শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেলাভিত্তিক পরিবহণ চালু

সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন
নতুনধারা
  ০৬ মে ২০২১, ০০:০০

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহানগরী ও জেলার মধ্যে গণপরিবহণ চলবে। তবে এ সময় আগের মতোই বন্ধ থাকবে দূরপালস্নার পরিবহণ, ট্রেন ও লঞ্চ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস যেতে পারবে না। সুনির্দিষ্ট রুটে ও স্থানে পরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সরকার জোর দিয়েছে। অর্ধেক আসন খালি রেখে বাস চালাতে হবে। তবে আগের মতো বর্ধিত ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। এর আগে আমরা লক্ষ্য করেছি, সরকার গণপরিবহণের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ালেও দূর হয়নি অনিয়ম। যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সাধারণ মানুষ। বাসে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার যেন এমন অভিযোগ না ওঠে সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

উলেস্নখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসেরও বেশি সময় রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ ছিল প্রথম ধাপে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। ওই সময় দেশে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। সে সময় সব অফিস-আদালত, কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারাদেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে দেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছিল। মাস দুয়েক আগে থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সরকার আবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময়ে পর্যায়ক্রমে কলকারখানা, দোকান, শপিংমল চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরিবহণ শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার প্রশ্নে সীমিত আকারে পরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে স্বাস্থ?্যবিধি মেনে পরিবহণ চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গণপরিবহণে চলাচলের সময় স্বাস্থ?্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কতটা সম্ভব হবে সেটাই বড় প্রশ্ন।

বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে 'জেলাভিত্তিক' গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হয়েছে, সময়েই তা বোঝা যাবে। তবে এ কথাও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছিল।

নিরুপায় হয়ে অনেক শ্রমিক পেশা বদল করছে- ইতোমধ্যে এমন সংবাদও পাওয়া গেছে। একপর্যায়ে গণপরিবহণ চালুর দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এলে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম যেন না ঘটে। কারণ অনিয়মের নজির এ দেশে রয়েছে। গণপরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি যাতে কঠোরভাবে প্রতিপালিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে