শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পুনরুদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র তাপস হালদার

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি। পিতার মতোই জাতির স্বার্থে দেশের জনগণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার এমনকি মৃতু্যকে পর্যন্ত আলিঙ্গন করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। অতীতেও তিনি এমন অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেদিনও তিনি চাঁদাবাজির মামলা, খুনের মামলায় চার্জশিট, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি ঘোষণা' কোনো কিছুতেই দমে যাননি। তিনি ফিরে এসেছিলেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তিনি এসেছিলেন বলেই পুনরুদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আজ সেই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আমরা পেয়েছি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
নতুনধারা
  ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। দিনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। অদম্য মনোবল, অসীম সাহসিকতা নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই নয়, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলকেও মৃতু্যর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে যে মহাজোট গঠন হয়েছিল তাদের আন্দোলনের ফসলই ছিল ১/১১ সরকার। খালেদা জিয়ার সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে একতরফাভাবে নীল-নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেছিল, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণায় দেশে এক মহাসংকট তৈরি হয়। এমন সংকটময় মুহূর্তে এগিয়ে আসে গর্বের সেনাবাহিনী। গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্ত হয়। ১১ জানুয়ারি, ২০০৭, ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। সরকারটি অসাংবিধানিক হলেও দেশের জনগণ তাদের প্রথম দিকে সমর্থন করেছিল। কারণ তখন জনগণ বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন থেকে মুক্ত পেতে চেয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ফখরুদ্দীন আহমেদ থাকলেও ক্ষমতার নাটাই ছিল তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের হাতে। তিন উদ্দিনের (ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন, মঈন ইউ উদ্দিন) হাতে ক্ষমতা থাকায় বিএনপি কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। কারণ তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা তাদেরই নিয়োগকৃত সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফখরুদ্দীন আর মঈন ইউ আহমেদকে তো সেনাবাহিনীতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপিই। অন্যদিকে জনগণের কাছে স্বস্তির বিষয় ছিল খালেদা জিয়ার দুঃশাসন থেকে মুক্তি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেই বলেছিল অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবে। বিএনপি-জামায়াত যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল সেটি সংশোধন করে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে বলে ওয়াদা করেছিল সরকার। জনগণও সেটা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে যায় তখন তাদের আচারণেও পরিবর্তন আসতে থাকে। যে কোনো কৌশলে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরতে নানা ধরনের ফন্দিফিকির শুরু করে। এদের সঙ্গে যুক্ত হয় দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল নামধারী ব্যক্তিরা। এরা হালুয়া রুটির ভাগ পেতে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ফর্মুলা দেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৫ মার্চ অসুস্থ পুত্রবধূ ও মেয়েকে দেখতে পারিবারিক সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান। সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন সরকারের আসল রূপ তখনই বের হয়ে আসে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিদেশ সফরকে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। তখন শেখ হাসিনাকে বিদেশে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে ৬ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করে 'দেড় বছরের আগে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।' আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বুঝে গেলেন সেনা সমর্থিত সরকারের মতিগতি সুবিধার নয়। ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যা অন্যায়কে চুপ করে মেনে নেয়া তার রক্তের মধ্যে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সিইসির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, 'নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব করলে জনগণের ধৈর্যচু্যতি ঘটবে। যতদ্রম্নত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। ' শেখ হাসিনার প্রতিবাদী বক্তব্য ক্ষমতাসীনরা সহজভাবে গ্রহণ করেনি। তারা আগে থেকেই বুঝেছিল শেখ হাসিনাকে সহজে দমানো যাবে না। সেজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল। ৯ এপ্রিল জনৈক তাজুল ইসলামকে দিয়ে তেজগাঁও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার কথা শুনে আরো ক্ষুব্ধ হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি ব্যক্তিগত সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রম্নততার সঙ্গে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। সরকার ও তাদের দোসর সুশীলদের ধারণা ছিল, মামলার কথা শুনে শেখ হাসিনা ভয় পাবেন এবং তার সফর কিছুটা হলেও বিলম্বিত করবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটল এর উল্টো। তিনি দ্রম্নত দেশে ফিরে আসার জন্য অনড় অবস্থান নিলেন। সরকারও আরও কঠোর হতে শুরু করল। চাঁদাবাজির মামলার দুই দিন পর ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের সহিংসতার ঘটনার একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪২ জন দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটের কথা শুনে ১১ এপ্রিল, ২০০৭ ওয়াশিংটনে এক সভায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, 'হয়রানি ও ভয় দেখাতেই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের এবং খুনের মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এসব করে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। প্রয়োজনে জীবন দেব কিন্তু কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। ' ওই দিনই বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'তার বিরুদ্ধে আনা হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আইনি পথেই মামলার মোকাবিলা করা হবে। আমাকে হেয় করতেই এ মামলা দেয়া হয়েছে। আমি নির্ধারিত তারিখের আগেই আমার দেশে ফিরে যাব। ইতোমধ্যে বিমানের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। ' আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দেশে ফেরার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে ১৪ এপ্রিল দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দুঃসাহসী কর্মকান্ড এবং দেশে ফেরার তারিখ এগিয়ে আনায় সেনাসমর্থিত সরকার হতভম্ভ হয়ে পড়েন। এ সময় সরকার কৌশল বদল করে কিছুটা পিছু হটে। সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে পূর্বনির্ধারিত তারিখে দেশে ফিরতে শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করা হয়। সবই ছিল সরকারের সাজানো নাটক। সরকার চেয়েছিল শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে বিদেশে রাখতে পারলে, বেগম জিয়াকে এ সুযোগে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বেগম জিয়া বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব শুনে একবাক্যে রাজি হয়ে যান, তবে শর্ত দেন তার দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আগেই গ্রেপ্তারকৃত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা ধরনের বড় বড় অভিযোগ থাকায় তাকে কোনোভাবেই ওই সময় দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না বলে বেগম জিয়াকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অগত্যা বেগম জিয়া কনিষ্ঠ পুত্র কোকো এবং দুই পুত্রবধূকে নিয়েই তার পছন্দের দেশ সৌদি আরবে যেতে সম্মত হন। বেগম জিয়ার নির্বাসনে যাওয়া ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো স্থগিত হয়ে যায়। সেনা সমর্থিত সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তাদের কাছে অন্তরায় ছিল শেখ হাসিনাই। সেজন্যই তাদের একমাত্র টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা। কোনো হুমকি ধামকি দিয়েও যখন কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না তখনই সরকার এক অদ্ভুত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ১৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি' ঘোষণা করে তার দেশে ফেরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সব এয়ারলাইনসকে জানিয়ে দেয়া হয় শেখ হাসিনাকে বহন করা যাবে না। নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেয়া হবে না। এভাবে পর্বতসম কঠিন বাধার মুখে ২৩ এপ্রিল, ২০০৭ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে ঢাকা ফেরার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন থেকে ১৯ এপ্রিল লন্ডন পৌঁছেন। ২২ এপ্রিল সিএমএম আদালত পল্টন সহিংসতা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ২২ এপ্রিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠার অনুমতি দেয়নি। সেনা সমর্থিত সরকারের দমননীতির মুখে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রেম ও দেশে ফেরার তীব্র ইচ্ছা শুধুমাত্র দেশ-ই নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বেও প্রশংসিত হয়। বিশ্বের সব নামিদামি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে তিনি রাতারাতি বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে শেষ পর্যন্ত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। দেশ-বিদেশের প্রবল সমালোচনার মুখে ২৫ এপ্রিল, ২০০৭ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং বেগম জিয়াকেও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ৭ মে ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যেদিন গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জাতির জনকের সুযোগ্য উত্তরসূী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ সেনা সমর্থিত সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জরুরি অবস্থার মধ্যেও লাখো জনতা গণসংবর্ধনা দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি হয়ে সুধাসদনে নিয়ে আসেন। সেদিন ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি মানুষের ভালোবাসার উচ্ছ্বাস দেখেছি, হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি। সে এক অভিনব দৃশ্য। সরকার অনেক চেষ্টা করেছিল মানুষের উপস্থিতিকে ভন্ডুল করতে, নিষেধাজ্ঞা জারি, গ্রেপ্তারসহ,পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সব ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনস্রোত এসে পুরো ধানমন্ডি এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি। পিতার মতোই জাতির স্বার্থে দেশের জনগণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার এমনকি মৃতু্যকে পর্যন্ত আলিঙ্গন করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। অতীতেও তিনি এমন অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেদিনও তিনি চাঁদাবাজির মামলা, খুনের মামলায় চার্জশিট, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি ঘোষণা' কোনো কিছুতেই দমে যাননি। তিনি ফিরে এসেছিলেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তিনি এসেছিলেন বলেই পুনরুদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আজ সেই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আমরা পেয়েছি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাপস হালদার : সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা যধষফবৎঃধঢ়ধং৮০@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে