নতুন ভোটাররা জাতীয় পরিচয়পত্র কবে পাবেন?

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

সাধন সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাক
এক কোটিরও বেশি ভোটার এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাননি। আর কবে পাবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই সমস্যায় ভুগছেন ২০১২ সালের পর ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হওয়া এক কোটিরও বেশি ভোটার। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনের সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি। সে সময়ও লাখ লাখ তরুণ ভোটার লেমিনেটেড করা জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। বতর্মানে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ২০ লাখের বেশি। এ বছরের ফেব্রæয়ারি থেকে এক কোটির বেশি নতুন ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল নিবার্চন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এখনো স্মাটর্ কাডর্ বা লেমিনেটেড পরিচয়পত্র কোনোটাই নতুন ভোটারদের দেয়া হয়নি। ফলে ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া অন্যান্য স্থানীয় নিবার্চনের মতো আগামী সংসদ নিবার্চনেও তরুণ ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভোট দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে! জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় নব্য ভোটাররা সরকারি-বেসরকারি নানা সেবা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সিম রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, বিদেশে যাওয়া, ভতির্ সংক্রান্ত বিষয়, লাইসেন্স করাসহ নানা ধরনের গুরুত্বপূণর্ কাজ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জাতীয় পরিচয় না পাওয়া তরুণ ভোটারদের। নানা অসুবিধা ও ভোগান্তির শিকার হয়ে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ছয় বছর পরও একজন তরুণ ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন না, এটা মেনে নিতে সত্যিই কষ্ট হয়। এখনকার বাস্তবতায় জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া তো কোনো কাজ-ই করা যায় না! তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এই এক কোটিরও বেশি ভোটার চলবেন কি করে? এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া তরুণ ভোটারদের পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই চরম অসুবিধা ও ভোগান্তির জ¦ালা ভুক্তভোগীরা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারছেন না। নতুন ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হওয়া, তারপর জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া একটা চলমান প্রক্রিয়া। তাই বলে বছরের পর বছর ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে! জাতীয় পরিচয়পত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ ও একজন পূণর্ বয়স্ক ব্যক্তির পূণার্ঙ্গ পরিচয়। এই মূল্যবান ও গুরুত্বপূণর্ সম্পদ জাতীয় পরিচয়পত্র যত দ্রæত পাওয়া যাবে তত দ্রæতই নতুন ভোটারদের অসুবিধা ও ভোগান্তি দূর হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশতম জাতীয় নিবার্চনের আগেই কিংবা সম্ভব হলে তারও আগে নতুন এক কোটিরও বেশি ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মাটর্ কাডর্ অথবা লেমিনেটেড যাই হোক না কেন) তুলে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।