বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমজীবী মানুষের স্বপ্নভঙ্গ

আমরা আশা করি, শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী স্বীকৃত অধিকারসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে। শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবে উন্নত বিশ্বের মতো শ্রমিকরা যেন তাদের শ্রম ও আত্মমর্যাদার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আর যেন রানা পস্নাজা বা স্পেকট্রামের মতো লোভী মানবসৃষ্ট দানবের দ্বারা শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন না হয়। শ্রমিকরা যেন তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের লাল ঝান্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারে। শ্রমিকরাও যেন মনে করতে পারে 'আমিই এ দেশের উন্নয়নের কারিগর, আমার শ্রম ও ঘামেই দেশ এগিয়ে চলেছে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ০৮ মে ২০২১, ০০:০০

শ্রমের দ্বারাই দুনিয়ার অগ্রযাত্রা। সভ্যতার রূপায়নও ঘটেছে শ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে আঘাতে। শ্রম করলেই শ্রমিক- এটা যেমন ঠিক, আবার শ্রমিক বলতে প্রথমে শিল্প শ্রমিকের ধারণা এলেও শ্রমজীবী মানুষের বিস্তৃতি আরও অনেক বেশি। কারণ, পৃথিবীর সব মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে আর যে কোনো কাজ করতে গেলেই প্রয়োজন হয় শ্রমের। এই হিসেবে পৃথিবীর সব মানুষকেই শ্রমিক হিসেবে অভিহিত করা যায়। আবার মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শ্রমিক শ্রেণি হলো সবচেয়ে আধুনিক এমন এক শ্রেণি- যারা সমাজবিপস্নবে নেতৃত্ব দেবে। মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির মহান প্রতীক। শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেছিলেন, "বিশ্ব আজ দু'ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেক দিকে শোষিতরা- আমি শোষিতের পক্ষে"। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন।

শ্রমজীবী মানুষের হাতে সভ্যতার যাবতীয় সৃষ্টি সাধিত হলেও আধুনিক পুঁজিবাদী সভ্যতা সেই শ্রমজীবী মানুষকেই পদানত করে রেখেছে। অতীতে বণিক পুঁজির বিকাশের স্বার্থে প্রয়োজন ছিল শোষক সামন্ত সমাজের শৃঙ্খল ভাঙার। তাই ক্রমবিকাশমান জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলা একদিকে যেমন বণিকপুঁজির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করল, একই সঙ্গে ভূমিদাসসহ অবহেলিত নাগরিকদের মানুষের মতো করে বাঁচার আকাঙ্ক্ষাকে উজ্জীবিত করল। ফলে, ইতিহাসে অর্ধ-শতাব্দী কালের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল একটি বড় ধরনের বিপস্নব। যা হলো শিল্পবিপস্নব। আঠারো শতকের মধ্যভাগে এই শিল্পবিপস্নবে মধ্যে দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে একটি শ্রমিক শ্রেণি গড়ে ওঠে। কুটির শিল্প এবং ছোট ছোট শিল্প-কারখানার স্থলে বসল মাঝারি ও ভারী শিল্প কারখানা। শিল্পপুঁজির দানবীয় বিকাশ বিবেচনাহীনভাবে গ্রাস করে চলল শ্রমিকের শ্রমশক্তিকে।

আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে শ্রমিক আন্দোলন দানাবেঁধে ওঠে মূলত বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফার পরিপ্রেক্ষিতে। দেশের মানুষের শোষণ মুক্তির আন্দোলন, শ্রমিকের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধিকারের আন্দোলন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে এই আন্দোলন দানাবেঁধে ওঠে। ৬ জুন শহীদ মনু মিয়ার আত্মদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন শ্রমিক আন্দোলন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের মূল ধারার সূচনা করে। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়েও বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের শক্তিশালী শ্রমিক সংগঠন ছিল। মূলত ট্রেড ইউনিয়নভিত্তিক দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো আন্দোলন করলেও পরবর্তী সময়ে সব আন্দোলন মূল রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হলে শ্রমিকরা প্রাথমিকভাবে প্রথম সংগঠিত হয়। এরপর আসে এরশাদের সামরিক শাসন। শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে যৌথ মোর্চা গড়ে তোলে। ছাত্র আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলন পাশাপাশি এগিয়ে চলে। রাজনৈতিক দলসমূহের আন্দোলন যখনই মুখ থুবড়ে পড়েছে তখনই হয় শ্রমিক আন্দোলন, না হয় ছাত্র আন্দোলন রাজপথের শূন্যতা পূরণ করেছে। সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলামসহ অনেক শ্রমিক আত্মাহুতি দিয়েছেন। স্বৈরাচারের পতনের পর তেমন কোনো শ্রমিক আন্দোলন আর দানাবেঁধে ওঠেনি।

