সোশ্যাল মিডিয়ার অশ্লীলতা থেকে এ প্রজন্ম বাঁচবে কীভাবে?

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ০০:০০

আজহার মাহমুদ চট্টগ্রাম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ মাধ্যমটাই এখন সবার কাছে বেশ প্রয়োজনীয় এবং পরিচিত একটি মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে আমরা সবাই হয়তো ফেসবুক বুঝি। তবে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হুয়াটস অ্যাপ, ভাইবার, স্কাইপি, ইমো, পিনস্টারসহ বিভিন্ন মাধ্যম এখন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চলে এসেছে। এদের প্রত্যেকটার মাধ্যমেই যোগাযোগ করা সম্ভব। তাই এদের প্রত্যেকটাকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলা হয়ে থাকে। তবে আমাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া যা-ই বলি এটা হচ্ছে ফেসবুক। আর এ ফেসবুকই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এখন যে কোনো কিছুই ফেসবুকের মাধ্যমে সহজেই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। আমরা যা-ই খুঁজি সব এখন ফেসবুকে পেয়ে যাচ্ছি। একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম পস্নাটফর্ম হিসেবে আমরা সবাই এ ফেসবুক ব্যবহার করি। অনেকে ব্যবসায়িক আলাপও সারেন এর মাধ্যমে। কিন্তু এখন সেই জায়গাটা স্বল্প সময়ে দখল করছে পর্নো বা অশ্লীল ভিডিওতে। কাজের চেয়ে এসবে মগ্ন হয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণী থেকে সব বয়সিরা। দেশে প্রায় ৯ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমো বা হোয়াটস অ্যাপে সহজেই পেয়ে যাচ্ছে যে কোনো ভিডিও। ছোট-বড়, যুব-বৃদ্ধ সবার হাতেই এখন স্মার্ট ফোন। সেই ফোনেই অনায়াসে এখন অশ্লীল ভিডিও, গল্প, ছবি সব পাওয়া যাচ্ছে। এতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষই অশ্লীল বা পর্নোতে আসক্ত হয়ে উঠছেন। বাড়ছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। ইন্টারনেট মানুষের জীবনকে সহজ করে দিলেও এর অপব্যবহার সমাজকে ভাঙনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সবাই ফেসবুক ব্যবহার করছে। তরুণ-তরুণীরা আবার ইনস্টাগ্রামও ব্যবহার করে। এ সব মাধ্যমে আপনি চাইলেই অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে পারেন আবার এ সব দেখতেও পারেন। সার্চবক্সে আপনি যা-ই সার্চ দেবেন তা-ই পাবেন। মূলত এ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালিত হয় অন্যদেশ থেকে। এবং এখানে সারা বিশ্বের মানুষ যুক্ত থাকে। তাই এখানে অশ্লীলতা বন্ধ করা বেশ কঠিন। যদিও প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানটি চাইলে এ সব অশ্লীলতা বন্ধ করতে পারে। এ ছাড়া আমাদের তরুণ-তরুণীদের এদিক থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন নৈতিকতা এবং ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করা। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের গাইড করা। তবেই আগামী প্রজন্ম এ অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকবে। নয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার যে ছড়াছড়ি তাতে এ ভয়ংকর ব্যাধি থেকে বাঁচা বেশ কঠিন।