পাঠক মত

বাচ্চাদের সোনালি শৈশব কেড়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আশীর্বাদে সমাজের সর্ব শ্রেণির ও পেশার মানুষের হাতে মোবাইল ফোনের ছড়াছড়ি। তবে বর্তমানে শিশুরা যে হারে মোবাইল ব্যবহার করছে এতে দিন দিন তারা মানুষরূপী রোবট হয়ে উঠছে। শৈশব প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এমন এক মুহূর্ত যার স্মৃতি বাকি জীবন সবাই বহন করে। শৈশবে শিশুদের কাজই হচ্ছে খেলাধুলা করা, হইচই করা, ঘোরাঘুরি করা, হাসি, আনন্দ, ঝগড়া ইত্যাদি। আমাদের আজ থেকে ১৫- ২০ বছর আগের সময়ের সবার শৈশব এমনই ছিল। কিন্তু বর্তমানে এর ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে শিশুরা মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের পর্দায় নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। যে সময়ে তারা মাঠে গিয়ে খেলবে, সে সময়ে তারা মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আবার ঠিক যখন তারা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরবে, আড্ডা দেবে, একে অন্যের খোঁজখবর নেবে তখন তারা মোবাইল, ইন্টারনেট নিয়ে এত ব্যস্ত যে এসবের আর সময় হয়ে ওঠে না। তারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঠিকই কিন্তু তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেমন- ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টুইটারে। অর্থাৎ সব কিছুতেই এখন কৃত্রিমতা চলে এসেছে। মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দায় তারা নিজেকে আবদ্ধ রাখার কারণে তাদের মধ্যে আন্তরিকতা, সামাজিকীকরণ, ভদ্রতা ও শিষ্টাচার সব কিছুতেই ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আবার মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ও কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের চোখের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই সব কিছু বিবেচনায় রেখে আজকের এ সংকটময় মুহূর্তে অভিভাবকদের সচেতনতা খুব বেশি প্রয়োজন। সানজিদা ইয়াসমিন লিজা কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়