বোঝানো হয়, মানববর্জ্য এবং ব্যবহৃত পানির যথাযথ নিষ্কাশন, সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে পুনর্ব্যবহারকরণ। মানববর্জ্য এবং ব্যবহৃত পানিকে যে প্রক্রিয়ায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে কাজে লাগানো হয় তাকে 'স্যানিটেশন ভ্যালু চেইন' বা ?'স্যানিটেশন ইকোনমি' বলা হয়।

বিভিন্ন দেশে স্যানিটেশনের অবস্থা কেমন তা তুলনা করতে স্যানিটেশনের বিভিন্ন পর্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৬-তে খোলা স্থানে মলত্যাগ বিষয়ে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত সমন্বিত পর্যবেক্ষণ অভিযান স্যানিটেশনের ধাপ বা পর্যায়গুলো নিম্নোক্ত নামগুলো দিয়ে সূচিত করেছে- 'অনুন্নত', 'সীমিত', 'সাধারণ' এবং সর্বোচ্চ ধাপ হলো, 'নিরাপদ ব্যবস্থা'। এই বিশেষণগুলো কেবল উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই ব্যবহার্য। ২০১০ সালে পানি ও স্যানিটেশন মানব অধিকার হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বীকৃত হয়। এছাড়া স্যানিটেশন হলো বৈশ্বিক উন্নয়নের একটি পূর্বশত এবং টেকসই উন্নয়নের একটি অংশ। গবেষণায় উঠে এসেছে সাড়ে চার বিলিয়নের মতো মানুষ পৃথিবীতে এখনো নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা পায়নি।

উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব গণস্বাস্থ্যকেই হুমকিতে ফেলছে না বরং মানব বৈশিষ্ট্য ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকেও ক্ষুণ্ন করছে। উপযুক্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা মানুষ এবং মানববর্জ্যের মধ্যে অন্তরায় তৈরি করে যা সমাজে রোগ সংক্রমণ-প্রবাহচক্রের ধারা ভেঙে দেয়। এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো স্থায়ী স্যানিটেশন ব্যবস্থা তৈরি করা বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। স্যানিটেশন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অনেক ব্যাপার লক্ষণীয় যেমন- প্রযুক্তিগত সুবিধা, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। স্যানিটেশন ব্যবস্থার অবকাঠামোকে অবশ্যই ভোক্তার অবস্থা এবং এলাকার সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতার প্রতি লক্ষ্য রেখে খাপ-খাওয়ানোর উপযোগী করে নিতে হবে।

বাংলাদেশের শহর ও গ্রামে বর্জ্যব্যবস্থাপনা সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগ বন্ধে বাংলাদেশ উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বাংলাদেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। ২০১৩ সালে পরিচালিত ইউনিসেফের একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে একই টয়লেট একাধিক ব্যক্তি ও পরিবারের ব্যবহারের হার অনেক বেশি এবং শহরের বস্তিগুলোতেই তা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে মৌলিক পরিচ্ছন্নতা বা হাইজিন সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব ভালো। তবে পরিচ্ছন্নতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ঠিকমতো হাত ধোয়ার অভ্যাস খুব একটা নেই।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে বলেছেন, শুধু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেন তারা। ঢাকা ছাড়া অন্য কোনো শহরেই রীতিসম্মত সুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই। আর রাজধানীতেও প্রতি পাঁচজনে মাত্র একজন এ ব্যবস্থার আওতায় আছেন। প্রতি পাঁচটি পরিবারের মধ্যে মাত্র দুটি পরিবার শিশুর মলমূত্র ঠিকমতো সরিয়ে ফেলে। অথচ মলমূত্রের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা না হলে অসুস্থতার ঝুঁকি থাকে, এমনকি শিশুর মৃতু্যও হতে পারে। মাটির গর্ত করে তৈরি করা প্রতি চারটি টয়লেটের মধ্যে একটি অস্বাস্থ্যকর এবং সেগুলোতে ঢাকনা না থাকায় তা পরিবেশ দূষিত করছে। স্যানিটেশনের সঙ্গে শিশুর ডায়রিয়া ও খর্বকায়ত্বের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশে শতকার ৮৪ ভাগ বিদ্যালয়ে টয়লেট থাকলেও সেগুলোর মাত্র ২৪ ভাগ উন্নত, ব্যবহার উপযোগী ও পরিচ্ছন্ন। প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্যবহার উপযোগী পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। ধনী-দরিদ্র ভেদে পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। ইউনিসেফের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ধনীদের তুলনায় দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের অনুন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারের হার ১০ গুণ বেশি। গ্রামের ৩৩ শতাংশ পরিবার শিশুদের মল নিরাপদ স্থানে অপসারণ করে। অন্যদিকে শহরে এ হার ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতার জ্ঞান ও চর্চায় ঘাটতি রয়েছে। ন্যাশনাল হাইজিন বেসলাইন সার্ভের তথ্য মতে, মাত্র ৩৬ শতাংশ কিশোরী তার প্রথম ঋতুস্রাবের সময় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকে। এতে দেখা যায়, মাত্র ১০ শতাংশ মেয়ে ঋতুকালে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে।

জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর মানুষ শহরমুখী হওয়া-এসবের সমন্বিত প্রভাবে বাংলাদেশ পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে ঘন ঘন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এতে টয়লেট উপচে নোংরা ছড়িয়ে খাবার পানির বিভিন্ন উৎস দূষিত হয়। শহরের বস্তি, দ্বীপাঞ্চল, পাহাড়ি ও উপকূলীয় এলাকা এবং জলাভূমিতে টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কম খরচের, জলবায়ু সহিষ্ণু স্যানিটেশন প্রযুক্তি অন্যতম। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে বছরে ৪২০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়। এই অর্থ বাংলাদেশের জিডিপির ৬ দশমিক ৩ শতাংশের সমান। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব মতে, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করলে তার প্রায় ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

স্যানিটারি ব্যবস্থায় একটি কেন্দ্রীয় অবকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে যেমন- নালাব্যবস্থা, খালব্যবস্থা, পানির ঢলে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ফেলার নির্ধারিত ভূমিব্যবস্থা। এসব অবকাঠামোগুলো ময়লা পানি এবং অন্যান্য শক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হবে। স্যানিটেশন-প্রযুক্তিকে নির্দিষ্ট স্থানে সহজে ব্যবহারযোগ্যভাবেও প্রস্তুত করা যেতে পারে। যেমন- পিট ল্যাট্রিন কিংবা পানিবিহীন টয়লেট ইত্যাদির জন্য এরূপ প্রযুক্তি কাজে লাগতে পারে। কেবল প্রযুক্তিগত বিষয়াদির দিকে নজর দিলেই হবে না; জনগণকে স্যানিটেশনের ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্যে পুরো ব্যবস্থার দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। যেমন- টয়লেট, ময়লা পানির নিষ্কাশনব্যবস্থা, আবর্জনা সবকিছুরই সঠিক ব্যবস্থাপনা করা। ব্যবহারকারী, মানববর্জ্য ও নষ্ট পানি সংগ্রহ পদ্ধতি, আবর্জনা সরানো এবং যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ এবং পুনর্ব্যবহার অথবা নিষ্কাশন এ সবকিছুই স্যানিটেশন চেইনের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত।

যেকোনো সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সুস্বাস্থ্য রক্ষায় উন্নত স্বাস্থ্যবিধি এবং নিরাপদ পানির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নত স্যানিটেশনের অভাবে নানান রোগ-ব্যাধির বিস্তার ঘটে। স্যানিটেশন থেকে উদ্ভূত বেশিরভাগ রোগ-ব্যাধির দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। পরিষ্কার পানির অভাব এবং অনুন্নত স্যানিটেশনের কারণে অনেক রোগ-জীবাণু জন্মায় এবং বিস্তার লাভ করে। অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন বিশ্বব্যাপী ৪.০ শতাংশ মৃতু্য এবং ৫.৭ শতাংশ রোগের জন্য দায়ী।

