বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যত্রতত্র আবর্জনা নিষ্কাশনের ক্ষতিকর প্রভাবে বুড়িগঙ্গা তীরবাসী

মোহাম্মদ রাব্বি শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
  ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭নং ওয়ার্ডে বুড়িগঙ্গার তীরের উভয় পাড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে নদী ভরাট ও পানি দূষণ হচ্ছে। এ ছাড়া ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি দুর্গন্ধের কারণে রাস্তায় হাঁটাও যায় না। বাসাবাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার কর্মীরা নিয়ে গিয়ে তারাও ময়লা-আবর্জনা নদীর তীরে ফেলছে এতে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। কল-কারখানা মালিকরা বলছে, 'আমাদের এলাকার বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।' এ কারণে অনেকে রাতের আঁধারে কলকারখানার বর্জ্য নদীর তীরে ফেলে যায়। এতে নদীর তীর ভরাট হয়ে যাচ্ছে।'

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে বাড়ির মালিকরা নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধ করতে এখানে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। বাঁশের বেড়ার ওপর দিয়ে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার কয়লার ঘাট এলাকার বাসিন্দা বলেন, 'নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে টেকা যায় না এবং মশা-মাছির কারণে ঘরেও থাকা যায় না।' জনজীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়ছে। এলাকায় বেশির ভাগ মানুষই পরিবেশ দূষণের কারণে সৃষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত যেমন- শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি। তারা বাধা দিয়েও নদীতে আবর্জনা ফেলা রোধ করতে পারছেন না। এসব রোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিস্নউটিএ) নজরদারি দরকার। সঙ্গে সঙ্গে সরকারে ঊর্ধতন কর্মকর্তার এসব দিকে নজরদারি রাখা উচিত। বিষয়টি অতীব জরুরি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে