বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতাব্দীর সাক্ষী ও জাতির বাতিঘর

অনেক চড়াই-উতরাই ও উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল, সে অতীত গৌরব এখন শুধুই ইতিহাস। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই আমাদের জাতীয় গৌরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অবনতি হতে শুরু করে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ০৬ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বিংশ শতাব্দীর ৭০-এর দশকে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ। ১৯৭৭-৭৮ শিক্ষাবর্ষে বাংলা বিভাগের ছাত্র হিসেবে ১৯৮০ সালে সম্মান ও ১৯৮১ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ফলাফল অবধি আমার ও সমসাময়িক অনেকের পদচারণা ছিল ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। বাংলা সাহিত্য পড়াকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবসিডিয়ারি বিষয়ে ইংরেজি সাহিত্য এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ হয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে শিক্ষকতার মাধ্যমে আমার কর্মজীবনের শুরু হয় পথচলা। পরে ১৯৮৬ সালে বিসিএস (আনসার) ক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে সুদীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবন শেষে অবসরজীবনে বর্তমানে লেখালেখি ও পত্রিকার সম্পাদনের সঙ্গে জড়িত আছি। কিন্তু এ অধ্যায়ে আমার কর্মজীবনই মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানচর্চার বিদ্যাপীঠ নয়, এ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বহুমাত্রিকতার সূতিকাগার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করে এ বহুমাত্রিকতার সামান্য কিছুই আহরণ করে জীবনের একটি বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ সময়কে পার করে দিতে পেরেছি। সে অর্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে এক সার্থক ও সফল মানুষে পরিণত করেছে বলেই দাবি করা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কিছু লিখতে যাওয়ার প্রাক্কালে শ্রীকান্ত উপন্যাসের শরৎচন্দ্রের কথা আমাকে খুব মনে করিয়ে দিচ্ছে। শ্রীকান্ত উপন্যাসের শুরুতেই তিনি যেমন করে বলেছিলেন- 'জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় আজ কত কথাই না মনে পড়িতেছে'। একইভাবে আমার ক্ষেত্রেও একই অভিব্যক্তি-কত স্মৃতি, কত সুখ যে মনকে নাড়া দিচ্ছে তা কতটাই বা ভাষায় প্রকাশ করার মতো।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯১২ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রম্নতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। তার তিনদিন আগে ভাইসরয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুলস্নাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতা। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভা পাস করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। প্রথিতযশা শিক্ষাবিদের পদচারণায় ধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন। প্রতিষ্ঠালগ্নে এখানে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফসি টার্নার, ড. মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ্‌, জিএইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডবিস্নউএ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, এএফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

এ বিশ্ববিদ্যালয় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভু্যত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। মুক্তিযুদ্ধকালে পাক-সরকারের বুদ্ধিজীবী নিধন পরিকল্পনার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক। ২৫ মার্চ রাতে আরও শহীদ হন ১০৪ জন ছাত্র, ১ জন কর্মকর্তা ও ২৮ জন কর্মচারী। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের পশ্চিমগেটের দোতলার ছাদের উপর প্রথম 'স্বাধীন বাংলার পতাকা' উত্তোলন করে। ৭১'-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে অতর্কিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা করলে অনেকে শহীদ হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য উপাচার্য ভবনের সম্মুখের সড়ক দ্বীপে ২৬ মার্চ ১৯৯৪ তারিখে উদ্বোধন করা হয় 'বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক'। এই স্থিতিফলকে ১৯ জন শিক্ষক, ১০৪ জন ছাত্র, ১ জন কর্মকর্তা, ২৮ জন কর্মচারীসহ ১৫০ জন শহীদের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে।

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয় তীব্র। কিন্তু এর পরের অবস্থাগুলো মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বিশেষত শিক্ষার মান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলো এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষত, যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা কতটা পূরণ হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের সমাধান, কেন্দ্রীয় ও হল লাইব্রেরিতে সিট সংকট, গণরুম-গেস্টরুম প্রথা উচ্ছেদ, অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন, সান্ধ্যকালীন বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, পরিবহণ সমস্যা দূর করা, ক্যান্টিনে খাবারের মান বাড়ানো, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, ক্যাম্পাসে বাইরের যানচলাচল বন্ধ সমস্যার আজও কোনো সমাধান হয়নি। তাছাড়া বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি চালুর গলদ তো আছেই। বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরর্ যাংকিংয়ে হাজারো ঐতিহ্যের এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে আছে। তাই অতি শিগগিরই সংকটগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে শতবর্ষে প্রত্যাশা থাকবে যেন দ্রম্নত আবাসন সংকট নিরসন, করোনায় সেশনজট মোকাবিলায় দ্রম্নত পদক্ষেপ নেওয়া, সন্ধ্যাকালীন কোর্সসমূহ বাতিল, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, সর্বোপরি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি না করে সুষ্ঠু রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করে সবার মতামত পেশ করার সুযোগ সৃষ্টি করে জ্ঞানচর্চাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়টা যেন কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হয় সেটাই আশা রাখব। জ্ঞানচর্চা বাদ দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী যেন প্রমোশন কিংবা ক্ষমতার পেছনে না দৌড়ায় সেটাই প্রত্যাশা করব। তবেই পূর্ণ হবে শতবর্ষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি। ক্যাম্পাস হবে জ্ঞান অর্জন, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার উদ্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার চারণভূমি, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি করবে গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং নগর ও রাষ্ট্রীয় চিন্তাবিদ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করবে সাহসী ও সমৃদ্ধ প্রজন্ম।

অনেক চড়াই-উতরাই ও উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল, সে অতীত গৌরব এখন শুধুই ইতিহাস। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই আমাদের জাতীয় গৌরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অবনতি হতে শুরু করে।

\হএ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের বড় অংশ নিয়েই প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষত রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। শিক্ষক যদি যোগ্য না হন, তাহলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাবে না, এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এ কথার ক্ষেত্রে তেমন দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। খাবারের মান দিন দিন যেন খারাপই হচ্ছে। পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের অভাব। লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিট মেলে না। সান্ধ্যকালীন কোর্স আর সাত কলেজ নিয়ে অসন্তোষের শেষ নেই। শিক্ষার মান নিয়ে তো নতুন করে আর কিছু বলার নেই।র্ যাংকিংয়ে নাম না থাকা বা অনেক পিছিয়ে থাকা নিয়ে একরাশ বিতর্ক হয়ে গেছে। বহিরাগত গাড়ির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে। ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে যাওয়া মেট্রোরেল নিয়েও অসন্তোষ কম নয়। এমন হাজারো সমস্যা আর সংকটে জর্জরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলা বিভাগের ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত সময়টাতে ছাত্র হিসেবে অধ্যয়নকালে যেসব শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, বড় ভাই, ছোট ভাই এবং কর্মচারী যাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। সবাইকে জানাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর কাজী দীন মোহাম্মদ, ড. আহমদ শরীফ, প্রফেসর সনজিদা খাতুন, প্রফেসর ড. ওয়াকিল আহমদ, প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ড. মো. মনিরুজ্জামান, প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রমুখ সবাই হচ্ছেন শিক্ষা সমাজের কিংবদন্তিতুল্য। তাদের সান্নিধ্য পাওয়া ছিল আমার জীবনে মধুরতম একদিক। অন্যদিকে কর্মচারী তালেব ভাই, ডিন অফিসের বজলু ভাই এবং এসএম হলে হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট মনোয়ার ভাই আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। অন্যান্য বিভাগের কথা যদি বলি সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর নূরুল মোমেন, সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রফেসর আহমদ উলস্নাহ, গণিত বিভাগের প্রফেসর শামসুল হক মোলস্না স্যার, ড. আইনুল ইসলাম এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. শামসুদ্দিনসহ আরও অনেকের কথা বলতে হয়। কর্মচারীদের মধ্যে ডাকসু সংগ্রহশালার গোপাল, নিরঞ্জন, নেপাল এবং মধুর ক্যান্টিনের অরুনের কথা কখনো কি ভোলার মতো। গোপাল আমাকে খুবই স্নেহ করত। তার ভাই নেপাল আইইআরএর ছাত্র ছিল। তার সঙ্গে ছিল আমার বিশেষ বন্ধুত্ব। কলা ভবনের নিচ তলায় বর্তমান প্রক্টরিয়াল অফিসের পাশে একটি কক্ষে ছিল নেপালের ক্যান্টিন। তার ক্যান্টিনের রসগোলস্নার মোহে ক্যান্টিনের টেবিল টেনিস খেলার মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও সময় কাটানো হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে বন্ধুপ্রিয় ও সামাজিক মানুষ বিধায় ছাত্ররাজনীতির কাদের-চুন্নু ভাই, মান্না-আক্তার, আক্তার-বাবলু ও মিলন কামাল গ্রম্নপের অনেকের সঙ্গেই বিভিন্ন সময়ে মধুর ক্যান্টিনের আড্ডায় চা পান করা হতো। তবে বেশি করে মনে পড়ে একটি বাম ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র ইফতেখার ভাই ও আব্দুলস্না আল মামুন ভাইয়ের কথা। এ ধরনের স্মৃতিচারণ শুধু যে আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা শুধু নয়, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জাতির অনেক বিবেকেরই মতামত ও অভিব্যক্তি।

প্রতিবছর ১ জুলাইকে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' হিসেবে পালন করা হচ্ছে। প্রায় শততম বর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে এ বিদ্যাপীঠ তৈরি করেছে বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্ঞানী-গুণীজন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, বিজ্ঞানী, শিক্ষক আর লাখ লাখ গ্র্যাজুয়েট। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে তারা অবদান রেখে চলেছেন এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে