ব্রিটিশ ও বিশ্ব
বিশ্বের দেশে দেশে ব্রিটিশরা কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিল। অনেক দেশে নিজেরা থেকে গিয়ে শাসন করছে। আর যে সমস্ত অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশের হাত গুটিয়ে নিতে হয়েছে, সেখানেই তারা জাতিগত বিদ্বেষের বিষবৃক্ষ রোপণ করে দেয়। তাই জাতিগত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রোষানলে এখনো জ্বলছে ব্রিটিশ উপনিবেশ অঞ্চলগুলো।
প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
এক সময় ব্রিটিশরা দুর্দান্ত প্রতাপে সারা বিশ্ব শাসন করত। বলা হতো, ব্রিটিশ শাসনের পৃথিবীতে সূর্যাস্ত হয় না। এ কথাটা সত্য, উত্তর ও দক্ষিণ দুই গোলার্ধই ছিল ব্রিটিশদের শাসনাধীন। জাতি হিসেবে ব্রিটিশরা ছিল ধূর্ত প্রকৃতির। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ধূর্তদের এখনো ব্রিটিশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট ব্রিটিশরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়। দ্বিজাতি তত্ত্বের নামে হিন্দু-মুসলিমের মাঝে দাঙ্গার নেপথ্য শক্তি ছিল ব্রিটিশরা। ব্রিটিশরা দ্বিজাতির নামে যে বিষ বৃক্ষরোপণ করে গেছে, তাদের বিষানলে এখনো জ্বলছে উপমহাদেশ। সারা পৃথিবীতে ব্রিটিশরা যেখানে শাসন করেছে সেখানেই একটা করে বিষ বৃক্ষরোপণ করে এসেছে। আর যেখানে নিজেরা বসবাস শুরু করে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই সমস্ত দেশগুলোর শাসন ব্যবস্থা হয়েছে শান্ত। সারা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ ভূখন্ড একটি সময় ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত কালে কাশ্মীর তিনটি অংশে বিভক্ত হয়, একটি ভারতের অঙ্গরাজ্য জম্মু-কাশ্মীর যার মধ্যে রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু ও লাদাখ অঞ্চল। গিলগিট, বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর পড়ে পাকিস্তান অংশে। আর চীনের অংশে পড়ে আকসাই। এভাবেই তিন দেশের মাঝে বিভক্ত হয় মূল কাশ্মীর। ২০১০ সালের হিসাবে ভারতের অধীনে রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা, লাদাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহ যা মূল কাশ্মীরের ৪৩ শতাংশ আর পাকিস্তান কাশ্মীরের গিলগিট, বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর নিয়ে ৩৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য কাশ্মীরি জনগণ আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলন সফলকাম করতে কিছু মানুষ লড়াই করছে অপরদিকে সরকার তা দমনে কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করেছে। উপত্যকার স্বাধীনতার নামে পুরো কাশ্মীর হয়ে উঠেছে অশান্ত। ঠিক তেমনি বাংলা ভাগ করার সময় যে, ছিটমহল সমস্যা ব্রিটিশরা তৈরি করে তা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর নিরসন করেন। ব্রিটিশরা তৎকালীন বার্মায় ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তত করে আর সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে রোহিঙ্গারাদের নাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের শেষ লগ্নে রোহিঙ্গা সমস্যাটির সৃষ্টি হয়েছিল রোহিঙ্গাদের দ্বারাই। ১৯৪৬ রোহিঙ্গারা ব্রিটিশদের নির্দেশনানুযায়ী বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়। ব্রিটিশদের ধারণা ছিল যে, দ্বিতীয় বিশ্বেযুদ্ধে জাপানিদের জয়কে স্বাগত জানাতে পারে আরাকানের বৌদ্ধরা। সেই ধারণার সূত্র ধরে ব্রিটিশরা বার্মার ১০ মাইলের একটি বাফার জোন নির্দিষ্ট করে সেখানকার বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের লেলিয়ে দেয় বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে। আর এভাবে বার্মিজ ও রোহিঙ্গা সংঘাতের সৃষ্টি। কথিত আছে যে, এক সপ্তাহের রোহিঙ্গা নৃশংসতায় প্রায় ১০ হাজার বৌদ্ধ নিহত হন। ব্রিটিশ প্ররোচনায় রোহিঙ্গা জনপদকে প্রথম এভাবেই রক্তের প্রান্তর গড়ে তোলে রোহিঙ্গরাই। শুধু বৌদ্ধরাই ওই দাঙ্গায় মারা যায়নি, সেই সময় বৌদ্ধদের হাতে ৫ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারায়। আর এভাবেই দুই ধর্ম পালনকারী জনগোষ্ঠীর মাঝে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে ব্রিটিশদের কূটচালে। ওই অঞ্চলে সাম্প্রদায়িকতার সংঘর্ষের বীজ ব্রিটিশরাই রোপণ করে রেখে যায়- আজ তা মহিরুহে পরিণত হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে। জেরুজালেম নগরীটি ছিল তুরস্কের শাসনাধীন। ১৯১৭ সালে এক যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাদের হাতে তুরস্ক সেনারা পরাজিত হলে জেরুজালেম শহরটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়। ১৯১৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভুখন্ডটি ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। এই ভুখন্ডে ব্রিটিশরা ইউরোপ থেকে বিতাড়িত ইহুদি ধর্ম পালনকারী মানুষকে আশ্রয় দেয়। হিটলারের শাসনামলের শুরু থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত হিটলারের নেতৃত্বে ইউরোপে ইহুদি ধর্ম পালনকারীদের ওপর চলে নৃশংস নিধন যজ্ঞ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরব এবং আশ্রিত ইহুদিদের নিজেদের পক্ষে কাজে লাগায়। ব্রিটিশরা আশ্রিত ইহুদি ধর্ম পালনকারীদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা বুঝতে পেরে ফিলিস্তিনে তথা প্রাচ্যের অশান্তির দামামা এবং কালক্রমে তা পরিণত হয় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ধারা বাহ্যিকতা এখনো বিদ্যমান। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন ফিলিস্তিনের মোট ভূখন্ডের অংশ কেনা এবং অনান্যভাবে প্রাপ্ত সূত্র অনুসারে মাত্র ১০ শতাংশের মালিক ছিল ইহুদি ধর্ম পালকারী মানুষ আর বাকি ৯০ শতাংশ ভূমির মালিক হলো ইসলাম ধর্ম পালনকারী মানুষ। ইহুদি ধর্ম পালনকারী এবং ইসলাম ধর্ম পালনকারীদের মাঝে সমুদয় ভুখন্ডটি সমান অংশে বিভক্ত করে দেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু এই সমান অংশটুকুও নিতে নারাজ ছিল ইসরাইলরা। প্রতিটি ব্রিটিশ কলোনির ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর আজও অশান্তি বিরাজ করছে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনের দখলে ছিল আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা। যদি ১৮০৬ সালে কেপটাউনে ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। ১৮১৫ সালে নেপোলিয়ানের যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশরা পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা দখল করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তখন ব্রিটিশরা আফ্রিকায় পাঁচ হাজার বসতি স্থাপন করে। ওই সময় ইউরোপের অন্য দেশের বাসিন্দাদের ব্রিটিশরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিতাড়িত করে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর ও পশ্চিমে পাঠিয়ে দেয়। তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ইউরোপিয়ান অন্য দেশের বসবাসকারীর নাগরিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার। এই বার হাজার মানুষ উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৬৭ সালে এই অঞ্চলে হীরকের খনি আর ১৮৭৬ সালে স্বর্ণের খনি আবিষ্কার হয়। তখন উপনিবেশিক প্রধানমন্ত্রী সেসলি রোডস উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দখলের চক্রান্ত করেন এবং সফলও হন। এভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদাদের কর্তৃক প্রতিষ্ঠা হয় আর শুরু হয় বর্ণবাদী হিংসা। এই হিংসা বিদ্ধেষ সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
\হতবে নিজেদের একক কর্তৃত্ব স্থাপনকারী দেশগুলোর কথা একটু ভিন্ন, যেমন প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম মানুষ বসতি স্থাপন করে। ১৭৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৩ লাখ লোক বাস করত। তারা ২৫০টি আলাদা জাতিতে বিভক্ত ছিল। প্রতিটি জাতির আলাদা ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, ও সংস্কৃতি ছিল। ১৭৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ নৌ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। শুরু হয় ব্রিটিশ অভিবাসন, ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যেতে থাকে ২৫০টি জাতি, যারা এখানকার আদিবাসী। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় হাতে গোনা কিছু আদিবাসী রয়েছেন। তবে দেশটির শাসনযন্ত্রের কোনো কিছুই তাদের হাতে নেই। পুরো দেশটি ব্রিটিশ বংশধরদের দখলে। ১৭৭৪ ও ১৭৭৫ সালের দিকে ব্রিটিশ ও আমেরিকান সামুদ্রিক পশু ব্যবসায়ীরা কানাডার আধিবাসীদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন এবং এখানাকার আদিবাসীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং আবাসন স্থাপন করেন। নোপিলয়ান যুদ্ধের পর এবং ১৮৫০ সালের মধ্যে কানাডায় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও উত্তর আমেরিকা থেকে ৮০,০০০ ব্রিটিশ নাগরিক কানাডায় অভিবাসনের জন্য যায়। বর্তমানে কানাডার স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিশুদের দেহের ধ্বংসাবেশের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে। যাদের নৃশংস্যভাবে খুন করে আদিবাসী জনসংখ্যাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এভাবে পুরো কানাডার কর্তৃত্ব হারায় এখানকার আদিবাসীরা। সমগ্র অঞ্চলটি চলে যায় ব্রিটিশ বংশোদ্ভূতের দখলে। ১৬০৭ সালে জেমসটাউনে ইংরেজদের দ্বারা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় আমেরিকার ভার্জিনিয়া উপনিবেশ। ১৬২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিস্নমাথ উপনিবেশ (ঢ়ষুসড়ঁঃয)। ১৬২৮ সালে ম্যাসাচুসেটসে বে-উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশে বিপুল অর্থায়নের ফলে ইংরেজদের মধ্যে অভিবাসনের জোয়ার বয়ে যায়। ১৬১০ সালে শেষ দিকে ব্রিটিশরা তাদের দেশের ৫০ হাজার বিপস্নবীদের আমেরিকা উপনিবেশে স্থানান্তর করে। ১৬৩৪ সালে আমেরিকার পিরিটানে ১০ হাজার বিদেশি আবাস গড়ে তোলে। ক্রমাগত ইউরোপীয়দের অভিবাসনের ফলে আমেরিকার প্রাচীন বসবাসকারীরা তাদের সংস্কৃতির ধারাটি হারায়।
১৬৪২ সালে ইউরোপীয় অভিযাত্রী ওলন্দাজ আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ডে এ নোঙর ফেলেন। ওই সময় থেকেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিউজিল্যান্ডে যাতায়ত শুরু হয়। ১৮শ শতাব্দির শেষ দিকে অভিযাত্রী, মিশনারি, পর্যটক, বণিক নিয়মিত আসতে থাকে নিউজিল্যান্ডে। সারা বিশ্বে সেই সময় ব্রিটিশ নৌ শক্তি ছিল প্রবল পরাক্রমশালী। এ সময় ব্রিটিশরাই নিউজিল্যান্ডে যায়। ১৮৪০ সালের শেষ দিকে মাওরি জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তখন থেকে নিউজিল্যান্ড-ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়। যদিও নিউজিল্যান্ড এখন একটি স্বাধীন দেশ- তবে দেশটি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নাগরিক দ্বারা শাসিত। নিউজিল্যান্ডে এখন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূতরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ১৮৪০ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে মাওরি জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা লঘুতে পরিণত হয়। যদিও আক্ষরিকার্থে মাওরিরা ব্রিটিশদের সমমর্যাদা দেওয়ার কথা চুক্তিতে উলেস্নখ থাকে। মাওরিদের সমমর্যাদার বিষয়টি ব্রিটিশরা যথার্থভাবে পালন করেনি। ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তির পর মাওরিরা জমিজমা হারাতে শুরু করে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। অপর দিকে নিউজিল্যান্ডের সব ভূমির মালিক হয়ে যায় ব্রিটিশরা। ব্রিটিশরাই ভূমিগুলো দখল করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডসহ মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপের বসতি স্থাপনের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ইউরোপীয়রাই ওই অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে; তারপর আস্তে আস্তে ইউরোপীয় সংস্কৃতির ধারাটি ছড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রিটিশরা তেমনভাবে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি।
বিশ্বের দেশে দেশে ব্রিটিশরা কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিল। অনেক দেশে নিজেরা থেকে গিয়ে শাসন করছে। আর যে সমস্ত অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশের হাত গুটিয়ে নিতে হয়েছে, সেখানেই তারা জাতিগত বিদ্বেষের বিষবৃক্ষ রোপণ করে দেয়। তাই জাতিগত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রোষানলে এখনো জ্বলছে ব্রিটিশ উপনিবেশ অঞ্চলগুলো।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন : কলাম লেখক