মডেল পাঠাগার চাই ড. মো. আসাদুল ইসলাম

দেশ এগুচ্ছে, এগিয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পড়ুয়া মানুষের সংখ্যা বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে মানসম্মত লেখক।

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের অনেক কষ্টের মধ্যে পড়ুয়া সন্তানদের সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো খুব বেশি বই পড়তে না পারা। তাদের অনীহার জন্য নয়, বই কেনার তেমন টাকা এদের পকেটে থাকে না! পড়ার তেমন কোনো সামাজিক ব্যবস্থাও এদের জন্য নেই! আমিও এদের একজন। আমি ভাগ্যবান। আমার জ্ঞানের রাজধানী লন্ডন যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। লন্ডন যাওয়ার আগে দেশে কখনোই ভালোভাবে একটানা পড়াশোনার সুযোগ পাইনি। এমনকি পাওয়ারও কোনো উপায় ছিল না! যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠায় অনেক সময় নিজের চাওয়া-পাওয়াকে ত্যাগ করতে হয়, যাতে পরিবারের অন্যরা তাদের নূ্যনতম চাওয়াগুলো পূরণ করতে পারে! যাহোক লন্ডনের কথায় আসি, লন্ডন! এক জ্ঞানের রাজধানী। অসংখ্য পাঠাগারের এক চিরআধুনিক শহর! এই শহরের, প্রতিটা পাঠাগারের ভেতরে পড়ার কী রাজকীয় ব্যবস্থা! আহ, কোনো শব্দ নেই, নেই মশার ভয়, বিদু্যৎ চলে যাওয়ার চিন্তা নেই, আরামদায়ক তাপমাত্রা, কোলাহলের তো প্রশ্নই আসে না, আর পাঠাগার কর্মকর্তারা তো পারলে আমাকে বা অন্য পড়ুয়াদের জামাই আদর করে! ওখানে থাকাকালে আমি এতো বেশি পড়তাম যে, তখন পরিচিত অনেকেই হেসে হেসে বলত আসাদ আশপাশে চোখ মেলে দেখ, লন্ডন অনেক সুন্দর! তখন (যুক্তরাজ্যে থাকাকালে) যেখানেই কাজ করতে যেতাম, সেখানেই ফর্মালিটিজ শেষ করে নিজ কক্ষে ব্যাগ রেখেই ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে আগেই পার্শ্ববর্তী পাঠাগার যাওয়ার যাত্রা ঠিক করতাম। তারপর, সময়মতো পড়াশোনা! পাঠাগারের দিক থেকে প্রায় একই চিত্র দেখেছি মালয়েশিয়াতেও! উদীয়মান অর্থনীতির এ দেশটিতে পাঠাগার ব্যবস্থা চমৎকার। তবে পাঠাগারগুলো অনেক রাজকীয় না হলেও কোনো অংশ কম নয়! মালয়েশিয়ার প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয়, এমনকি আবাসিক বিল্ডিংগুলোয় পাঠাগার ও পড়ার আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা আপনাকে চমকে দেবে। এজন্যই মালয়েশিয়ানরা এখন অনেক পড়েন, যা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিকর্ যাংকিং, গবেষণার মান ও প্রকাশনা দেখলে বোঝা যায়। মালয়েশিয়াতে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি পড়ার সময়, অনেক পাঠাগারে পড়ার সৌভাগ্য হয় আমার। তাই পাঠাগারগুলোর গ্রন্থাগারিক এবং তাদের সহযোগী কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা আজীবন মনে রাখব। জাপান এবং সিঙ্গাপুরের কথা না বললেই নয়! জাপানে ছিলাম মাত্র ৩ দিন, আর সিঙ্গাপুর ছিলাম মাত্র ৫ দিন। পিএইচডি স্কলারশিপের টাকা দিয়ে, এই দুই দেশের দুই নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিজের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করি। যখন সুকুবা ইউনিভার্সিটি জাপানের টোকিও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি, তখন দেখি পড়ার কত আলিশান, সুন্দর ব্যবস্থা! ঠিক তেমনি অকল্পনীয় ব্যবস্থা চোখে পড়ে সিঙ্গাপুরের নানীয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে যেখানেই আমি বেস্ট উপস্থাপক হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও উলিস্নখিত চারটি দেশের আনাচে-কানাচে অনেক পাঠাগার ও পড়ার নান্দনিক ব্যবস্থা রয়েছে, যা আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিতদের জন্য অকল্পনীয়! এদেশে পাঠাগারের সংখ্যা খুব কম। যা আছে, তাও অগোছালো এবং বিভিন্ন সংকটে ভুগছে! কিন্তু আজ পৃথিবীতে যে দেশগুলো উন্নত ও সুশৃঙ্খল, তারা সবাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনন্য! ওই দেশগুলোয় জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে তাদের দেশের পাঠাগার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামোর কারণে! একটি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নাই থাকতে পারে, মহাবিদ্যালয় নাই থাকতে পারে, পড়াশোনা করার জন্য পাঠাগার থাকবে না, এটা কেমন কথা? একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয় গড়ে তোলা অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু পাঠাগার স্থাপনে এর এতো ঝামেলা নেই! তারপর এদেশে পাঠাগারের সংখ্যা খুব কম! সরকার মডেল মসজিদ বানিয়ে দিচ্ছেন, হয়তো মডেল মন্দির বা অন্যান্য ধর্মালয়ও হবে। তা খুবই ভালো কথা। কারণ যে কোনো ধর্মালয় বানাতে মাঝেমধ্যে যেভাবে চাঁদা/দান/অনুদান তোলা হয়, তা সেই সেই ধর্মে ঠিক কিনা, তা অনেকেই হয়তো জানে না। সরকারি অনুদানে এই ঝামেলাগুলো থেকে অনেকেই রক্ষা পাবে। ধর্ম সম্পর্কে খুব বেশি বুঝি না, প্রতিটি ধর্মই মানুষের কল্যাণের জন্য এটা খুব ভালো করে জানি এবং মানি, সম্মান করি। ধর্মকে ভালো করে জানতে হলেও পাঠাগার অত্যাবশক। প্রতিটা পাঠাগার জ্ঞান বিকাশে, সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নে এক বিশাল ভূমিকা পালন করবে। পাঠাগারগুলো বিভিন্ন ধর্মের বই ও গ্রন্থের এক বিশাল আশ্রয়স্থল- যেখানে আমাদের সন্তানরা বসবে, পড়বে, জানবে ও জানাবে! তাতে তারা, একে-অন্যের ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণাও নিতে পারবে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াতে দরকার সঠিক জ্ঞানের সঞ্চালোচনা, সে ক্ষেত্রে পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই একটি সৌহার্দপূর্ণ সমাজ তৈরিতে পাঠাগারের বিকল্প নেই। আমরা সবাই জানি, অনেক গরিবের সন্তান পড়তে চায়, কিন্তু তাদের বাড়িতে পড়ার পরিবেশ থাকে না, তাই তারা ঠিকমতো পড়তে পারে না। উন্নত দেশে বাচ্চারা এমনকি প্রাপ্তবয়স্করা পাঠাগারে গিয়ে পড়াশোনা করেন, কারণ বাসায় পড়া হয় না! দেশের বিভিন্ন সমাজে, না হয় বেশি পাঠাগার নেই, কিন্তু প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার নান্দনিক ব্যবস্থা কি আছে? প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিগ্নে পড়াশোনার ব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম! যে পাঠাগারগুলো আছে, সেগুলোও মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক ক্যাডারদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়! উলেস্নখ না করলেই নয়, যে কয়টা