স্যানিটেশনের অভাব একটি মারাত্মক সমস্যা যা বেশিরভাগ উন্নয়নশীল এবং ক্রমবর্ধমান দেশসমূহকে ক্ষতির মুখে ফেলে। মলমূত্র এবং বর্জ্য আলাদা করাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে মানব বর্জ্যের সংক্রামিত হতে পারে এমন রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। নতুবা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোও রোগ-ব্যাধির বিস্তার প্রতিরোধে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ তৈরি করতে পারে যেমন- বর্জ্য পানযোগ্য পানিকে দূষিত করে ফেলতে পারে এবং শিশুদের জন্য ডায়রিয়ার প্রাণনাশী রূপ বয়ে আনতে পারে। উন্নত স্যানিটেশনে এবং হাত ধোয়া ও পানি বিশুদ্ধকরণের সঠিক চর্চাই পারে শিশুর মৃতু্য রোধ করে তাদের সুস্থ জীবন প্রদান করতে।

যে প্রতি বছর অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের ফলস্বরূপ ৫০ লাখ মানুষ প্রতিরোধযোগ্য পানিবাহিত রোগে মারা যায়। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য স্যানিটেশন একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পানযোগ্য পানি এবং স্যানিটেশনের উন্নয়ন ডায়রিয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। এই ধরনের উন্নয়নের মধ্যে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পানির ফিল্টার ব্যবহার করা, উচ্চমানের পাইপ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করা এবং পানি নির্গমনের জন্য ভালো নালা ব্যবস্থাপনা। অনিরাপদ জল, স্যানিটেশন এবং হাইজিনের অনুশীলনের অভাবে উদ্ভূত অপুষ্টিজনিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মৃতু্যর সংখ্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এস্টিমেশন অনুযায়ী পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে প্রতি বছরে ৮,৬০,০০০ জন।

অনেক ক্ষেত্রে, এককভাবে স্যানিটেশন সুবিধার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে জনগণের সুস্বাস্থ্যের গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। সাম্প্র্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, স্বাস্থ্যবিধির অনুশীলন স্যানিটেশন সম্পর্কিত রোগের উপর যেমন প্রভাব ফেলেছে তেমনি স্যানিটেশন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। তাই স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ স্যানিটেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি মুখ্য উপাদানও বটে। স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত রোগগুলো হ্রাস এবং প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনগণকে অভ্যাস পরিবর্তন করতে সক্ষম করার একটি পরিকল্পিত পদ্ধতি।

নিউইয়র্কের মিলেনিয়াম সামিট এবং জোহানেসবার্গে টেকসই বিকাশের উপর বিশ্ব সম্মেলন চলাকালীন, জাতিসংঘ সংযুক্ত দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য প্রস্তুত করে। ২০১৫ সালের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যটি ছিল পানযোগ্য পানি এবং স্যানিটেশনের সুবিধা বঞ্চিত লোকের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির মানবোন্নয়ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি বেশ মন্থর এবং পূরণীয় লক্ষ্যমাত্রা এবং বাস্তবতার মধ্যে বৃহৎ ব্যবধান বিরাজ করছে। এ ব্যবধানের জন্য অসংখ্য কারণ রয়েছে। একটি প্রধান কারণ হলো- স্যানিটেশন একটি মৌলিক বিষয় হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য বিষয়ের মতো এর প্রতি তেমন নজর দেওয়া হয় না।

আন্তর্জাতিক কর্মসূচিগুলোয় স্যানিটেশনকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না যতটা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রতি জোর দেওয়া হয়।

মো. আরাফাত রহমান : কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে