রোগীর অশ্লীল ছবি তুলে বø্যাকমেইল

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হোক

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন সময়েই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে ভুয়া চিকিৎসকদের নানান রকম অপতৎপরতার বিষয় সামনে এসেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের জন্ম দেয়। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একজন ভুয়া চিকিৎসকের কারণে রোগীর জীবন শঙ্কার মধ্য পড়ে। আর সম্প্রতি জানা গেল, ভুয়া চিকিৎসক রোগীদের অশ্লীল ছবি তুলে বø্যাকমেইল করতেন! আমরা মনে করি, এমনটি যখন জানা যাচ্ছেÑ তখন তা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে- যা আমলে নিয়ে কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তথ্য মতে, নিজেকে ডাক্তার বলে মিথ্যা পরিচয়ে যৌন রোগের চিকিৎসার সুযোগ নিয়ে রোগীর অশ্লীল ছবি তুলে বø্যাকমেইল করা একজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম বিভাগ। শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ীর মিরাজেরবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএমপি। আর গ্রেপ্তারকৃত বাইশ বছর বয়সী এই প্রতারকের নাম আশরাফ হোসাইন ওরফে আদনান রিয়াদ। জানা গেছে যে, প্রতারক আশরাফ নিজেকে যৌন রোগের চিকিৎসক বলে যাত্রাবাড়ী থানাধীন মিরাজেরবাগ এলাকায় প্রতারণা করতেন। তিনি যৌন রোগের চিকিৎসার কথা বলে বিভিন্ন মহিলার সরলতার সুযোগ নিয়ে অশ্লীল ছবি ধারণপূবর্ক ফেসবুক আইডি ‘আদনান রহমান’ এ সেভ করে রাখতেন। পরবতীের্ত ভিকটিমের সাথে অবৈধ সম্পকর্ করার জন্য তাদের চাপ সৃষ্টি করতেন। ভিকটিমরা তার কথায় রাজি না হলে ভিকটিমদের নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে অশ্লীল ছবি পাবলিকভাবে প্রকাশ করে এবং অশ্লীল ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি করে আত্মীয়-স্বজনের কাছে প্রেরণ করবেন বলে ভয়ভীতি প্রদান করতেন। আমরা বলতে চাই, যখন এই বিষয়গুলো সামনে আসছে, তখন সংশ্লিষ্টদের আমলে নেয়া দরকার যে, এই বিষয়টি কতটা ভয়ানক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। মানুষ চিকিৎসকের কাছে যায় আরোগ্য লাভের জন্য, আর এটাকে পুঁজি করে মহিলাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে যখন এমন ঘৃণ্য কমর্কাÐ সংঘটিত হচ্ছে ভুয়া চিকিৎসকের দ্বারা, তখন বিষয়টি এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণেই সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার, পুরো বিষয়টি আমলে নিয়ে দোষীকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং এর পাশাপাশি এই ধরনের কমর্কাÐ আর কোথাও ঘটছে কি না তাও পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা। আমরা বলতে চাই যে, অপরাধীর শাস্তি না হলে তারা আরো অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। ফলে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। এছাড়া মনে রাখা দরকার যে, বতর্মানে প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে, মানুষ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ নানা কিছুই যোগাযোগ ও বিভিন্ন রকম প্রয়োজনে ব্যবহার করে। আর সেটাকে সামনে রেখে কেউ অপকমর্ করতে চাইলে তা কঠোরভাবে রোধ করা অপরিহাযর্ বলেই প্রতীয়মান হয়। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, এবারের ঘটনায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের নজরে আসলে প্রতারক আশরাফকে ধরতে তৎপরতা চালায় ডিজিটাল ফরেনসিক টিম। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও হয়েছে। ফলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হোক এমনটি কাম্য। এর পাশাপাশি বলতে চাই, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার হয়েছে, মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নানা প্রয়োজনেই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সঙ্গত কারণেই এসবের অপব্যবহার করে কেউ যেন কোনো অপরাধ করতে না পারে সেই বিষয়টি আমলে নিতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে এমন ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।