বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব

কাযর্কর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বহিবিের্শ্বর কোনো দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে চাচ্ছেÑ এমন বিষয় সামনে এলে তা ইতিবাচক বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়টি যেমন সামনে আসেÑ তেমনি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা অত্যন্ত তাৎপযর্পূণর্। একইসঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি অজের্নর প্রশ্নেও জরুরি বলেই আমরা মনে করি। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। অথৈর্নতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন দিক থেকেই বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়টি সামনে আসছে বারবার। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল যে, সম্প্রতি সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় বলে জানিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ। তথ্য মতে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রিয়াদের রাজকীয় প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আগ্রহ গ্রকাশ করেছেন। আর এটি জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক। সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সৌদি আরব পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার তিনি মক্কায় ওমরাহ পালন করেন। সফর শেষে শুক্রবার তিনি দেশে ফেরেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন। আমরা বলতে চাই, যখন জানা যাচ্ছে অত্যন্ত উষ্ণ ও হৃদ্যতাপূণর্ পরিবেশে আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পকের্ অবহিত এবং বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চানÑ তখন তা আশাব্যঞ্জক বলেই আমরা মনে করি। কেননা এর মধ্য দিয়ে বিনিয়োগের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা ইতিবাচক। আর পররাষ্ট্র সচিবও বলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার কথা বলেছেন। আর সৌদি আরবের বড় বিনিয়োগ হবে এমনটিও আশা করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। আমরা মনে করি, এখন সামগ্রিক বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাযর্কর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বলা দরকার, সৌদি যুবরাজ বাংলাদেশে সৌদি প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর নিদের্শ দেন বলেও পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে কোন খাতে বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সঙ্গত কারণেই আমরা প্রত্যাশা করি, সৌদি আরব বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করুক এবং বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে তার অংশীদার হোক। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের সাবির্ক সমৃদ্ধি অজের্নর প্রশ্নে বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূণর্। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার বিদেশিরা যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয় সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে যথাযথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা। অথার্ৎ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেষ্ট থাকা। যখন সৌদি আরব বিনিয়োগ আগ্রহ দেখাচ্ছে তখন তা স্বাভাবিবভাবেই আশাব্যঞ্জক। সৌদি আরবের পাশাপাশি বিশ্বের আরও দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে যেন আগ্রহী হয় সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেও কাজ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, অনান্য দেশকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে যথোপযুক্ত পরিবেশও নিশ্চিত করা জরুরি। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বাংলাদেশিরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের সাবির্ক সমৃদ্ধি অজের্নর ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। আর সৌদি আরবেও বাংলাদেশের অনেক মানুষ কাজ করছে। আর যখন মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার কথা বলেছেন তখন তা সুখকর। আমরা মনে করি, সাবির্ক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্বের অনান্য দেশও যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।