পাঠাগার আছে, তাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রচন্ড আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বেরও প্রচন্ড অভাব রয়েছে। আমি যখন যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, জাপান বা সিঙ্গাপুরে কোনো পাঠাগারে প্রবেশ করতাম, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাসিমুখ ও আন্তরিকতা, পড়ার জন্য অন্যরকম উৎসাহ হিসেবে কাজ করত। আর বাংলাদেশের কিছু কিছু পাঠাগার কর্মকর্তাদের আচরণ দেখলে মাঝেমধ্যে ভয় করে, কোনোরূপ প্রশ্ন করলে, তারা চরম বিব্রতবোধ করেন। মুখে হাসি তো থাকেই না বরং এমন একটি ভাব করেন, যেন আমি তাকে বিপদে ফেলে দিলাম! এমন পরিস্থিতে পড়াশোনা কখনোই সম্ভব নয়! যুক্তরাজ্যে, পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক কাজ করেছি, নিজের পড়াশোনার সব ব্যয় বহন করেছি। কাজের ফাঁকে, সম্মানিত সহকর্মীরা কেউ ক্লান্তির কাছে হার মেনে ঘুমাত, কেউবা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকত! আর আমি ক্লান্তিকে ভুলে পাঠাগারগুলোর বইয়ে নিমগ্ন থাকতাম। বই পড়ার কল্যাণেই, অনেক ব্রিটিশ প্রফেসর আর বিদেশি পড়ুয়া বন্ধুসহ-গবেষক হিসেবে জুটেছিল কপালে, যারা এখনো অনেক ভালোবাসে আমায়। দরকারের সময় এঁরা সবাই, পরামর্শ ও সময় দিয়ে সহযোগিতা করে। আসলে পাঠাগারে যে বন্ধু হবে, সে কখনো বেইমান আর অকৃতজ্ঞ হতে পারে না। কারণ, এরা জ্ঞানী হয়, বিনয়ী হয়, ভদ্র হয়, সত্যবাদী হয়, অধ্যাবসায়ী হয়, মিষ্টভাষীও হয়, পরোপকারীও হয় ইত্যাদি! এমন বন্ধু বানানো, এদেশে কি সম্ভব? উত্তরটা নাই করলাম! তুলনামূলকভাবে পাঠাগার বা পড়াশোনা করার আমাদের কোনো ব্যবস্থা বা পরিবেশ নেই। এজন্যই, আমাদের সমাজে কয়জন বই পড়ে? আসলে বই পড়ার সুযোগ কোথায়? বই কি সহজলভ্য? না, এর কোনোটাই নাই! যার জন্যই আমাদের ছেলেমেয়ে মোবাইলের সস্তা গেমে আসক্ত, কিশোরগ্যাংয়ে যুক্ত হয়, বাজে নেশায় জড়ায়। পাঠকের অভাবে অনেক প্রকাশক লোকসান গুনছে! একজন ভালো পাঠক, একজন ভালো ও সাহসী কবি, সাহিত্যিক হতে পারেন, যাদের এখন এই সমাজে খুব অভাব। শুধু তাই নয়, পাঠাগার বা বই পড়ার পরিবেশ তৈরি না করা গেলে, টেকশই উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়! কারণ বই পড়ার পরিবেশ না থাকায় এদেশে একটি অন্ধ প্রজন্ম সৃষ্টি হচ্ছে! এদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে খুব দ্রম্নত পরিবর্তিত হচ্ছে, সমাজ পরিবর্তনের এই ক্ষণে দরকার, সুশিক্ষিত নতুন প্রজন্ম যারা জ্ঞান চর্চা করবে, জ্ঞানী হবে, বিনয় হবে! প্রতিটি ওয়ার্ডে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি বিল্ডিংয়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা বাধ্যতামূলক করা দরকার! শহরে এই কাজ কঠিন হলেও, আমাদের সোনার বাংলার গ্রামগুলোতে অনেক সহজ হবে! গ্রাম অঞ্চলগুলো খুব দ্রম্নত উন্নত হচ্ছে, তবে এখনো জমিজমার দাম কম। তাই সরকারের উচিত প্রতিটা গ্রামে পাঠাগারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা! জমি থাকলে একসময় না একসময় পাঠাগার উঠবেই। আবারও বলছি, পাঠাগার থাকলে ছোট-বড় সবাই পড়বে, আর পড়াশোনা করা ছেলেমেয়ে মননশীল হবে। এরা বাজে আড্ডায় যাবে না। খারাপ নেশায় জড়াবে না, ফালতু রাজনীতিতেও জড়াবে না। এই কাজে কিছু রাজনীতিবিদের পক্ষ থেকে অনেক বাধা আসতে পারে। কারণ অনেক রাজনীতিবিদ ভালো করে জানেন, একজন পড়ুয়া ছেলে বা মেয়ে কখনোই বিনা হেলমেটে মোটরসাইকেলের পিছনে বসে চামচিকার মতো তাদের পিছনে সারাদিন ঘুরঘুর করবে না। আমি জানি, মাননীয় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, একজন পড়ুয়া মানুষ। তাই তিনি নিশ্চয় চান, এদেশে পড়ার সুন্দর ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। তিনি যে সমাজকে কতটা ভালোবাসেন, পড়াশোনাকে কতটা ভালোবাসেন, তা বোঝা যায় তার বই 'ওরা টোকাই কেন' পড়লে! তাই তিনি এই উদ্যোগ নিতে পারেন! হয়তো এখনই নেবেন বা কিছুদিন পরে নেবেন, কিন্তু আমাদের বসে থাকলে কি চলবে? তাই বাসায় বই পড়ার পরিবেশ না থাকলেও পরিবেশ খুঁজে নিতে হবে! আমার হাইস্কুল ও কলেজজীবনে সকালে পড়তে বসব তখনই পাশের বাসার টিভি বা টেপ ক্যাসেটে গানবাজনা বা ওয়াজের শব্দ আসত। মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহ পড়ার অন্তরায় ছিল। শব্দ আর গ্রাম্য কলহ আমার পড়ার যে কি ক্ষতি করত, তা প্রকাশ করা যাবে না ! তখন আমি বাড়ির সামনে বা পিছনে, শব্দ থেকে দূরে কোনো গাছের ছায়ার তলে বসে পড়তাম! মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টির কারণে পড়ার সুযোগ হতো না। তবে বৃক্ষের ছায়ার কারণে রৌদে কোনো সমস্যা হতো না। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের অনেক পড়ুয়া ছেলেমেয়ে রয়েছে, তারা পড়তে চায়। কিন্তু পাঠাগার থাকলে এমন কষ্টের সম্মুখীন আমায় হতে হতো না। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগের কথা বললাম, তখন দেশ এতো টাকার মালিক ছিল না। দেশ এখন অনেক উন্নত! তাই পাঠাগার ব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব কিছু নয়। একটু সুন্দর পরিবেশ হলে আমাদের দেশের সন্তানরা পড়বে, জ্ঞানী হবে, বিনয়ী হবে, আত্মবিশ্বাসী হবে, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং নিজেদের জীবনের গতি ঠিক করার পাশাপাশি অন্যকেও পথ দেখাবে! যার জন্য দরকার পাঠাগার ও পড়ার সুন্দর ব্যবস্থা! দেশে এগুচ্ছে, এগিয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পড়ুয়া মানুষের সংখ্যা বাড়াতে হবে, মানসম্মত লেখক বাড়াতে হবে। আইসল্যান্ড: যেখানে ১০ জনের মধ্যে একজন বই লেখক এবং প্রকাশ করে এবং সেই বইগুলো অনেক মানুষ পড়ে। সেই সমাজে একজন আর একজনকে বই উপহার দেয়। বই অনুদান করেন! আমাদের দেশ আইসল্যান্ড না, হয়তো হবেও না তাড়াতাড়ি, তাই আমাদের দেশের মানুষের প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। মানুষ পড়তে চায় না, এ কথা ঠিক নয়, কারণ পড়ার পরিবেশ নেই। পড়ার চমৎকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে পড়ুয়া ও বড় মনের মানুষের অভাব হবে না। তাই এক চমৎকার পাঠাগার ব্যবস্থা, আমাদের দেশের মানুষের মনন বিকাশে এক বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাঠাগার ব্যবস্থা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও উন্নত দেশ কখনই সম্ভব নয়! ড. মো. আসাদুল ইসলাম : প্রভাষক, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, মালয়েশিয়ান ক্যাম্পাস