কাযর্কর পদক্ষেপ নিতে হবে

বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে অবনমন

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ওয়াল্ড ‘ইকোনমিক ফোরামের (ডবিøউইএফ) ২০১৮ সালের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক বা গেøাবাল কম্পিটিটিভ ইনডেক্সে (জিসিআই) একধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা গেল, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান দঁাড়িয়েছে ১০৩তম। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তথ্য মতে, সুইজারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে ফের শীষস্থার্ন দখলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিঙ্গাপুর ও জামাির্ন রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। আর ভারতের অবস্থান ৫৮তম। শীষর্ ১০-এ থাকা অন্য দেশগুলো হলো যথাক্রমে- সুইজারল্যান্ড, জাপান, নেদারল্যান্ডস, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও ডেনমাকর্। আমরা মনে করি, যখন বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে এক ধাপ পেছানোর খবরটি সামনে আসলো, তখন সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার বিষয়টি আমলে নেয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অথৈর্নতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্য বাজার, শ্রম বাজার, আথির্ক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, নতুন ধারণার আত্মীকরণ- এই ১২টি মানদÐ ব্যবহার করেছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। আর এসব মানদÐের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২.১, যার গতবছরের স্কোরের চেয়ে ০.৭ বেশি। গতবছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানে সাত ধাপ, তার আগের বছর একধাপ অগ্রগতি হয়েছিল। লক্ষণীয় যে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এখন একটি ওপেন প্লাটফমর্। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবতর্ন হচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির পরিবতর্ন আসলেও সুযোগের কোনো পরিবতর্ন হয়নি। বাংলাদেশ বাজারের আকারে বিশ্বে ৩৬তম অবস্থানে থাকলেও ব্যবসায়িক গতিশীলতা ও পণ্য বাজারের অবস্থানে ১৪০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে! যখন ব্যবসায়িক গতিশীলতায় বাংলাদেশ ১২০তম ও পণ্য বাজারের উন্নয়নে ১২৩তম বলে জানা যাচ্ছেÑ তখন এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই যে, ব্যবসায়িক গতিশীলতা ও পণ্য বাজারের উন্নয়ন-সংক্রান্ত বিষয় আমলে নেয়ার পাশাপাশি যে ১২টি মানদÐের ভিত্তিতে সূচক নিধার্রণ করা হয়েছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সাবির্ক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরকেই। এটিও আমলে নেয়া দরকার, ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরামস গেøাবাল কম্পেটিটিভনেস রিপোটর্ ২০১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অথৈর্নতিক সূচকে গত বছরের তুলনায় চার ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখনো বিদেশি প্রতিযোগীদের জন্য সবচেয়ে উন্মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা বলতে চাই, যখন ৮৩ জন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় ব্যবসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে দুনীির্ত এবং এর পাশাপাশি অপযার্প্ত অবকাঠামো, সরকারি বাধ্যবাধকতা, উচ্চ ট্যাক্স রেট এবং অদক্ষ শ্রমবাজারের কথাও উঠে এসেছেÑ তখন বিষয়টি উদ্বেগের জন্ম দেয়। যা আমলে নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প থাকতে পারে না। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরাও মনে করেন বাণিজ্যিক অগ্রগতির জন্য এসব জায়গায় ইতিবাচক পরিবতর্ন দরকার। ফলে সংশ্লিষ্টরা এই বিষয়টিও কোনোভাবে এড়াতে পারে না। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি বড় ধরনের পরিবতর্ন এনেছে এ কথা অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, দক্ষ শ্রমশক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং নীতিমালায় শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার যে বিষয়গুলো সামনে আসছে তা আমলে নেয়া অপরিহাযর্। সাবির্ক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।