এখন আর শ্রমিকদের সংগঠিত শিল্পাঞ্চল বাস্তবে অবস্থান করে না। একমাত্র গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকরা তাদের অধিকারের দাবিতে মাঝে মাঝে সোচ্চার হয়। গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে কতটুকু অসহায় তা বোঝার জন্য খুব বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের যৎসামান্য মজুরি বাড়ানো হয় কিন্তু মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বর্ধিত বেতন কোনো সুফল বয়ে আনে না। শ্রমিকদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি ৮ ঘণ্টার কর্মসময় কখনোই মানা হয় না। ওভার টাইম সব সময়েই অকার্যকর থাকে। এছাড়াও অন্যান্য শ্রমিক যেমন- আবাসন খাত, পরিবহণ খাত ও নৌযান শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মই কার্যকর নয়। বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা বেশি অবহেলার শিকার হন। আইনত নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য কিছু সুযোগ সুবিধার অংশীদার হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয় না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বর্তমানে যে অবস্থানে আছে তাতে সহসা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সামরিক শাসকদের আমলে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে দালাল বেনিয়াদের দিয়ে কলুষিত করা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য অফিস আদালতে ট্রেড ইউনিয়নের নামে এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছিল এখন আর সে অবস্থা বিরাজ করে না কিন্তু তবুও কোনো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা কর্তৃপক্ষকে বেআইনি চাপ প্রয়োগে নানা কাজ করিয়ে নিতে বাধ্য করে।

এ দেশে মানবেতর পরিবেশে বহু নারীশ্রমিক কাজ করে। মাটি কাটা ও ইট ভাঙার কাজে, চাতাল ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে এসব নারীদের পুরুষের পাশাপাশি উদয়াস্ত হারভাঙা পরিশ্রম করতে দেখা যায়। আবার প্রবাসী নারী শ্রমিকদের এ দেশের রেমিট্যান্সে অবদানও স্বীকৃত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক গেছে ১০টি দেশে; প্রায় ৯ লাখ নারী শ্রমিক আছে সেসব দেশে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরো বা বিএমইটি তথ্য মতে ১৯৯১ মার্চ থেকে ফেব্রম্নয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা হলো- সৌদি আরব- তিন লাখ ৬১ হাজার ৬, জর্ডানে- এক লাখ ৬৪ হাজার ৬৭, সংযুক্ত আরব আমিরাত- এক লাখ ৩১ হাজার ৭৪৪, লেবানন- এক লাখ ৭ হাজার ২১৬, ওমান- ৯২ হাজার ৭২২, কাতার- ৩৩ হাজার ৮৯৪, মরিশাস- ১৮ হাজার ৩৩৪, কুয়েত- ৯ হাজার ১২৯, মালয়েশিয়া- ৬ হাজার ৬৫২, সিঙ্গাপুর ১৪৩৫, হংকংয়ে- ১৮৭৯, এবং বাহরাইনে ৪ হাজার ২৯০ জন নারী শ্রমিক। বাংলাদেশে সব মিলে ৬ কোটি শ্রমিক আছে। এসব শ্রমিকের প্রধান সমস্যা নিপীড়ন, নিখোঁজ ও দুর্ঘটনায় মৃতু্য। সমুদ্রে মৎস্য খাতে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি নিখোঁজ হয়। দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদু্যৎস্পৃষ্ট, ভবন ধসের ঘটনা, উপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় শ্রমিকের মৃতু্য হয়ে থাকে প্রতি বছর। অন্যদিকে তৈরি পোশাক খাতে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১২ বছরে দেড় হাজারের অধিক শ্রমিক নিহত হয়েছে। তবে ইদানীং শ্রমিকদের অপমৃতু্য বহুলাংশে কমে এসেছে। বলাবাহুল্য, মৃত শ্রমিকদের পরিবার ও সন্তানরা অসহায় হয়ে পড়ে, তাদের দেখার কেউ থাকে না। তারা বেঁচে থাকার জন্য নূ্যনতম চাহিদা মেটাতে পারে না।

