হাজারে সাতজন চমের্রাগে আক্রান্ত

কাযর্কর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত না হলে তা সন্দেহাতীতভাবেই উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল দেশ। সঙ্গত কারণেই সুচিকিৎসার বিষয়টিকে সামনে রেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহাযর্। সম্প্রতি জানা গেল, দেশে প্রতি হাজারে সাতজন ব্যক্তি চমের্রাগে আক্রান্ত। আমরা মনে করি, এই বিষয়টিকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আর জীবাণুবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ করার কোনো বিকল্প নেইÑ এমন বিষয় যখন সামনে আসছে, তখন তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত বলা দরকার, রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চমর্ ও যৌনব্যাধি বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী লাউঞ্জে চমের্রাগ বিষয়ে সবের্শষ অগ্রগতি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে দেশে প্রতি হাজারে সাতজন ব্যক্তি চমের্রাগে আক্রান্তর এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতি এক হাজার জনে সাতজনের সোরিয়াসিস রোগের প্রবণতা রয়েছে। আর কুষ্ঠ রোগের ক্ষেত্রে এমনটি জানা গেছে, দেশে বতর্মানে কুষ্ঠ রোগের কাযর্কর চিকিৎসা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সমস্যা উত্তরণের সুপারিশ হিসেবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সোরিয়াসিস, লেপরোসিস-সহ (কুষ্ঠ রোগ) অন্যান্য জীবাণুবাহিত চমের্রাগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ। তা ছাড়া ছত্রাকজাতীয় চমের্রাগের চিকিৎসা, লেজারের মাধ্যমে চিকিৎসা ও কসমেটিক সাজাির্রর ক্ষেত্রে চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের সতকর্ হয়ে রোগীদের যৌক্তিকভাবে সেবা দিতে হবে, অন্যদিকে কারও চমের্রাগ হলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামশর্ ছাড়া ওষুধ সেবন করা যাবে না, এমন বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। কেননা অপচিকিৎসা, ভুল চিকিৎসা, হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে অবৈজ্ঞানিক ওষুধ সেবন ও অপ্রয়োজনীয় লেজার সাজাির্রর কারণে রোগীর অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় রোগীর শরীরে ওষুধের কাযর্কারিতা হ্রাস পাওয়ায় রোগ নিরাময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমরা বলতে চাই, দেশে যখন প্রতি হাজারে সাতজন চমের্রাগে আক্রান্ত তখন তা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের পরামশর্ অনুযায়ী কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার, দেশের অনেক পরিবার অভাব-অনটনকে মোকাবেলা করে বসবাস করে। এ ছাড়া যথাযথ সচেতনতার অভাবে চিকিৎসায় অবহেলা দেখা যায়, এমন খবরও নানা সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে অপচিকিৎসা, ভুল চিকিৎসা, হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে অবৈজ্ঞানিক ওষুধ সেবনসহ এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে এর জন্য প্রচার প্রচারণাও চালাতে হবে। প্রসঙ্গত বলতে চাই, বিপুল জনংসখ্যার এই দেশে চিকিৎসক সংকট যেমন আছে, তেমনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সরঞ্জামাদির সংকটও বিদ্যমান। ফলে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, একটি দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি অজের্নর পাশাপাশি মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। সচেতনতা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে, মানহীন ওষুধ উৎপাদন বা বিপণন যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে যেভাবে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসে এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয়, সেসব বিষয়ও আমলে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আর দেশে প্রতি হাজারে সাতজনের চমের্রাগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই, জীবাণুবাহিত চমের্রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ করাসহ যে সুপারিশগুলো সামনে এসেছে তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সাবির্ক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নিশ্চিত হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।