২ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমানোর আশা

যথাযথ উদ্যোগ নিন

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও এটা অস্বীকারের সুযোগ নেই যে, দেশে দরিদ্রতা আছে। আর সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা গেল, বছরে ২% হারে দারিদ্র্য কমানোর আশা অথর্মন্ত্রীর এবং তিনি বছরে দুই শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমিয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই আমরা মনে করি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রোববার পল্লী কমর্-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অথর্মন্ত্রী এই কথা বলেন। জানা যায়, তিনি এটাও বলেছেন, ‘আমাদের বাষির্ক দারিদ্র্য দূরীকরণ হার এখনো দুই শতাংশের যথেষ্ট নিচে রয়েছে। এটাকে দুই শতাংশে যদি আমরা নিতে পারি, তাহলে হয়তো আগামী ১০ বছরে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভ‚ত করতে পারব।’ এ ছাড়া এমন বিষয়ও উঠে এসেছে, লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে দারিদ্র্যসীমা অন্তত ১০ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা। আর এ জন্য যে কাযর্ক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী যদি ৭-৮ বছর কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় তবে সেই লক্ষ্যে পেঁৗছানো সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার, পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সাবির্ক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আমলে নেয়া দরকার, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সাবির্ক দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে। আমরা বলতে চাই, কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে অথর্মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশে এক কোটির বেশি হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী থাকার কথা। এ ছাড়া প্রতি বছর ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারলে হতদরিদ্র থাকবে না বলেও জানিয়েছিলেন। সঙ্গত কারণেই সাবির্কভাবে এই বিষয়গুলো আমলে নেয়া এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে তা বাস্তবায়নে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি বলেই আমরা মনে করি। এটা লক্ষণীয় যে, দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। অবকাঠামো ও শিল্প-কারখানার উন্নয়নে দেশের উৎপাদন আগের তুলনায় বেড়েছে। আর এ উৎপাদনকে এগিয়ে নিচ্ছে দেশের ক্রমবধর্মান বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার। এ ছাড়া যখন নানাভাবেই অগ্রগতির ধারায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দরিদ্রতা দূরীকরণের বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বলা দরকার, সরকার দরিদ্রতা দূর করতে এবং হতদরিদ্রের ভাগ্যোন্নয়নে বিভিন্ন সময়েই নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যেগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। কেননা যে কোনো কারণেই হোক না কেন, যদি কোনো উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হয় তবে সেটি পরিতাপের জন্ম দেয়। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সবোর্পরি আমরা সরকার সংশ্লিষ্টদের বলতে চাই, দারিদ্র্য দূরীকরণে কাযর্কর উদ্যোগ যেমন গ্রহণ করতে হবে, তেমনিভাবে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন এবং তাদের কল্যাণে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণও করতে হবে যথাযথভাবে। আমরা এটাও বলতে চাই, যে কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তা ব্যবহার করে যেন কোনো অসাধু ব্যক্তি বা চক্র নিজেদের স্বাথর্ উদ্ধার করতে না পারে, দরিদ্ররা যেন বঞ্চিত না হয় সেটিও কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নেয়া এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।