শ্রমজীবী নারীদের একটি উলেস্নখযোগ্য অংশ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কর্মরত। এদের ওপর বাড়ির কর্তা, গৃহিণী ও অন্যান্য সদস্যের নির্যাতনের যে ভয়াবহ সংবাদ পত্রিকার পাতায় মাঝে মাঝে প্রকাশিত হয় তা কি এই সমাজের চরম হিংস্র ও নোংরা রূপটিই প্রকাশ করে দেয় না? অথচ যারা নির্যাতন করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা 'শিক্ষিত', 'ভদ্র' ও সমাজের চোখে 'গণ্যমান্য'। আমরা মনে করি, শুধু শ্রমজীবী সমাজেরই নয়, সমাজের সব শ্রেণির নারী ও পুরুষের যেমন রয়েছে জীবিকার অধিকার তেমনি রয়েছে মনুষ্যত্ব অর্জনের অধিকার। সব পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কর্তব্য অধীনস্তদের মাঝে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো। ন্যায়-অন্যায় বোধ, সততা ও উদারতা, ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা এবং বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার মতো মানবীয় গুণাবলির চর্চা এখন অপরিহার্য।

উন্নয়নশীল দেশগুলো মেহনতি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেমন, বাংলাদেশের ৫০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক শহরকেন্দ্রিক। এছাড়া আছে দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ এবং কৃষি খাতে জড়িত বিপুল দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এসব স্বল্প আয়ের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করা যেমন জরুরি তেমনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য তাদের কাজে লাগানোও প্রয়োজন। তাছাড়া চিকিৎসা ও বিভিন্ন সেবা খাতে শ্রমজীবী নারী-পুরুষের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে সংকট অনেক বেশি। চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, আয়া, ক্লিনার করোনা মোকাবিলায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। অর্থাৎ সংকটময় মুহূর্তে চিকিৎসাসেবায় শ্রমজীবী মানুষের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশে শ্রমিকদের জন্য যে সব আইন প্রণীত আছে, তা শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষায় যথেষ্ট নয়। এসব আইনকে আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। সম্প্রতি সারা বিশ্ব যখন নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত, তখন কিন্তু শ্রমিকরা চিন্তিত তাদের খালি পেট নিয়ে। কার্যত অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে ওদের। একমুঠো ভাতের পরিবর্তে মিলছে শুধুই আশ্বাস। নিয়মিতভাবে কাজ করেও শ্রমিকের বেতন নিয়েও থাকে অনিশ্চয়তা। শ্রমিকদের নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এখন। এক জোট হয়ে শ্রমিকের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা চাওয়ার সময় এখন। তাদের শ্রমকে যেন আমরা সহজলভ্য ভেবে না নিই।

আমরা আশা করি, শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী স্বীকৃত অধিকারসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে। শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবে উন্নত বিশ্বের মতো শ্রমিকরা যেন তাদের শ্রম ও আত্মমর্যাদার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আর যেন রানা পস্নাজা বা স্পেকট্রামের মতো লোভী মানবসৃষ্ট দানবের দ্বারা শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন না হয়। শ্রমিকরা যেন তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের লাল ঝান্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারে। শ্রমিকরাও যেন মনে করতে পারে 'আমিই এ দেশের উন্নয়নের কারিগর, আমার শ্রম ও ঘামেই দেশ এগিয়ে চলেছে।

মহান মে দিবস আমাদের শ্রেণি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শ্রমিক-মজুরের সঙ্গে সমাজের ধনবান বা পুঁজিপতিদের যে ব্যবধান আছে তা কমিয়ে আনা প্রয়োজন। কারণ এই শ্রমিকের শ্রম ও ঘামে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন দেশের আপামর মানুষের অধিকার বাস্তবায়িত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন বলেই, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি আজ বেড়েছে। দিনের পর দিন তাদের যেভাবে শোষণ করা হতো, তা কিছুটা বন্ধ হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে আরো সচেষ্ট হতে হবে। সরকার পোশাক শ্রমিকসহ অন্যদের জন্য নূ্যনতম যে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা যথাযথ মানা হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে