৩৩ লাখ মৃতু্য

করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিন

প্রকাশ | ১২ মে ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনা পরিস্থিতিতে বেসামাল বিশ্ব। সংক্রমণ ও মৃতু্য থেমে নেই বরং মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বিশ্বে দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর মহামারি শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতু্যর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৩ লাখের ঘর। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃতু্যর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। আমরা বলতে চাই, সামগ্রিকভাবে করোনাসংক্রান্ত পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং বিশ্ব নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ব ভয়ানক এবং বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি এটাও আমলে নেওয়া দরকার, শক্তিধর দেশগুলোকেও বিপর্যস্ত করে তুলেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। আর দেশেও করোনার সংক্রমণ ও করোনায় মৃতু্যও থেমে নেই। আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ জারি রাখতে যেমন বিশ্ব নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্টদের যথাযথ তৎপরতা জরুরি, তেমনিভাবে দেশের সংশ্লিষ্টদেরও করোনা পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। এটা মনে রাখা দরকার, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচির মধ্যেই গত ডিসেম্বরের শেষদিকে যুক্তরাজ্যে ধরা পড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন। পরবর্তী তিন সপ্তাহে তা শনাক্ত হয় বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে। করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে কয়েকটি দেশে লকডাউনও দেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও আলোচনায় এসেছে। আমরা মনে করি, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্টদের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। এছাড়া এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বাস্তবতা, যত দিন যাচ্ছে করোনা যেমন ভয়াবহ হয়ে উঠছে তেমনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বারবার আলোচনায় আসছে। দেশেও মাস্কপরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি সরকারি নির্দেশনা ও জেল-জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও মাস্ক ব্যবহারে অনীহা পরিলক্ষিত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রম্নত এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বলা দরকার, করোনার টিকা নিয়ে নানা রকম গবেষণা চলে আসছিল, বিজ্ঞানীরা টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছিল অনেকদিন ধরে। এরপর বিভিন্ন দেশই টিকা তৈরি দাবি করে এবং করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর কতটা সে বিষয়ে তথ্য আসে গণমাধ্যমে। এটা ঠিক, করোনা প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতার বিষয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিষয় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, এর আগে টিকার সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা এবং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির সামগ্রিক বিষয় আমলে নিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে নানামুখী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সে সব সংকট নিরসনেও কাজ করতে হবে। টিকার বিষয়টি আমলে নেওয়ার পাশাপাশি- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অকারণে ঘোরাফেরা না করা, মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় সচেতনতা এ সময়টা অত্যন্ত জরুরি। সৃষ্ট পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখুক এমনটি কাম্য।