পাঠক মত

শৃঙ্খল মুক্তির পথ

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

জাহিদুল ইসলাম খন্দকার দশর্ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বতর্মানে বাড়ছে আত্মহত্যার হার, বাড়ছে হতাশা। অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে জন্ম নিলেও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমÐলে প্রচলিত ধারণার শৃঙ্খল আমরা অতিক্রম করতে পারছি না। যে হতে পারত যুগ জয়ী অভিযাত্রী, আত্মজয়ী বীর, অমর কথাশিল্পী, বিপ্লবের মহান নেতা সেই মানব শিশুই এই শৃঙ্খলের কারণে হয়ে উঠছে কমির্বমুখ, হতাশ, ব্যথর্ কাপুরুষ। হয়তো হতাশাগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের কাছে এই পৃথিবী এক ক্লান্তিকর বিড়ম্বনার নাম। এই বিড়ম্বনা থেকে বঁাচতেই হয়ত সমাধান খুঁজেন আত্মহত্যার মতো আত্মবিধ্বংসী পথে। কি নিয়ে আপনি বিচলিত? আপনার উচ্চতা, চেহারা, কন্ঠস্বর বা শারীরিক ত্রæটি নিয়েই কি আপনি চিন্তাগ্রস্ত। এগুলো কোনো প্রতিবন্ধক নয়। দেখুন না মহান শেখ সাদী ছিলেন গাধার মতো বিশ্রি দেখতে, দিগি¦জয়ী যোদ্ধা নেপোলিয়ন বেঁটে ছিলেন, আধুনিক পদাথির্বজ্ঞানের স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিফেন হকিং ছিলেন পঙ্গু যিনি কম্পিউটার সিগন্যালের মাধ্যমে কথা বলতেন। তারা যদি এত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সফল হতে পারেন, তবে এখনই সময় শৃঙ্খল ভাঙার। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব কি আপনাকে হতাশায় নিমজ্জিত করে? তবে শিক্ষা নিন টমাস আলভা এডিসনের নিকট থেকে যিনি দশ হাজার বারের মতো ব্যথর্ হয়েও প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছিলেন। যার সুফল আমরা সবাই ভোগ করছি। লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াই আজ সবার মাঝে বেঁচে আছেন। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনাকে হয়ত সফল হওয়ার জন্য অধিক সহায়তা করবে। দারিদ্র্যতার কারণে কি আপনি হীনম্মন্যতায় ভোগেন? নিজেকে তুচ্ছ মনে করেন? ইতিহাসের অধিকাংশ বিখ্যাতদের পরিচয় দেয়ার মতো বংশই ছিল না। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট প্রেমদাসা বস্তির ছেলে ছিল, এন্ড্র কানেির্গ, মাও সে তুং, হো চি মিন, আর পি সাহা সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। নিজেকে একবার আয়নার সম্মুখে ভালোভাবে দেখুন। অনুভব করুন, আপনার কারও মত হওয়ার প্রয়োজন নেই। অনুধাবন করুণ আপনার অনন্যতাকে। স্বকীয় আত্মপ্রচেষ্টাই ভেঙে ফেলতে পারে সকল শৃঙ্খল।